Russia-Ukraine War: রুশ মিসাইল হানায় মৃত্যু মিছিল, বিশেষ প্রযুক্তির মাধ্যমে ইউক্রেনকে সাহায্যের আশ্বাস বাইডেনের
Russia-Ukraine Conflict: রাশিয়ার সঙ্গে মস্কো অধীকৃত ক্রিমিয়া সংযোগকারী ব্রিজের ট্রাক বোমা বিস্ফোরণের পর আরও আগ্রাসী হয়ে উঠেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।

ওয়াশিংটন: মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন (Joe Biden) সোমবার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, রাশিয়ার সঙ্গে লড়াই করার জন্য তিনি ইউক্রেনকে অ্যাডভান্সড এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম (Air Defence System) দিয়ে সাহায্য করবেন, হোয়াইট হাউজের তরফে বিবৃতি দিয়ে এমনটাই জানানো হয়েছে। সোমবারই ইউক্রেনের (Ukraine) রাজধানীয় কিয়েভ ও অন্যান্য শহরে মিসাইল বর্ষণ করেছে রাশিয়া, তার পরিপ্রেক্ষিতে আরও একবার জ়েলেনস্কির সরকার পাশে দাঁড়ানোর আশ্বাস দিয়েছেন বাইডেন। হোয়াইট হাউজের বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জ়েলেনস্কির সঙ্গে কথা বলেছেন বাইডেন এবং দেশের প্রতিরক্ষার জন্য সব ধরনের সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
রাশিয়ার সঙ্গে মস্কো অধীকৃত ক্রিমিয়া সংযোগকারী ব্রিজের ট্রাক বোমা বিস্ফোরণের পর আরও আগ্রাসী হয়ে উঠেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তিনি আক্রমণ ধার আরও বাড়ানোর হুমকিও দিয়েছেন। রুশ মিসাইল বর্ষণে ১১ জন ইউক্রেনীয় নাগরিক মৃত্যু হয়েছে বলেই জানা গিয়েছে। বাইডেনের সঙ্গে কথা বলার পর টুইটে জ়েলেনস্কি জানিয়েছেন, এই মুহূর্তে এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম তাদের প্রথম অগ্রাধিকার। কিয়েভ জানিয়েছেন, রুশ সেনাবাহিনী ইউক্রেনের বিভিন্ন শহরে ৮০টিরও বেশি মিসাইল নিক্ষেপ করেছে, এমনকী প্রতিবেশী বেলারুশ থেকে রাশিয়া ইরানি ড্রোন দিয়ে নজরদারি চালাচ্ছে।
রাশিয়ান মিসাইল হানায় নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর পাশাপাশি তাদের পরিবারকে সমবেদনাও জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, এমনটাই জানিয়েছে হোয়াইট হাউজ। হোয়াইট হাউজের তরফে প্রকাশিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “রাশিয়ার এই অকারণ হিংসার নিন্দা করে পরবর্তী পদক্ষেপ ঠিক করতে বন্ধু দেশগুলির সঙ্গে আলোচনাও করতে পারেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।” উল্লেখ্য, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর এই প্রথম রাজধানী কিয়েভে এত বড় মাপের আক্রমণের ঘটনা ঘটল। এই আক্রমণের জন্য রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে সন্ত্রাসবাদী আখ্যা দিয়েছেন ইউক্রেনে জ়েলেনস্কি। তাঁর দাবি, রাশিয়া তাদের পৃথিবীর মানচিত্র থেকে মুছে ফেলতে চায়। আগামী দিনে পরিস্থিতি কোন দিকে যায়, সেটাই এখন দেখার।
