Airlines Gifts Passengers : বিমান যাত্রায় মিলল উপহার, ইউকুলেলে হাতে ২০ মিনিটের প্রশিক্ষণ যাত্রীদের
Airlines Gifts Passengers : যাত্রীদের ইউকেলেলে উপহার দিল সাউথওয়েস্ট এয়ারলাইন্স। এদিকে যাত্রাপথে ২০ মিনিটের প্রশিক্ষণও দেওয়া হল তাঁদের।
হাওয়াই : বিশ্বের সবথেকে সুখী বিমানযাত্রা হয়ত এটাই। আর কেউ যদি গানবাজনা ভালবেসে থাকেন তাহলে তাঁদের জন্য তো সোনায় সোহাগা। এই বিমানে যাত্রা করলেই তাঁরা পেতেন একটি নিশ্চিত উপহার। হ্য়াঁ, এটাই সত্যি। সাউথ-ওয়েস্ট এয়ারলাইন্স তার প্রত্যেক যাত্রীদের ইউকেলেলে উপহার দেওয়া হয়েছে। এতে আপ্লুত যাত্রীরা। এই এয়ারলাইন্স এই বাদ্যযন্ত্র হাতে যাত্রীদের একটি ছবিও পোস্ট করেছে।
ক্যালিফোর্নিয়া থেকে হাওয়াই উড়ে যাওয়ার বিমান। সাউথওয়েস্ট এয়ারলাইন্সের সেইসব যাত্রীদের সবাইকে ইউকেলেলে দিল এই উড়ান সংস্থা। এবং সেই বাদ্যযন্ত্র বাজানোর জন্য দেওয়া হল ২০ মিনিটের প্রশিক্ষণও। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ৩০ হাজার উচ্চতায় যাত্রীরা নিলেন প্রশিক্ষণও। এয়ারলাইন্স জানিয়েছে, হাওয়াইয়ান সংস্কৃতি প্রচারের জন্য একটি গিটার সেন্টারের সঙ্গে তারা অংশীদারিত্ব করেছে। প্রত্যেক যাত্রীকে নতুন মিচেল এমইউ৪০ সোপরানো ইউকেলেলে দেওয়া হয়েছে।
সাউথওয়েস্ট এয়ারলাইন্সের তরফে একটি ছবি টুইট করা হয়েছে। সেই ছবিতে দেখা যাচ্ছে, সব যাত্রীর হাতে একটি করে ইউকেলেলে। সেই ছবির ক্যাপশনে সংস্থা লিখেছে, হাওয়াই পৌঁছতে পৌঁছতে সবাই এই বাদ্যযন্ত্র বাজাতে পটু হয়ে যাবেন। লেখা রয়েছে, ‘আমরা একটি গিটার সংস্থার সঙ্গে জুটি বেঁধেছি। ইউকেলেলে দিয়ে যাত্রীদের আমরা চমকে দিয়েছি। এই বিচ দিয়ে উড়ে যাওয়ার সময় তাঁদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। তাঁরা হনলুলু পৌঁছনোর আগে পটু হয়ে যাবেন।’ তবে টুইটারে এই নিয়ে ভিন্ন মতামত দিয়েছেন ব্যবহারকারীরা। এয়ারলাইন্সের এই চিন্তাভাবনাকে অনেকেই স্বাগত জানাতে পারেনি। এক টুইটার ব্যবহারকারী সেই পোস্টে লিখেছেন, ‘মনে হচ্ছে সবাই পিআর স্টান্টটি উপভোগ করেনি। এর থেকে যাঁরা টিকিট বুক করছেন তাঁদের উপর একটি সমীক্ষা চালানো উচিত ছিল। তাঁরা এটি পছন্দ করবেন কি না তা জেনে নেওয়া একটি ভাল চিন্তাভাবনা। নয়ত তাঁদের খুশি করার উদ্দেশ্য থাকলেও কেউ তা ঘৃণা করতেই পারেন। এই কারণে আপনাদের সঙ্গে আমার যাত্রার ইচ্ছেও কমে গেল।’ এরকম অনেকেই এই উড়ান সংস্থার পদক্ষেপের নিন্দা করেছেন।