Russia-Ukraine Conflict: ক্যানসারে আক্রান্ত পুতিন, ভুলে যাচ্ছেন বারে বারে, তার জন্যই কি যুদ্ধ? চাঞ্চল্যকর দাবি ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যমের
Russia-Ukraine Conflict: ওই গোয়েন্দা সংস্থার দাবি, পুতিনের ইউক্রেনে আক্রমণের পিছনে একটি শারীরবৃত্তীয় ব্যাখা রয়েছে। ওই গোয়েন্দা সংস্থার মতে, শরীরে 'ফোলা ভাব' দেখা যাওয়ার পাশাপাশি বিভিন্ন সাম্প্রতিক ফুটেজে রুশ প্রেসিডেন্টের অস্বাভাবিক আচরণ দেখা গিয়েছে।
মস্কো: ইউক্রেনে সামরিক অভিযান অব্যাহত রাশিয়ার (Russia-Ukraine War)। প্রতিবেশী ক্ষুদ্র রাষ্ট্রের প্রতি রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের এ হেন আচরণে হতবাক গোটা বিশ্ব। এই আগ্রাসী নীতির জন্য গোটা বিশ্ব তাঁকেই দায়ী করেছেন। তবুও বেপরোয়া পুতিন। রুশ প্রেসিডেন্টের এমন আচরণের পিছনে বিশেষ কারণ রয়েছে বলে, চাঞ্চল্যকর দাবি ব্রিটিশ সংবাদপত্র ডেইলি মেইলের (Daily Mail)। ওই সংবাদ মাধ্যমের দাবি, রাশিয়ান প্রেসিডেন্টের মস্তিস্কে সমস্যা রয়েছে। ডিমেনশিয়া রোগে আক্রান্ত ভ্লাদিমির পুতিন!
ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যমের আরও দাবি, পুতিনের ক্যানসারের চিকিৎসা চলছে। যার কারণে তাঁকে বিভিন্ন ধরনের স্টেরয়েড নিতে হয়। স্টেরয়েডের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় নানা সমস্যা দেখা গিয়েছে পুতিনের। ফাইভ আইসের (Five Eyes) গোয়েন্দাসূত্র থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতেই ওই প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ফাইভ আইস হল অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, নিউজিল্যান্ড, ব্রিটেন ও আমেরিকার গোয়েন্দা জোট।
ওই গোয়েন্দা সংস্থার দাবি, ইউক্রেনে আক্রমণের পিছনে পুতিনের অসুস্থতা একটি কারণ। সম্প্রতি, বিভিন্ন ফুটেজে পুতিনের শরীরে ‘ফোলা ভাব’ লক্ষ্য করা গিয়েছে। অস্বাভাবিক আচরণও করতে দেখা গিয়েছে বলে গোয়েন্দাদের দাবি। এমনকী ক্রেমলিনে অতিথিদের সঙ্গে অদ্ভুত আচরণ করেছেন এবং অস্বাভাবিক সামাজিক দূরত্বও বজায় রেখেছেন। যা পুতিনসুলভ নয় বলে মনে করছেন তাঁরা। সূত্রে খবর, রাশিয়ান আধিকারিকরাও মনে করছেন বিগত পাঁচ বছরের তুলনায় বিভিন্ন ক্ষেত্রে রুশ প্রেসিডেন্টের সিদ্ধান্তে উল্লেখযোগ্য বদল এসেছে। তাঁর কথাবর্তায় এবং কাজে অস্পষ্টতা রয়েছে। এমনকী তার ধ্যান ধারণাতেও আমূল বদল ঘটেছে।
এর আগে ব্রিটেনের প্রাক্তন বিদেশ সচিব লর্ড ডেভিড ওয়েনও নিজের একই ধরনের পর্যবেক্ষণের কথা জানিয়েছিলেন। ওয়েনের দাবি ছিল, রুশ প্রেসিডেন্ট হয়ত এমন কোনও স্টেরয়েড নিচ্ছেন, যার ফলে তাঁর আগ্রাসী মনোভাব ক্রমেই বাড়ছে। সংবাদ সংস্থা বিবিসিকে তিনি জানিয়েছিলেন, “আমার মনে হচ্ছে স্টেরয়েড ব্যবহারের কারণে তাঁর রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা কমে গিয়েছে অথবা তিনি এমন কোনও স্টেরয়েড নিচ্ছেন যার ফলে তাদের দেহের ওজন ক্রমেই বেড়ে যাচ্ছে।” যদিও এ ধরনের দাবি রাশিয়ার কোনও সংবাদ মাধ্যমে বা সরকারিভাবে পাওয়া যায়নি। তবে অনেকের মতে ইউক্রেন নিয়ে পুতিনের দাবি একেবারেই অমূলক নয়। ইউক্রেন ন্যাটোর সদস্য হলে আমেরিকার নিশ্বাস রাশিয়ার কাঁধে পড়বে। তাই রাশিয়ার জন্য ঝুঁকি থেকেই যায়। তাই পুতিনের এই মানসিক সমস্যার আদৌ কোনও সত্যতা আছে কিনা, তার উত্তর মিলবে আগামী দিন।