Women’s Right: আফগানিস্তানে মহিলাদের অধিকার অগ্রাধিকার নয়, জানিয়ে দিলেন তালিবান মুখপাত্র
ইসলামিক আইন ভাঙবে এরকম কোনও কিছু বরদাস্ত করা হবে না এবং মহিলাদের অধিকারের উপর বিধি-নিষেধ দেশের প্রতিষ্ঠিত গোষ্ঠী নিয়ম অনুসারে মোকাবিলা করা হবে বলে জানিয়েছেন তালিবান মুখপাত্র।
কাবুল: আফগান মহিলাদের শিক্ষা থেকে চাকরিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে তালিবান সরকার। যা নিয়ে বিশ্বজুড়ে নিন্দার ঝড় উঠেছে। তবে এই বিষয়টিতে আমল দিতে নারাজ। বরং যখন মহিলাদের অধিকার ঝুঁকির মুখে বলে প্রশ্ন তুলেছে বিভিন্ন দেশ থেকে রাষ্ট্রসঙ্ঘ, তখন মহিলাদের অধিকার নিয়ে বিস্ফোরক বিবৃতি দিলেন তালিবান মুখপাত্র।
মহিলাদের শিক্ষা থেকে বেসরকারি সংস্থায় চাকরিতে নিষেধাজ্ঞা জারির বিরুদ্ধে জবাব দিতে শনিবার সাংবাদিক বৈঠক করেন তালিবান সরকারের মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ। তখনই তিনি মহিলাদের অধিকার প্রসঙ্গে স্পষ্টত বলেন, “মহিলাদের অধিকার অগ্রাধিকার পায় না।” ইসলামিক আইন ভাঙবে এরকম কোনও কিছু বরদাস্ত করা হবে না এবং মহিলাদের অধিকারের উপর বিধি-নিষেধ দেশের প্রতিষ্ঠিত গোষ্ঠী নিয়ম অনুসারে মোকাবিলা করা হবে বলেও জানান তিনি। তালিবান মুখপাত্রের কথায়, “ইসলাম ধর্মাবলম্বী রাষ্ট্রগুলি সমস্ত ক্ষেত্রে ইসামিক শরিয়া মেনে চলার চেষ্টা করে এবং শরিয়া বিরুদ্ধে কোনও কিছু দেশে চলার অনুমতি দিতে পারে না সরকার।”
প্রসঙ্গত, তালিবান আফগানিস্তানের দখল নেওয়ার পরই চাকরিক্ষেত্রে মহিলাদের উপর কোপ নেমে আসে। ঘরের বাইরে বেরোলে বোরখা, হিজাব বাধ্যতামূলক করা হয়। পরিবারের পুরুষ সদস্য ছাড়া মহিলাদের বাড়ির বাইরে বেরোনোও নিষিদ্ধ হয়েছে। এমনকি মেয়েদের পড়াশোনার উপরেও নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে। সম্প্রতি অবশ্য চাপে পড়ে মেয়েদের ষষ্ঠ শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করার অনুমতি দিয়েছে তালিবান সরকার। তবে উচ্চশিক্ষায় নিষেধাজ্ঞা বহাল রয়েছে। যার তীব্র নিন্দায় সরব হয়েছে গোটা বিশ্ব। আফগান মহিলাদের অধিকার ঝুঁকির মুখে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে রাষ্ট্রসঙ্ঘও। তারই পরিপ্রেক্ষিতে এবার আফগান মহিলাদের অধিকার নিয়ে পাল্টা যুক্তি দিয়ে তাঁদের ধর্মের দিকটি বোঝার আবেদন জানালেন তালিবান মুখপাত্র।