AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

‘আমরা জানি কীভাবে সেক্সের নেশা ধরাতে হয়’, যৌনফাঁদের পর্দাফাঁস করলেন ‘বন্ড’ গার্ল

Russian Spy: রোজা বলেন, "এটা শুধুমাত্র শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করার বিষয় ছিল না। তার থেকেও অনেক বেশি কিছু ছিল ওই প্রশিক্ষণ। আমাদের শেখানো হয়েছিল কীভাবে সঠিক পোশাক পরতে হয়, কীভাবে মেত-আপ করতে হয়। কীভাবে টার্গেটদের সঙ্গে কথা বলতে হবে, তাদের নিজের প্রতি আকর্ষিত করতে হবে..."

'আমরা জানি কীভাবে সেক্সের নেশা ধরাতে হয়', যৌনফাঁদের পর্দাফাঁস করলেন 'বন্ড' গার্ল
প্রতীকী চিত্র।Image Credit: pinterest
| Updated on: May 03, 2024 | 2:26 PM
Share

মস্কো: হতে চেয়েছিলেন ফ্যাশন ডিজাইনার, পরিস্থিতির চাপে পড়ে হয়ে গিয়েছিলেন গুপ্তচর। তাও আবার এমনি কিছু নয়, রাশিয়ার স্পাই হিসাবে কাজ করতেন আলিয়া রোজ়া। তাঁর কাজ ছিল, ভিন দেশের বিভিন্ন কর্মকর্তাদের ফাঁদে ফেলা এবং তাদের পেট থেকে গোপন কথা বের করা। এর জন্য তাঁকে ‘সেক্স স্পাই’ হিসাবে ব্যবহার করা হত।

দীর্ঘদিন রাশিয়ার এই প্রাক্তন স্পাই মুখ বন্ধ করে রাখলেও, সম্প্রতিই তিনি মুখ খুলেছেন। বলেছেন কীভাবে কেজিবির প্রশিক্ষণ নিয়ে তিনি স্পাইয়ের কাজ করা শুরু করেন। কীভাবে নিজের ‘টার্গেট’দের শরীরী ভাষায় আকর্ষিত করতেন এবং ফাঁদে ফেলতেন, তাও বলেছেন।

আলিয়া রোজা।

একটি সংবাদমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে আলিয়া জানিয়েছেন, তাঁর বাবার চাপে পড়েই মাত্র ১৮ বছর বয়সে রাশিয়ার স্পেশাল গভর্নমেন্ট প্রোগ্রামে সামিল হয়েছিলেন। সেখানে তাঁকে মার্শাল আর্ট সহ একাধিক প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। ওই প্রশিক্ষণ শেষ হলে, তাঁকে ‘সেক্স প্রোগ্রামে’ সামিল করা হয়। ৩৫০ জনের মধ্যে থেকে তাঁকে বাছা হয় গোপনীয় একটি প্রোগ্রামের জন্য। সেখানে কেজিবির প্রাক্তন সাইকোলজিস্ট ও উচ্চ পদস্থ অফিসাররা প্রশিক্ষণ দিতেন।

তিনি বলেন, “এটা শুধুমাত্র শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করার বিষয় ছিল না। তার থেকেও অনেক বেশি কিছু ছিল ওই প্রশিক্ষণ। আমাদের শেখানো হয়েছিল কীভাবে সঠিক পোশাক পরতে হয়, কীভাবে মেত-আপ করতে হয়। সকলের সামনে কীভাবে নিজেকে উপস্থাপনযোগ্য হিসাবে তুলে ধরতে হয়, কীভাবে টার্গেটদের সঙ্গে কথা বলতে হবে, তাদের নিজের প্রতি আকর্ষিত করতে হবে… গোটা বিষয়টাই হল মানুষের মনস্তত্ত্ব নিয়ে খেলা। পুরুষরা কী ভাবে এবং তারা কী চায়, তা শেখানো হত।”

কী কাজ করতেন ওই রাশিয়ান স্পাই?

তাঁকে যে টার্গেট দেওয়া হত, তাদের ‘সিডিউস’ বা নিজের প্রতি আকর্ষিত করত আলিয়া। ভাল লাগা তৈরি থেকে শুরু করে তাদের সঙ্গে বন্ধুত্ব করা এবং শেষ অবধি তাদের বিছানায় টেনে নিয়ে যাওয়া। এভাবেই সবাইকে ফাঁদে ফেলত ওই স্পাই। পুরুষদের নিজের হাতের মুঠোয় রাখার জন্য বিশেষ ‘সেক্স টেকনিক’ও শেখানো হত।

ওই যুবতী নিজেকে দেশপ্রেমী বলে মনে করলেও, তাঁর আক্ষেপ অনেকেই তাঁকে যৌনকর্মী বলে মনে করে।  এফবিআই (মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা)-র এক প্রাক্তন এজেন্ট নাকি তাঁকে বলেছিলেন যে সে একটা সেক্স টয়। প্রতিনিয়ত সে নিজের দেহকে বিক্রি করে, পুরুষদের থেকে ধর্ষিত  হয়।