বিপদ বেড়েই চলেছে ইউক্রেনে। বৃহস্পতিবারই রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনে সামরিক অভিযান চালানোর নির্দেশ দেন, এরপরই স্থল, জল ও আকাশ পথে প্রতিবেশী দেশের উপর আক্রমণ শুরু করে রাশিয়া। সীমান্ত পার করে এবার রাজধানী কিয়েভের দিকেই এগোচ্ছে রুশ সেনা। শুক্রবার রাতেই ইউক্রেনের রাজধানীতে রাশিয়ান সেনার ঢুকে পড়ার খবর পাওয়া যায়। কিয়েভের আশেপাশের অংশেও আজ সকাল থেকেই দুই দেশের সেনার মধ্যেই ঘনঘন সংঘর্ষ বেঁধেছে।
ইউক্রেনে রাশিয়ান আক্রমণের (Russia-Ukraine Conflict) দুদিন ইতিমধ্যেই অতিক্রান্ত। পুতিনের (Vladimir Putin) হানার মুখে চোখে চোখ রেখে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে ইউক্রেন। এর মাঝেই বড়সড় হানার মুখে পড়ল ক্রেমলিন। শনিবার ক্রেমলিনের সরকার ওয়েবসাইট সাইবার হানার মুখে পড়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে। কারণ অনেকক্ষণ ধরেই ওয়েবসাইট ডাউন রয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
ব্রিটেন জানিয়েছে ইউক্রেনে রাশিয়ান আক্রমণের গতি হঠাৎ করেই কমে গিয়েছে বলেই জানিয়েছে ব্রিটেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। তাদের মতে, হয় রাশিয়ার জোগান ক্রমেই কমে এসেছে নয়তো বা রাশিয়া ইউক্রেনের শক্তিশালী প্রতিরোধের মুখে পড়েছে।
ইউক্রেনে রাশিয়ান আক্রমণের পর থেকে সেদেশ থেকে পালাচ্ছেন শয়ে শয়ে মানুষ। অনেকই সীমান্ত অতিক্রম করে পোল্যান্ডে পৌঁছেছেন। কোনও যানবাহন না পায়ে পায়ে হেঁটে পোল্যান্ড সীমান্তে পৌঁছেছেন ইয়েমেনের বেশ কয়েকজন । তারা জানিয়েছেন ইউক্রেনের পরিস্থিতি ভয়াবহ।
ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণ দু’দিনে পড়েছে। বিশ্বের অন্যতম শক্তিধর রাষ্ট্রের আক্রমণে তথৈবচ অবস্থা ইউক্রেনের। ভারত প্রথম থেকেই ইউক্রেন ইস্যুর ওপর নজর রাখছিল। আক্রমণের প্রথম দিনই রাশিয়ান প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এবার নমোর শরণাপন্ন হলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।শনিবার টুইট করে নিজেই এই কথা জানিয়েছেন জ়েলেনস্কি। রাষ্ট্রপুঞ্জের রাশিয়ার বিরুদ্ধে ভোটদানে বিরত ছিল ভারত ও চিন। ভারতেই এই সিদ্ধান্তের প্রশংসা করেছিল মস্কো। তারপরই ইউক্রেনিয়ান প্রেসিডেন্টের মোদীর কাছে থেকে রাজনৈতিক সমর্থনের আবেদন বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল।
বিস্তারিত পড়ুন : Russia-Ukraine Conflict: শেষমেশ ভারতের শরণাপন্ন ইউক্রেন! মোদীর সঙ্গে কথা জ়েলেনস্কির
রাশিয়ার হানার মুখে শয়ে শয়ে ইউক্রেনবাসীর দেশে ছাড়ার ছবি আগেই সামনে এসেছিল। অনেক ইউক্রেনিয় নাগরিক আতঙ্কে প্রতিবেশী পোল্যান্ডে আশ্রয় নিয়েছেন। প্যোলান্ড বর্ডার গার্ড জানিয়েছে, ইতিমধ্যেই কমপক্ষে ১ লক্ষ ইউক্রেনিয় নাগরিক সীমান্ত অতিক্রম করে পোল্যান্ডে আশ্রয় নিয়েছে।
রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ প্রসঙ্গে মুখ খুললেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। বিশ্বকে সতর্ক করে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট জানিয়েছেন, রাশিয়াও-ইউক্রেনের মধ্য যে যুদ্ধ চলছে তা দীর্ঘমেয়াদি হবে এবং সেই কারণে গোটা বিশ্বকে প্রস্তুত থাকতে হবে। ফ্রান্সের বার্ষিক কৃষি মেলার ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট জানিয়েছেন, “এই সকালে আমি আপনাদের একটা কথা বলতে পারি যে এই যুদ্ধ দীর্ঘমেয়াদি হবে। এই যুদ্ধের ফলে সংকট তৈরি হবে এবং তার প্রভাব ও অনেকদিন ধরে থাকবে।”
বিস্তারিত পড়ুন Russia-Ukraine Conflict: রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে ভবিষ্যদ্বাণী, আশঙ্কার কথা শোনালেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট
ইউক্রেন থেকে এই প্রথম বিমানে করে ২১৯ জন ভারতীয়কে উদ্ধার করা হল। বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর জানিয়েছেন, রোমানিয়া থেকে বিমানে এয়ার লিফটের মাধ্যমে তাদেরকে উদ্ধার করা হয়েছে। বিদেশমন্ত্রী জানিয়েছেন আটকে থাকা ভারতীয়দের উদ্ধারের চেষ্টা করছে বিদেশমন্ত্রী এবং তিনি নিজে পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছেন।
The first flight to Mumbai with 219 Indians evacuated from Ukraine has taken off from Romania, says EAM Dr S Jaishankar
We are making progress. Our teams are working on the ground round the clock. I'm personally monitoring, he adds. pic.twitter.com/0OM21NDlah
— ANI (@ANI) February 26, 2022
বেশ কিছু দেশ রাশিয়ার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ইউক্রেনকে অস্ত্র দিয়ে সাহায্যের কথা ঘোষণা করছে। এবার ইউক্রেনকে অস্ত্র দিয়ে সাহায্য়ের কথা ঘোষণা করল ব্রিটেন। ব্রিটেনের অস্ত্রশস্ত্র বিষয়ক মন্ত্রী জেমস হেপি জানিয়েছেন, নাগরিকদের মানবিক সাহায্য করার পাশাপাশি সামরিকভাবেও সাহায্য করা হবে।
কঠিন পরিস্থিতিতে ইউক্রেনের পাশে দাঁড়ানোর বার্তা দিয়েছিল ফ্রান্স। এবার ইউক্রেনে অস্ত্রশস্ত্র পাঠিয়ে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিল ফ্রান্স। শনিবার সকালেই ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জ়েলেনস্কি টুইট করে জানান, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইম্যানুয়েল ম্যাক্রঁর সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছে।
ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার দুই দিন হয়ে গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে পশ্চিমী শক্তিগুলি রাশিয়ার পদক্ষেপের প্রবল নিন্দা করেছে। গতকাল রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠক ডাকা হয়েছিল। সেই বৈঠকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং আলবেনিয়া রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের বিরুদ্ধে যৌথ নিন্দা প্রস্তাব আনে। সঙ্গে সেই প্রস্তাবে ভেটো প্রয়োগ করে মস্কো। এই নিন্দা প্রস্তাবে সমর্থন জানায় ১১ টি দেশ। কিন্তু ভারত কোনও পক্ষই নেয়নি। নয়া দিল্লির তরফে জানানো হয়েছে যে আলোচনার মাধ্যমেই কেবলমাত্র এই পরিস্থিতির সমাধান সম্ভব। কূটনৈতিক আলোচনার সুযোগ হাতছাড়া হওয়ার জন্য ‘আফসোস’ করা হয়েছে।
বিস্তারিত পড়ুন : Russia-Ukraine Conflict : ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের কড়া সমালোচনা, তবে নিন্দা প্রস্তাবে চিনের ‘সুরে সুর মিলিয়ে’ ভোটে ‘না’ ভারতের
সকালে পরিস্থিতি থমথমে থাকলেও, বেলা গড়াতেই কিয়েভের দক্ষিণপশ্চিমে ক্ষেপণাস্ত্র আছড়ে পড়েছে। রয়টার্স সূত্রে জানা গিয়েছে, কিয়েভের একটি আবাসনে আছড়ে পড়েছে ক্ষেপণাস্ত্র। আরেকটি ক্ষেপণাস্ত্র বিমানবন্দরের কাছে আছড়ে পড়েছে।
“We are not targeting civilian facilities” pic.twitter.com/FOvtol6QAt
— Myroslava Petsa (@myroslavapetsa) February 26, 2022
বৃহস্পতিবার থেকে রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে যে সংঘর্ষ শুরু হয়েছে, তাদের বিপুল ক্ষয়ক্ষতির মুখে পড়েছে রুশ সেনা, এমনটাই দাবি ইউক্রেনের মিলিটারি বাহিনীর। এদিন ইউক্রেনের মিলিটারি বাহিনীর ফেসবুক পোস্টে জানানো হয় যে, দুদিনের সংঘর্ষে কমপক্ষে ৩৫০০ রুশ সেনার মৃত্যু হয়েছে। প্রায় ২০০ জনকে বন্দি করা হয়েছে। এছাড়াও ১৪টি রুশ বিমান, ৮টি হেলিকপ্টার, ১০২টি ট্যাঙ্কার ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে।
ইউক্রেনের স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কৃষ্ণসাগর থেকে ইউক্রেন লক্ষ্য করে হামলা চালাচ্ছে রুশ রণতরী। একাধিক জায়গায় এয়ারস্ট্রাইকও চালানো হয়েছে।
দেশের সেনাবাহিনীর প্রশংসা করে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন জানান, রাশিয়ার সেনারা ইউক্রেনে সাহসিকতা, পেশাদারিত্বের সঙ্গে বীরের মতো নিজেদের দায়িত্ব পালন করছেন। সিকিউরিটি কাউন্সিলের বৈঠকে পুতিন বলেন, ইউক্রেনে জঙ্গি ও নিও-নাজ়িদের সঙ্গে যুদ্ধ করা হচ্ছে। একইসঙ্গে তিনি ইউক্রেনের সেনাকে কিয়েভ থেকে নেতৃত্বদের সরিয়ে দেওয়ার কথাও বলেন। ইউক্রেনে সুদিন আনবেন, এই প্রতিশ্রুতিও দেন তিনি।
দুই দেশের মধ্যে যখন লাগাতার আক্রমণ, পাল্টা আক্রমণ চলছে, সেই সময়ই শুক্রবার পুতিন বলেন, “আমি ফের একবার ইউক্রেনের সশস্ত্র বাহিনীর সেনা জওয়ানদের অনুরোধ করছি, নিও-নাজ়ি এবং ইউক্রেনের বিচ্ছিন্নতাবাদী শক্তিগুলিকে নিজেদের স্ত্রী, সন্তান ও বয়স্কদের মানবঢাল হিসাবে ব্যবহার করতে দেবেন না”। ইউক্রেনীয় সেনা যদি নিজের হাতে ক্ষমতা তুলে নেয়, তবে দুই দেশের মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে কোনও চুক্তি বা সম্মতিতে পৌঁছনো সহজ হবে বলে জানান পুতিন।
ইউক্রেনে আটকে থাকা অধিকাংশ ভারতীয় পড়ুয়াদের দাবি, বিগত ৩-৪দিনেই পরিস্থিতি আরও ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছে। বাঙ্কারগুলিও ভর্তি হয়ে এসেছে। রাস্তাঘাটে বেরনো যাচ্ছে না, ক্রমাগত গুলি-বোমা বর্ষণ হচ্ছে। পরিস্থিতি খারাপ হওয়ার আগেই তারা কেন দেশে ফিরে আসেননি, এই প্রশ্নের জবাবে তারা জানিয়েছেন, পর্যাপ্ত সংখ্যক বিমান না থাকায় এবং টিকিটের সর্বনিম্ন দামই ৭০ থেকে ৯০ হাজার টাকা হওয়ায় অনেকের পক্ষেই এই মুহূর্তে ফিরে আসা সম্ভব হচ্ছে না। কেন্দ্রের তরফেও যে বিশেষ বিমানের ব্যবস্থা করা হয়েছে, সেখানেও কীভাবে পড়ুয়ারা পৌঁছবেন, তাও জানেন না।
খারকিভ ন্যাশনাল মেডিকেল ইউনিভার্সিটির এক পড়ুয়া জানান, পরিস্থিতি অত্যন্ত উদ্বেগজনক। আমরা কলেজের কয়েকজন বন্ধু অস্থায়ী বাঙ্কারে আশ্রয় নিয়েছি। কেন্দ্রের তরফে উদ্ধারকারী বিমান পাঠানোর কথা বললেও, এই পরিস্থিতিতে ইউক্রেনের পশ্চিম সীমান্তে পৌঁছনো অসম্ভব। এখান থেকে প্রায় দুই হাজার কিলোমিটার দূরে ওই সীমান্ত। আমরা বাড়ির সামনের সুপারমার্কেটেই যেতে পারছি না, ইউক্রেন সীমান্তে যাওয়া তো দূরের কথা। সারাদিন ধরেই বোমাবর্ষণের শব্দ শুনতে পাচ্ছি। কোথায় যাব, কীভাবে যাব, সে সম্পর্কে কিছুই জানানো হয়নি আমাদের।
বিস্তারিত পড়ুন: Indian Students Stuck in Ukraine: ‘কোথায় যাব, তাই-ই জানিনা’, বিশেষ বিমান পাঠানো হলেও দেশে ফেরা অনিশ্চিত অনেক পড়ুয়ারই!
রাশিয়ার হামলার পরই জানিয়েছিলেন, তাঁকে নিশানা বানানো হচ্ছে। এবার দেশকে রক্ষা করতে হাতে বন্দুকও তুলে নিলেন ইউক্রেন(Ukraine)-র প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জ়েলেনস্কি (Volodymyr Zelensky)। শুক্রবারই তিনি সেনাদের সঙ্গে রাস্তায় বসে একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেন। গাঢ় সবুজ রঙের মিলিটারি পোশাক পরে, প্রেসিডেন্সি বিল্ডিংয়ের বাইরে প্রধানমন্ত্রী, চিফ অব স্টাফ সহ একাধিক শীর্ষ আধিকারিকদের পাশে নিয়েই রাশিয়ার চাপের জবাব দিতে দেখা যায় ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জ়েলেনস্কিকে। দেশবাসীর উদ্দেশে পোস্ট করা ভিডিয়ো বার্তায় তিনি বলেন, “আমরা সবাই এখানে রয়েছি। আমাদের মিলিটারি বাহিনী রয়েছে। সমাজের সাধারণ মানুষও রয়েছে। আমরা সবাই মিলেই আমাদের স্বাধীনতার জন্য, দেশের জন্য লড়াই করছি। আগামিদিনেও এইরকমভাবেই একসঙ্গে থাকব আমরা।”
ইউক্রেনে (Ukraine) হামলা চালানোয় একদিকে যেমন চটেছে ন্যাটো(NATO)-র সদস্য দেশগুলি, তেমনই আবার খুশি নন রাশিয়া(Russia)-র সাধারণ মানুষ। শুক্রবারই প্ল্যাকার্ড, পতাকা হাতে পথে নামেন কয়েকশো মানুষ। প্রেসিডেন্ট পুতিনের সামরিক অভিযান চালানোর নিন্দা করে তারা পথে বিক্ষোভ দেখান। দেশের জনতার বিক্ষোভের মুখে পড়ে এবার আরও কঠোর হল রুশ প্রশাসন। শুক্রবারই প্রশাসনের তরফে জানানো হয়, ফেসবুক(Facebook)-র উপর আংশিক বিধিনিষেধ আরোপ করা হচ্ছে। সূত্রের খবর, ইউক্রেনের উপর হামলা চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়ে ক্রেমলিনের সমর্থনপ্রাপ্ত একাধিক সংবাদমাধ্যম যেভাবে সোশ্যাল মিডিয়ায় মস্কোকে নিশানা বানিয়েছে, তার আঁচ দেশবাসীর মধ্যে ছড়িয়ে পড়া থেকে রুখতেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে রুশ প্রশাসন।
বিস্তারিত পড়ুন: Russia Partially Restricts Facebook: ব্যক্তি স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপের অভিযোগ! ফেসবুকের উপর বিধিনিষেধ চাপাল রাশিয়া
খারকিভের বিমানবন্দরের কাছেও শুক্রবারই বিস্ফোরণের শব্দ পাওয়া যায়। লভিভ শহরেও সতর্কতা জারি করা হয়েছে। সুমি শহরেও রুশ সেনার সঙ্গে ইউক্রেনের সৈন্যদের ঘন ঘন সংঘর্ষ বেঁধেছে বলে জানা গিয়েছে।
কিয়েভের মেয়র জানান, শহরের আশেপাশের অঞ্চলে ভারী গোলাবর্ষণ ও গুলি চালানোর খবর পাওয়া গিয়েছে। রাশিয়ার সেনা ইতিমধ্যেই কিয়েভে ঢুকে পড়েছে। ওদের প্রধান লক্ষ্যই হল রাজধানী দখল করে গোটা দেশের উপর আধিপত্য জারি করা। অন্যদিকে, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জ়েলেনস্কিও টুইট করে জানিয়েছেন, পূর্বের চেরেনিহিভ, মেলিটোপোল ও হস্টোমল শহরে ভারী সংঘর্ষ হয়েছে। বহু সেনা মারা পড়েছে।
বিস্তারিত পড়ুন: Russia-Ukraine Conflict: শহরের রাস্তায় ঘুরছে রাশিয়ান ট্যাঙ্কার, ‘অস্ত্র’ হাতে জবাব দিতে প্রস্তুত কিয়েভবাসীও