Mount Everest: রেকর্ড সংখ্যক পর্বতারোহীকে এভারেস্ট অভিযানের অনুমতি নেপাল সরকারের, ভারত থেকে কত জন?
এবছর ৪৬৩ জন পর্বতারোহীকে মাউন্ট এভারেস্টে চড়ার অনুমতি দিয়েছে নেপাল সরকার। যা রেকর্ড।
কাঠমাণ্ডু: কনকনে ঠান্ডা, অক্সিজেনের অভাব, মৃত্যুভয় পরোয়া না করেই প্রতি বছর শয়ে শয়ে মানুষ বিশ্বের উচ্চতম শৃঙ্গ মাউন্ট এভারেস্ট অভিযানে যান। বলা যায়, বিশ্বের সর্বোচ্চ শৃঙ্গে (Mount Everest) অভিযান পর্বতারোহীদের অন্যতম স্বপ্ন। যদিও নানা কারণে সকলে এভারেস্ট অভিযানে যেতে পারেন না। আবার ট্রাফিক জ্যাম (Traffic jam) এড়াতে প্রতি বছরই এভারেস্টে অভিযানে যাওয়া পর্বতারোহীর স্বপ্ন বেঁধে দেয় নেপাল সরকার। তবে এবছর রেকর্ড সংখ্যক পর্বতারোহীকে এভারেস্টে চড়ার অনুমতি দিল নেপাল সরকার (Nepal Government)।
সূত্রে জানা গিয়েছে, এবছর ৪৬৩ জন পর্বতারোহীকে মাউন্ট এভারেস্টে চড়ার অনুমতি দিয়েছে নেপাল সরকার। যা রেকর্ড। এখনও পর্যন্ত ২০২১ সালে রেকর্ড সংখ্যক অভিযাত্রী এভারেস্টে চড়ার অনুমতি পেয়েছিলেন। সেবার ৪০৯ জনকে অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। এবছর সেই রেকর্ড ভেঙে গেল।
এবছর মোট ৪৬৩ জন এভারেস্ট অভিযাত্রীর মধ্যে সবচেয়ে বেশি হল চিনা নাগরিক, ৯৬ জন। এরপর দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, মোট ৮৭ জন মার্কিন নাগরিক এবার এভারেস্ট অভিযানে যাচ্ছেন। তারপর রয়েছে ভারত। এবছর ৪০ জন ভারতীয় নাগরিক এভারেস্ট অভিযানের অনুমতি পেয়েছেন।
প্রসঙ্গত, প্রতি বছর মে মাসে বছরের প্রথম এভারেস্ট অভিযান শুরু হয়। এরপর সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বর মাসেও এভারেস্ট অভিযান হয়। মূলত, আবহাওয়া পরিষ্কার থাকার জন্য বছরের এই দুই সময়ে এভারেস্ট অভিযানের অনুমতি দেয় নেপাল সরকার। তবে অভিযাত্রীর সংখ্যা বেশি হলে এভারেস্টে ট্রাফিক জ্যাম হয়। যা পর্বতারোহীদের কাছে অন্যতম চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায়। এর উপর আবহাওয়া যদি অল্প-বিস্তর খারাপ হয়, তাহলে সমস্যা আরও বাড়ে। ফলে এবছর রেকর্ড সংখ্যক অভিযাত্রীকে এভারেস্ট আরোহণের অনুমতি দেওয়ায় ট্রাফিক সমস্যা বাড়বে বলে মনে করছে এক মার্কিন পর্বতারোহী সংস্থা। শুধু ট্রাফিক সমস্যা নয়, ভিড় বাড়লে অক্সিজেনেরও ঘাটতি দেখা দেবে এবং পর্বতারোহীদের কাছে ডেথ জোন হয়ে উঠবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি। যদিও ৮০০০ মিটারের উপরে অক্সিজেনের পরিমাণ কম হয়ে আসে। ফলে এভারেস্ট অভিযাত্রীদের সঙ্গে কৃত্রিম অক্সিজেন থাকা বাধ্যতামূলক।