Qatar princess: ‘ভাইকে বিয়ে না করব না’, কড়া শাস্তির ভয়ে পালিয়েছিলেন কাতারের রাজকুমারী

Transgender Qatar princess:

Qatar princess: 'ভাইকে বিয়ে না করব না', কড়া শাস্তির ভয়ে পালিয়েছিলেন কাতারের রাজকুমারী
রাতের দোহা (ফাইল চিত্র)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 16, 2022 | 10:07 AM

দোহা: গোটা বিশ্বের নজর এখন কাতারে। সেখানে চলছে ফুটবল বিশ্বকাপ। এই আন্তর্জাতিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার একেবারে শুরু থেকেই এই দেশের বিভিন্ন কড়া নিয়মকানুন নিয়ে চর্চা চলছে। বিশেষ করে পোশাক বিধি, মদ নীতি, সমকামী বিরোধিতার মতো বিষয়গুলি নিয়ে বিশ্বজুড়ে ব্যাপক আলোচনা হচ্ছে। এরই মধ্যে হঠাৎ করেই লাইমলাইটে এখানকার এক রাজকন্যাও। রাজ পরিবারের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ করে যিনি ঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন। আসলে যে কারণে এই রাজকন্যাকে ঘর ছাড়তে হয়েছে, সেই একই কারণে কাতারের বহু মানুষ দেশ ছাড়তে বাধ্য হন। দেশের কড়া আইনের বলি না হতে চেয়েই রাজ পরিবার ছেড়ে পালিয়েছিলেন তিনি।

কাতারের শাসক পরিবার, আল থানির সদস্য ছিলেন তিনি। কাতারে সমকামিতা নিষিদ্ধ। এদিকে রাজকন্যা নিজেই ছিলেন সমকামী। এই অবস্থায় সমকামিতার কারণে তাঁকেও কড়া শাস্তি দেওয়া হতে পারে বলে আশঙ্কা ছিল তাঁর। এই কারণেই তিনি বাড়ি থেকে পালিয়ে গিয়ে লন্ডনে আশ্রয় নিয়েছিলেন। সম্প্রতি, লন্ডনের সানডে টাইমসের এক প্রতিবেদনে এমনই দাবি করেছেন ওই কাতারি রাজকন্যা।

যুক্তরাজ্য সরকারের প্রকাশিত নথি অনুসারে, ২০১৫ সালের গ্রীষ্মে তিনি তাঁর পরিবারের সঙ্গে লন্ডনে এসেছিলেন পারিবারিক ভ্রমণে। সেই সময়ই তিনি তাঁর এক বন্ধুর সঙ্গে পালিয়ে গিয়েছিলেন। ব্রিটেনেই আশ্রয় নিয়েছিলেন। ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষকে তিনি বলেছিলেন, তাঁর শৈশব অত্যন্ত কঠিন ছিল। তিনি জানান, তিনি মহিলা হয়ে জন্মেছিলেন ঠিকই, কিন্তু বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তাঁর শরীরে বিভিন্ন পরিবর্তন ঘটেছিল। তিনি মহিলাদের প্রতিই যৌন আকর্ষণ অনুভব করেন। কিন্তু, কাতারে থেকে গেলে, জোর করে তাঁকে তাঁর কোনও তুতো ভাইয়ের সঙ্গে বিয়ে দিয়ে দেওয়া হত। তিনি বলেন, “আমি চাইনি, যে আমার কোনও তুতো ভাইয়ের সঙ্গে আমার বিয়ে হোক। কাতারে সমকামিতার জন্য ৩ বছরের কঠোর শাস্তি দেওয়া হয়। তাই নিজের সুরক্ষার জন্যই বাড়ি থেকে পালিয়ে এসেছি।