PM Modi-Kamala Harris Meet: ‘বছরের পর বছর সন্ত্রাসবাদের শিকার ভারত’, পাক ভূমিকা নিয়ে নিজেই কথা তুললেন কমলা

Kamala Harris on Pakistan's Role in Terrorism: বিদেশ সচিব হর্ষবর্ধন শ্রিংলা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কমলা হ্যারিসের সাক্ষাৎ প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়েই জানান, মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস নিজেই সন্ত্রাসবাদ প্রসঙ্গ তুলে আনেন। সেখানেই পাকিস্তানের ভূমিকা নিয়েও কথা বলেন তিনি।

PM Modi-Kamala Harris Meet: 'বছরের পর বছর সন্ত্রাসবাদের শিকার ভারত', পাক ভূমিকা নিয়ে নিজেই কথা তুললেন কমলা
প্রধানমন্ত্রীর সামনে আলাপচারিতায় কমলা হ্যারিস। ছবি-PTI
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 24, 2021 | 7:43 PM

ওয়াশিংটন: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী(Narendra Modi)-র সঙ্গে প্রথম সাক্ষাতেই সন্ত্রাসবাদের পাকিস্তান(Pakistan)-র ভূমিকা নিয়ে কথা তুললেন মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস (Kamala Harris)। মার্কিন সফরে গিয়ে বৃহস্পতিবারই ভারতীয় বংশোদ্ভূত প্রথম মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্টের সঙ্গে দেখা করেন প্রধানমন্ত্রী। সেই বৈঠকে করোনা মোকাবিলায় দুই দেশের সহযোগিতার পাশাপাশি সন্ত্রাসবাদ প্রসঙ্গেও আলোচনা হয় বলে জানা গিয়েছে।

বিদেশ সচিব হর্ষবর্ধন শ্রিংলা (Harsh Vardhan Shringla) প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কমলা হ্যারিসের সাক্ষাৎ প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়েই জানান, মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস নিজেই সন্ত্রাসবাদ প্রসঙ্গ তুলে আনেন। সেখানেই পাকিস্তানের ভূমিকা নিয়েও কথা বলেন তিনি। ভাইস প্রেসিডেন্ট নিজেই জানান, তিনি ইসলামাবাদকে দেশের অন্দরে যে সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলি রয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন যাতে ওই সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীগুলি আমেরিকা ও ভারতের নিরাপত্তাকে কোনওভাবে বিঘ্নিত হতে না পারে।  বিগত কয়েক দশক ধরে ভারত যে সন্ত্রাসবাদের শিকার হচ্ছে, তা স্বীকার করে নেন কমলা হ্যারিস। এই সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলিকে সহায়তায় পাকিস্তানের কী ভূমিকা রয়েছে, তাও খতিয়ে দেখার কথা বলেন তিনি।

হর্ষবর্ধন শ্রিংলা আরও জানান, একাধিক সন্ত্রাসবাদী সংগঠন যে পাকিস্তান থেকে যাবতীয় কার্যকলাপ পরিচালিত করছে, তা কমলা হ্য়ারিসও স্বীকার করে নিয়েছেন। তবে পাকিস্তানকে এই বিষয়ে সতর্ক করে ভারত ও আমেরিকার নিরাপত্তায় যাতে কোনও প্রভাব না পড়ে, সে বিষয়েও কথা বলা হয়েছে।

কমলা হ্যারিসের অপর একটি উল্লেখযোগ্য মন্তব্য ছিল, গণতান্ত্রিক নীতি ও প্রতিষ্ঠানগুলি রক্ষা করার দায়িত্ব দুই দেশেরই।  তিনি বলেন, “বিশ্বজুড়েই গণতন্ত্র বর্তমানে বিপন্ন। এই পরিস্থিতিতে দেশবাসীর মঙ্গলকামনায় আমাদের দায়িত্ব নিজেদের দেশের অন্দরে ও বিশ্বজুড়ে গণতান্ত্রিক নীতি ও প্রতিষ্ঠানগুলিকে রক্ষা করা।”

বৃহস্পতিবার দীর্ঘ এক ঘণ্টার বৈঠকে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক মজবুত করা, আফগানিস্তান পরিস্থিতি, ভারত-প্রশান্তমহাসাগরীয় অঞ্চলের নিরাপত্তা সহ নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস। এক আগে গত জুন মাসে ফোনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছিলেন কমলা হ্যারিস। সেই সময় ভারতকে করোনা যুদ্ধে সবরকমের সহায়তার আশ্বাস দিয়েছিলেন তিনি।

কমলার প্রশংসায় প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, “আমেরিকার ভাইস প্রেসিডেন্ট পদের নির্বাচনে আপনার লড়াই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও ঐতিহাসিক একটি অনুষ্ঠান ছিল। গোটা বিশ্বজুড়েই অনেকের কাছে আপনি অনুপ্রেরণা। আমি নিশ্চিত যে প্রেসিডেন্ট বাইডেন ও আপনার নেতৃত্বে দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক এক নতুন উচ্চতায় পৌঁছবে।”

করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে ভারত যখন বিধ্বস্ত, সেই সময় সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিল আমেরিকা। সেই কাজের জন্যও ধন্যবাদ জানাতে ভোলেননি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি বলেন, “বিপদের সময় পাশে দাড়ানোর জন্য আমেরিকাকে মন থেকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।”

জবাবে কমলা হ্যারিসও বলেন, “যখন ভারতে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাচ্ছিল, সেই সময় আমেরিকা গর্বের সঙ্গে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়। আমি ঘোষণা করছি যে ভারত দ্রুত টিকা রফতানির কাজ শুরু করবে। এই প্রসঙ্গেই বলে রাথা উচিত, ভারত আজই দৈনিক এক কোটি মানুষকে টিকা দিয়েছে।” আরও পড়ুন: COVID Deaths: ‘করোনা নিয়ন্ত্রণে ভারত যা করেছে, তা কোনও দেশ পারেনি’, কেন্দ্রের ভূয়সী প্রশংসা শীর্ষ আদালতের