AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Kabul Rocket Attack: লক্ষ্য ছিল ঘনবসতিপূর্ণ এলাকাই! কাবুলে ফের রকেট হামলায় বিপর্যস্ত বিদ্যুৎ পরিষেবা

রকেট হামলা থেকে স্থানীয় বাসিন্দারা সুরক্ষিত থাকলেও তাদের দাবি, রকেটের সেল চামতালাহ বৈদ্যুতিন সাব স্টেশনে গিয়ে পড়েছে। সেই অভিঘাতেই বিস্ফোরণ হয় এবং  আশেপাশের বিস্তীর্ণ  অঞ্চলের বিদ্যুৎ পরিষেবা ব্য়হত হয়।

Kabul Rocket Attack: লক্ষ্য ছিল ঘনবসতিপূর্ণ এলাকাই! কাবুলে ফের রকেট হামলায় বিপর্যস্ত বিদ্যুৎ পরিষেবা
ফাইল চিত্র।
| Edited By: | Updated on: Sep 17, 2021 | 6:48 AM
Share

কাবুল: ফের রকেট হামলা আফগানিস্তানে (Afghanistan)। এ বারও নিশানায় সেই রাজধানী কাবুল (Kabul)। একটি স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার কাবুলে একাধিক রকেট বর্ষণ (Rocket Attack) হয়। ঘটনায় এখনও কোনও হতাহতের খবর না মিললেও বিদ্যুৎ পরিষেবা বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।

আফগান সংবাদমাধ্যম টোলো নিউজের দাবি, বৃহস্পতিবার কাবুলের খইর খানা অঞ্চলে রকেট বর্ষণের শব্দ শোনা যায়। এক নয়, একাধিক রকেট বর্ষণ হয়েছে বলে দাবি। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলির দাবি, ওই অঞ্চলেই অবস্থিত একটি বিদ্যুৎ প্ল্যান্টে রকেট আঘাত করায় সেখানে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে এবং বিদ্যুৎ পরিষেবা বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।

রকেট হামলা থেকে স্থানীয় বাসিন্দারা সুরক্ষিত থাকলেও তাদের দাবি, রকেটের সেল চামতালাহ বৈদ্যুতিন সাব স্টেশনে গিয়ে পড়েছে। সেই অভিঘাতেই বিস্ফোরণ হয় এবং  আশেপাশের বিস্তীর্ণ  অঞ্চলের বিদ্যুৎ পরিষেবা ব্য়হত হয়। ফের কবে লাইন সারাই হয়ে বিদ্যুৎ চালু হবে, তা বলতে পারছে না কেউই।

কাবুলে এই রকেট হামলার দায় এখনও স্বীকার করে নেয়নি কোনও জঙ্গি সংগঠন। তালিবানের তরফেও এই বিষয়ে মুখে কুলুপ আঁটা হয়েছে। ফলে কে বা কারা হামলা চালাল, এই হামলার পিছনে উদ্দেশ্য কী, কিছুই জানা যায়নি। তবে এই প্রথম নয়, তালিবান আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখলের পর এটি তৃতীয় রকেট হামলা।
এর আগে গত ২৬ অগস্টও কাবুলের হামিদ কারজ়াই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, যা বর্তমানে কাবুল বিমানবন্দর নামে পরিচিত, সেখানে আত্মঘাতী হামলা চালানো হয়। বিকেল ৫টা নাগাদ, যখন মার্কিন সেনা পাসপোর্ট যাচাই করে আফগানবাসীদের ঢুকতে দিচ্ছিল, সেই সময়ই আচমকা বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে বিমানবন্দরের অ্যাবেই গেট। কিছু বুঝে ওঠার আগেই কয়েক মিনিটের ব্যবধানে দ্বিতীয় বিস্ফোরণটি হয়।

এ বারের বিস্ফোরণটি ছিল বিমানবন্দরের উল্টোদিকেই অবস্থিত ব্যারন হোটেলের সামনে। বিস্ফোরণের জের সামলে উঠতেই দেখা যায়, চারিদিকে শুধু ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে রয়েছে মৃতদেহ। কারোর হাত পা নেই, কারোর আবার গোটা দেহটাই ঝলসে গিয়েছে। বিমানবন্দর লাগোয়া যে খালটি ছিল, তার জলের রঙ বদলে গিয়েছে রক্তের রঙে। সেখানেও পড়ে রয়েছে ছিন্ন ভিন্ন হয়ে যাওয়া দেহগুলি। কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই কাবুলের বিভিন্ন জায়গায় আরও দুটি থেকে তিনটি বিস্ফোরণ হওয়ার খবর মেলে। সব মিলিয়ে মোট ১০৩ জনের মৃত্য়ুর খবর মেলে। এদের মধ্যে ৯০ জন আফগান নাগরিক, ২৩ জন মার্কিন সেনা।

পরেরদিনই সকাল থেকে ফের বিমানবন্দর লক্ষ্য করে একাধিক রকেট পাঠানোর চেষ্টা করা হয়। তবে রকেটগুলি উচ্চ ক্ষমতাযুক্ত না হওয়ায় কাবুলের খাওজা বুঘরা জেলার গুলাই অঞ্চলে পড়ে। সেখানে একটি বাড়ির ছাদে রকেটটি পড়ে। ঘটনায় দুই শিশু সহ নয়জনের মৃত্যু হয়। আশেপাশের বাড়িগুলিও ক্ষতিগ্রস্থ হয়। প্রথম হামলার দায়স্বীকার আইসিস-খোরাসান করে নিলেও রকেট হামলাগুলির দায় স্বীকার করেনি কেউ।