Adult Content: সারাদিন ধরে পর্ন দেখার অভিজ্ঞতা জানালেন লরা
Adverse Effect: পর্নের মধ্যে লুকিয়ে থাকা হিংসাত্মক চরিত্রের বিষয়টিও তুলে ধরেছেন ওই বিশেষজ্ঞ। তাঁর মতে, যত দিন যাচ্ছে পর্নের মধ্যে হিংসার আশ্রয় বাড়ছে।
লন্ডন: ইন্টারনেটের যুগে পর্নের রমরমা বিশ্ব জুড়ে। কেবলমাত্র পর্নোগ্রাফি সাইট নয় সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমেও ছড়িয়ে পড়ে পর্ন। ভারতে পর্নগ্রাফি ওয়েবসাইট নিষিদ্ধ হলেও লুকিয়ে দেখার সুযোগ খোঁজে অনেকেই। এই পর্ন যুব সমাজ এবং কমবয়সিদের মানসিকতা ও সম্পর্কের উপর প্রভাব ফেলে বলে দাবি করেন বিশেষজ্ঞরা। এর পাশাপাশি স্বাভাবিক যৌনতার উপরও পর্ন প্রভাব ফেলে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। পর্ন কী রকম প্রভাব ফেলে দেখতে সারা দিন ধরে পর্ন দেখেছিলেন এক সাইকোসেক্সুয়াল বিশেষজ্ঞ। ওই মহিলা সারা দিন ধরে পর্ন দেখার অভিজ্ঞতা জানিয়েছেন ব্রিটেনের এক সংবাদমাধ্যমে।
সাইকোসেক্সুয়াল ওই বিশেষজ্ঞের নাম লরা জারভিস। তিনি বলেছেন, “অ্যাডাল্ট কনটেন্টের ভয়ঙ্কর চরিত্র কমবসয়ি মেয়েদের সেক্সের প্রতি ভয় ধরিয়ে দিচ্ছে। প্রায়শই তাঁরা পর্নের মতো সেক্স করতে উদ্যত হচ্ছেন। কিন্তু সেই কর্ম হয়তো যন্ত্রণার কারণ হয়ে দাড়াচ্ছ, যাতে তাঁরা যৌনতার আনন্দ উপভোগ করতে পারছেন না।” পর্নের মধ্যে লুকিয়ে থাকা হিংসাত্মক চরিত্রের বিষয়টিও তুলে ধরেছেন ওই বিশেষজ্ঞ। তাঁর মতে, যত দিন যাচ্ছে পর্নের মধ্যে হিংসার আশ্রয় বাড়ছে। এ জন্য হিংসাত্মক পর্ন নিষিদ্ধ করারও সওয়াল করেছেন তিনি।
পর্নের হিংসাত্মক চরিত্রের দিকটি বলতে গিয়ে নিজের অভিজ্ঞতার কথাও জানিয়েছেন তিনি। বলেছেন, “আমরা যখন ছোট ছিলাম তখনকার সময়ের পর্নে প্রেমময় বিষয়টি থাকত। পুরনো দিনের ওই পর্নে গল্পের ব্যাপার থাতক। এখন শুধুই যৌনতার উদ্দমতা। এক জন মহিলার সঙ্গে সাত আট জন সঙ্গম করছে। এই পর্নে উপভোগের দিকটি উপেক্ষিত। যৌনতা যে আনন্দদায়ক সেটিই উধাও থাকে।” সেক্স এডুকেশনে পর্নের ব্যাপারে পড়ানো উচিত বলেও মনে করেন ওই বিশেষজ্ঞ।