Imran Khan: কাউকে দেখা করতে দেওয়া হচ্ছে না, জেলেই কি মৃত্যু হল ইমরান খানের? উত্তপ্ত গোটা পাকিস্তান
Pakistan: ইমরানের তিন বোন, নরিন খান, আলিমা খান ও উজমা খান রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা জেলে গিয়েছিলেন তাঁর সঙ্গে দেখা করতে। অভিযোগ, তাদের ব্যাপক মারধর করে পুলিশ। তাদের সঙ্গে ইমরানের দল, তেহরিক-ই-ইনসাফ পার্টির সমর্থকরা ছিলেন। তাদেরও মারধর করা হয়।

ইসলামাবাদ: আদৌ বেঁচে আছেন ইমরান খান? পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে তুমুল জল্পনা। তেতে উঠেছে পাকিস্তান। জেলবন্দি ইমরান খান (Imran Khan)-কে দেখার দাবিতে বিক্ষোভ চলছে জেলের বাইরে। জল্পনা রটে গিয়েছে যে জেলের ভিতরেই হয়তো মৃত্যু হয়েছে ইমরান খানের। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে গোটা পাকিস্তান জুড়ে উত্তেজনা ছড়িয়েছে।
ইমরানের তিন বোন, নরিন খান, আলিমা খান ও উজমা খান রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা জেলে গিয়েছিলেন তাঁর সঙ্গে দেখা করতে। অভিযোগ, তাদের ব্যাপক মারধর করে পুলিশ। তাদের সঙ্গে ইমরানের দল, তেহরিক-ই-ইনসাফ পার্টির সমর্থকরা ছিলেন। তাদেরও মারধর করা হয়।
প্রসঙ্গত, তেহখানা মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়ে ২০২৩ সাল থেকে জেলে রয়েছেন পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। এর আগেও বেশ কয়েকবার ইমরানের উপরে জেলে অত্যাচার, এমনকী বিষ দিয়ে হত্যার অভিযোগও উঠেছিল। তবে কোনওবারই সত্য সামনে আসেনি।
#BREAKING: Midnight Protest by Imran Khan’s sister and PTI supporters outside Adiala Jail. Imran Khan hasn’t been allowed to meet any family member since last more than three weeks. Anger raging across Pakistan against Asim Munir and Pakistani establishment in Rawalpindi. pic.twitter.com/sH0ujS07wv
— Aditya Raj Kaul (@AdityaRajKaul) November 25, 2025
ইমরানের তিন বোনের দাবি, বিগত তিন সপ্তাহ ধরে তাদের দেখা করতে দেওয়া হয়নি ইমরান খানের সঙ্গে। এমনকী খাইবার পাখতুনখার মুখ্যমন্ত্রী সোহেল আফ্রিদিকেও দেখা করতে দেওয়া হয়নি। এবার তারা দেখা করার দাবিতে জেলের বাইরে বসেছিলেন। অভিযোগ, সেই সময় পুলিশ এসে বেধড়ক মারধর করে তাদের।
পঞ্জাব পুলিশের প্রধান উসমান আনওয়ারকে লেখা চিঠিতে ইমরান খানের তিন বোন পুলিশের এই অত্যাচারের নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন। নোরিন নিয়াজি বলেছেন, “আমরা ইমরানের স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বিগ্ন। তাই শান্তিপূর্ণভাবে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলাম। আমরা কোনও রাস্তা ব্লক করিনি, না কোনও বেআইনি কাজ করেছি। তাও কোনও কথা ছাড়াই রাস্তার লাইট নিভিয়ে দেয় এবং নৃশংসভাবে হামলা চালায়। আমাদের চুলের মুঠি ধরে টানা হয়, মাটিতে টেনে হিচড়ে নিয়ে যাওয়া হয়।”
