AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Boris Johnson: আর সাংসদও রইলেন না বরিস জনসন! ‘পার্টিগেট’ তদন্তের রিপোর্ট পেশ হতেই ইস্তফা

Partygate Scandal: পার্টিগেট নিয়ে সংসদে বিভ্রান্তিকর বিবৃতি পেশ করা নিয়েই ব্রিটেনের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করা হয়েছে। শুক্রবার এই তদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট প্রকাশের পরই বরিস জনসন সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার ঘোষণা করেন। 

Boris Johnson: আর সাংসদও রইলেন না বরিস জনসন! 'পার্টিগেট' তদন্তের রিপোর্ট পেশ হতেই ইস্তফা
বরিস জনসন। ফাইল চিত্রImage Credit: AFP
| Edited By: | Updated on: Jun 10, 2023 | 3:59 PM
Share

লন্ডন: বিতর্কে নাম জড়াতেই ইস্তফা দিয়েছিলেন। এবার সবাইকে চমকে দিয়ে সাংসদ পদ থেকেও ইস্তফা দিলেন ব্রিটেনের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন (Boris Johnson)। শুক্রবারই এই ঘোষণা করেন জনসন। জানা গিয়েছে, সংসদকে ভুলপথে চালনা করার জন্য় তাঁর বিরুদ্ধে তদন্তের রিপোর্ট প্রকাশ হতেই সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার ঘোষণা করেন বরিস জনসন। এই মামলায় নাম জড়িয়েছে ব্রিটেনের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনকের। বরিসের বিরুদ্ধে এই তদন্ত শুরু হওয়ায়, চরম অস্বস্তিতে পড়েছে তাঁর দল কনজারভেটিভ পার্টি (Conservative Party)।

পার্টিগেট নিয়ে সংসদে বিভ্রান্তিকর বিবৃতি পেশ করা নিয়েই ব্রিটেনের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করা হয়েছে। শুক্রবার এই তদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট প্রকাশের পরই বরিস জনসন সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার ঘোষণা করেন।  জানা গিয়েছে, বরিসের বিরুদ্ধে করা ওই তদন্তে জানা গিয়েছে করোনাকালে শাসক দল একাধিক নিয়ম ভঙ্গ করেছিল। 

দীর্ঘ ইস্তফাপত্রে বরিস জনসন বিরোধী দলকেই দোষারোপ করেন। প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে শুরু করে সাংসদ পদ, ক্ষমতা থেকে তাঁকে সরানোর জন্য ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দিলেও তাঁর রাজনৈতিক কেরিয়ার এখনও শেষ হয়নি, এমনটাই ইঙ্গিত দেন তিনি। ইস্তফাপত্রের শেষে তিনি লেখেন, “সাময়িকভাবে সংসদ ছাড়তে হচ্ছে বলে খুবই দুঃখ হচ্ছে।”

বরিস জনসন জানান, প্রিভিলেজ কমিটির কাছ থেকে চিঠি পেয়েছেন। ওই চিঠিতে স্পষ্টতই বোঝা যাচ্ছে যে সংসদ থেকে তাঁকে তাড়ানোর চেষ্টা করা হচ্ছে, এমনটাই দাবি করেন বরিস।  তিনি বলেন, “সত্য যাই-ই হোক না কেন, শুরু থেকেই ওদের একমাত্র উদ্দেশ্য ছিল আমায় দোষী প্রমাণ করা।”

সরকার ও বিরোধী দলের সদস্যদের নিয়ে যে কমিটি গঠন করা হয়েছে, তাকে “ক্যাঙারু কোর্ট” বলেও উল্লেখ করেন তিনি। এদিকে, বরিসের ইস্তফার ফলে বিশেষ নির্বাচনের আয়োজন করতে হবে। লন্ডন শহরতলি থেকে জয়ী হয়ে হাউস অব কমন্সে সাংসদ হয়েছিলেন বরিস জনসন। তাঁর ইস্তফার পর এই শূন্যপদ পূরণ করার জন্য নতুন নির্বাচন করতে হবে।