মস্কো: ইউক্রেনের উপরে ক্ষমতা জাহির করছে রাশিয়া (Russia)। লাগাতার গোলাবর্ষণে গুড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে একের পর এক শহর। যেখানে রাশিয়ার সামরিক ক্ষমতার দিকেই নজর গোটা বিশ্বের, সেখানেই রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন(Vladimir Putin)-র সম্পত্তির খোঁজ শুরু করল ন্যাশনাল ক্রাইম এজেন্সি (National Crime Agency)। ব্রিটেনে পুতিনের কত কোটি টাকার সম্পত্তি লুকিয়ে রাখা হয়েছে, তা খুঁজে নের করতে গিয়েই একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এসেছে। জানা গিয়েছে, ভ্লাদিমির পুতিনের এক কন্যা, যিনি রাশিয়ার অন্যতম কোটিপতি, তিনি সারে এস্টেট(Surrey Estate)-র বাসিন্দা। জল্পনা শোনা যায়, পুতিনই বিশ্বের সবথেকে ধনী ব্যক্তি। তাঁর সম্পত্তির আনুমানিক পরিমাণ ২০ হাজার কোটি ইউরো। রাশিয়ায় তৈরি প্রতিটি রুবেল (রাশিয়ার মুদ্রা)-র থেকে ৫০ শতাংশ ভাগ নিজের জন্য রাখেন পুতিন।
সূত্রের খবর, বিশ্বের সবথেকে ধনী ব্যক্তি হলেও, সেই সম্পত্তির হিসাব প্রকাশ করেন না পুতিন। মোট সম্পত্তির একটা বড় অংশই তিনি নিজের একাধিক প্রেমিকা, সন্তান, কেজিবির সদস্য থেকে শুরু করে তাঁর স্কুলজীবনের বন্ধু-বান্ধব, সেন্ট পিটার্সবার্গের মেয়র থাকাকালীন পরিচয় হওয়া নানা ঘনিষ্ঠ ব্যক্তির সাহায্যেই তিনি নিজের বিপুল সম্পত্তি লুকিয়ে রাখেন। রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের সম্পত্তি লুকোনোর কাজে অন্যতম সহযোগী, তাঁর বাল্যবন্ধু বুচারের ছেলের নামেই ৫০ কোটি ডলারের সম্পত্তি রয়েছে, যার কোনও হিসাব নেই। তাঁর এক আত্মীয়ের ভাইপোর কাছেও ৫০ কোটি ডলারের সম্পত্তি রয়েছে। প্রাক্তন কেজিবির শীর্ষকর্তাও বর্তমানে রাশিয়ার বৃহত্তম তেল সংস্থার প্রধান। হিসাব বহির্ভূত এই সম্পত্তির সূত্র খুঁজতে গিয়েই পুতিনের ‘অলিখিত’ সম্পত্তির খোঁজ পাওয়া গিয়েছে।
ব্রিটেনে পুতিনের সম্পত্তির খোঁজে নেমে ন্যাশনাল ক্রাইম এজেন্সির তরফে জানানো হয়েছে, পুতিনের তিন মেয়ের মধ্যে এক মেয়ের সম্পত্তির পরিমাণ বর্তমানে ১০ কোটির ডলারেরও বেশি। সারে এস্টেট নামক অভিজাত এলাকায় তাঁর বাড়িও রয়েছে। প্রতিবেশীদের দাবি, রাশিয়ার পতাকা লাগানো বিশাল লিম্যুজিন গাড়ি দেখা গিয়েছে। বাড়ির পিছনে গল্ফ কোর্সে হেলিকপ্টার নামতেও দেখা গিয়েছে।
উল্লেখ্য, ৬৮ বছরের রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের স্ত্রীর নাম লিউডমিলা পুতিনা। তাঁদের দুটি মেয়ে রয়েছে, মারিয়া (৩৫) ও ক্যাটেরিনা (৩৪)। এছাড়াও বাড়ির পরিচারিকার সঙ্গে অবৈধ সম্পর্ক থেকেও ২০০৩ সালে পুতিনের আরেকটি মেয়ে জন্মায়। সন্তান জন্মানোর পরই ওই পরিচারিকার সম্পত্তি ১০ কোটি ডলারে পৌঁছয় বলে জানা গিয়েছে।
সূত্রের খবর, কৃষ্ণ সাগরের তীরেও পুতিনের বিশাল প্রাসাদ রয়েছে, যার বাজার মূল্য ১০০ কোটি ডলারেরও বেশি। সেই প্রাসাদে শৈচাগার পরিস্কার করার ব্রাশের দামই নাকি ৬৫০ ডলার। তবে শুরু রাশিয়া নয়, বিশ্বের বিভিন্ন দেশেই লুকিয়ে রাখা আছে ভ্লাদিমির পুতিনের সম্পত্তি। এছাড়াও বিভিন্ন ব্যবসা ও বিনিয়োগও করা হয় পুতিনের নাম আড়াল করেই।
আরও পড়ুন: Russia-Ukraine Conflict: ২১ দিন পর মিলল সমাধানসূত্র, রাশিয়ার ২টি শর্ত মানলেই থামবে যুদ্ধ