Vladimir Putin: বুড়ো হবেন না পুতিন! বিজ্ঞানীদের ঘাড়ে বন্দুক ধরে তৈরি করাচ্ছেন অ্যান্টি-এজিং ওষুধ

Anti-Ageing: প্রেসিডেন্ট পুতিনের কাছ থেকে কড়া নির্দেশ পাওয়ার পরই সে দেশের স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে একাধিক গবেষণা প্রতিষ্ঠানে যোগাযোগ করা হয়েছে। সেখানের চিকিৎসক-গবেষকদের এমন ওষুধ বা চিকিৎসা পদ্ধতি আবিষ্কার করতে বলা হয়েছে যা সাধারণ মানুষের বয়স বা বার্ধক্য রুখে দেবে।

Vladimir Putin: বুড়ো হবেন না পুতিন! বিজ্ঞানীদের ঘাড়ে বন্দুক ধরে তৈরি করাচ্ছেন অ্যান্টি-এজিং ওষুধ
ভ্লাদিমির পুতিন।Image Credit source: AFP
Follow Us:
| Updated on: Sep 04, 2024 | 12:08 PM

মস্কো: বুড়ো হতে চান না পুতিন। খুঁজছেন বয়স থামানোর ওষুধ। তাই বিজ্ঞানীদের নির্দেশ দিলেন অ্যান্টি-এজিং ওষুধ তৈরি করার। এমনটাই জানা গিয়েছে সাম্প্রতিক এক রিপোর্টে। যদিও রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের দাবি, নিজের জন্য নয়, দেশের জন্যই এই ওষুধ তৈরি করতে বলেছেন। লক্ষ্যমাত্রা হল ২০৩০ সালের মধ্যে ১ লক্ষ ৭৫ হাজার মানুষের জীবন বাঁচানো।

জানা গিয়েছে, রাশিয়ার মানুষদের আয়ু কমা নিয়েই উদ্বেগে প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। যাতে তাদের আয়ু বাড়ে, তার জন্য রাশিয়ার বিজ্ঞানীদের দ্রুত বার্ধক্য রোধকারী বা অ্যান্টি-এজিং চিকিৎসা পদ্ধতি আবিষ্কার করতে বলেছেন। গত জুন মাসেই এই নির্দেশ দিয়েছিলেন। সম্প্রতি মেদুজ়া ও সিস্টেমার তদন্তমূলক রিপোর্টিংয়ে এই তথ্য উঠে এসেছে।

সূত্রের খবর, প্রেসিডেন্ট পুতিনের কাছ থেকে কড়া নির্দেশ পাওয়ার পরই সে দেশের স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে একাধিক গবেষণা প্রতিষ্ঠানে যোগাযোগ করা হয়েছে। সেখানের চিকিৎসক-গবেষকদের এমন ওষুধ বা চিকিৎসা পদ্ধতি আবিষ্কার করতে বলা হয়েছে যা সাধারণ মানুষের বয়স বা বার্ধক্য রুখে দেবে। ২০৩০ সালের মধ্যে ১ লক্ষ ৭৫ হাজার মানুষের জীবন রক্ষার লক্ষ্যমাত্রা স্থির করে দেওয়া হয়েছে।

মস্কোয় ‘রসিয়া’ এক্সিবিশনে রাশিয়ার উপ প্রধানমন্ত্রী টাটিয়ানা গোলিকভা জানিয়েছেন, সরকার অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার করে এমন চিকিৎসা পদ্ধতি আবিষ্কার করা হবে যা আয়ু বাড়াবে এবং জীবনের মানোন্নয়ন করবে।

কী কী বিষয়ে নজর দিতে বলা হয়েছে চিকিৎসকদের?

  • কোষের বার্ধক্য বা সেলুলার এজিংয়ের প্রভাব দূর করা বা কমানো
  • স্নায়ু বিকল হয়ে যাওয়া, জ্ঞান, সংবেদনশীলতার দূর্বলতা কমানো
  • রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো।

দেশবাসীর জন্যই এই চিকিৎসা পদ্ধতি আবিষ্কার করতে বলা হয়েছে, এমনটা সরকার জানালেও, যেভাবে ঘাড়ে বন্দুক রেখে সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে, তাতে সিঁদুরে মেঘ দেখছেন বিজ্ঞানীরা। তাদের অনুমান, হয়তো পুতিন নিজের জন্যই এই ওষুধ চাইছেন। এই গবেষণায় বিপুল খরচ নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন চিকিৎসকরা।

আরও খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Tv9 বাংলা অ্যাপ (Android/ iOs)