Nikki Haley: ‘বিশ্বের এটিএম হব না’, বাইডেন প্রশাসনকে আক্রমণ রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থীর
Nikki Haley: প্রেসিডেন্ট নির্বাচন ঘিরে ধীরে ধীরে মার্কিন মুলুকে বাড়ছে উত্তাপ। পাকিস্তান সহ একাধিক দেশকে অনুদান দেওয়া নিয়ে বাইডেন প্রশাসনকে বিঁধলেন রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী নিক্কি হ্যালি।
ওয়াশিংটন: ২০২৪ প্রেসিডেন্ট নির্বাচন (US Presidential Election) মার্কিন মুলুকে। এখন থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছে তার নির্বাচনী প্রচার। এই আবহে রিপাবলিকান প্রার্থী বাইডেন প্রশাসনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে সমালোচনা করেছেন। এবার পাকিস্তানকে অর্থ সাহায্য নিয়ে প্রশাসনকে তোপ দাগলেন এবং নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করলেন রিপাবলিকানদের ইন্দো-আমেরিকান প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী নিক্কি হ্যালি। তিনি মঙ্গলবার স্পষ্ট করে জানিয়েছেন ক্ষমতায় এলে পাকিস্তানের মতো খারাপ দেশকে লক্ষ লক্ষ ডলার ধার দেবে না আমেরিকা।
রাষ্ট্রসঙ্ঘে আমেরিকার প্রাক্তন দূত টুইটে জানিয়েছেন, “দুর্বল আমেরিকা খারাপ লোকদের টাকা দেয়: শুধুমাত্র গত বছরেই শত শত মিলিয়ন ডলার পাকিস্তান, ইরাও ও জিম্বাবোয়েকে দেওয়া হয়েছে। একটি শক্তিশালী কখনও বিশ্বের এটিএম হবে না।” আরেকটি টুইটে হ্যালে জানিয়েছেন, “আমেরিকা গোটা বিশ্বের এটিএম হতে পারে না। প্রেসিডেন্ট হিসেবে আমরা পররাষ্ট্রনীতিতে পরিবর্তন আনা নিশ্চিত করব। আমাদের শত্রুদের টাকা পাঠানো বন্ধ করার পরিকল্পনাও রয়েছে…”। অর্থাৎ ক্ষমতায় আসলে মার্কিন বিদেশনীতিতে বদল আনার আভাস দিলেন রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী। এছাড়াও যখন অর্থনৈতিক সঙ্কটে ধুঁকছে পাকিস্তান সেই সময়ে দাঁড়িয়ে পাকিস্তানের উদ্দেশে স্পষ্ট বার্তা দিলেন তিনি।
প্রসঙ্গত, আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জন্য গত মাসেই নির্বাচনী প্রচার শুরু করেছেন হ্যালি। নিউ ইয়র্ক পোস্টের একটি ফিচারে তিনি লেখেন, “যেসব দেশ আমাদের ঘৃণা করে তাঁদের আমরা অনুদান দেওয়া বন্ধ করব। শক্তিশালী আমেরিকা কোনও খারাপ মানুষদের অনুদান দেয় না। এবং গর্বিত আমেরিকার দেশের নাগরিকদের কষ্ট করে উপার্জন করা টাকা এইভাবে নষ্টও করে না। আমরা সেসব নেতাদেরই ভরসা করব যাঁরা শত্রুদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ায় এবং আমাদের বন্ধুদের পাশে থাকে।” সেখানে তিনি আরও উল্লেখ করেন, বিদেশি সাহায্য়ের জন্য আমেরিকা গত বছরে ৪৬ বিলিয়ন ডলার খরচ করেছে। চিন, পাকিস্তান, ইরাকের মতো দেশকে টাকা দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, এই টাকা কোথায় যাচ্ছে এবং তা দিয়ে কী করা হচ্ছে তা জানার অধিকার আমেরিকার করদাতাদের রয়েছে।
হ্য়ালি বাইডেন প্রশাসনকে তোপ দেগে দাবি করেছেন, পাকিস্তান একাধিক সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের আস্তানা জানার পরেও বাইডেন প্রশাসন ফের পাকিস্তানকে সামরিক সাহায্য দেওয়া শুরু করেছে। যেখানে পাকিস্তানের চিনেরও গোপন আঁতাত রয়েছে। এদিকে রাষ্ট্রসঙ্ঘে মার্কিন দূত হিসেবে তিনি প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পাকিস্তানকে ২ বিলিয়ন ডলারের সামরিক সাহায্যে পাঠানো বন্ধ করে দেওয়াকে সমর্থন করেছিলেন বলে জানিয়েছেন তিনি।