AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Iran Israel War: যুদ্ধে ইজরায়েলের মৃত্যুর সংখ্যা কেন কম, জানলে অবাক হবেন

বাঙ্কার বলতেই চোখের সামনে যে ছবিটা ভেসে ওঠে, সেটার সঙ্গে এই বাঙ্কারগুলোকে মেলাতে পারবেন না। ?এসি, টিভি রুম, ইন্টারনেট, ভার্চুয়াল ওয়ার্কপ্লেস, ভিউয়িং রুম, আড্ডা দেওয়ার জায়গা - কী নেই এইসব বাঙ্কারে! হিব্রুতে এই বাঙ্কারগুলোর নাম হাদের শামাহা, অর্থাত্‍ ভালোবাসার ঘর। ডাকনাম রোশন।

Iran Israel War: যুদ্ধে ইজরায়েলের মৃত্যুর সংখ্যা কেন কম, জানলে অবাক হবেন
| Edited By: | Updated on: Jun 22, 2025 | 6:36 PM
Share

ইজরায়েলের বিভিন্ন জনবসতি লক্ষ্য করে মিসাইল, ড্রোন হানা চালিয়ে যাচ্ছে ইরান। নতুন, নতুন এলাকা লন্ডভন্ড হচ্ছে। শনিবার বিকেল থেকে নতুন করে হামলা শুরু করল ইজরায়েল। এদিন আইডিএফের প্রিসিশন অ্যাটাকে ইরানি রেভেলিউশনারি গার্ড বা আইআরজিআরের দুই শীর্ষ কম্যান্ডারের মৃত্যু হল। নিহত ইরানের কাদ ফোর্সের প্রধান ইজাদি। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইজরায়েলে ভয়ঙ্কর জঙ্গি হামলায় হামাসকে অস্ত্রশস্ত্র সরবরাহ করেছিলেন এই সেনাকর্তা।

এদিন ইরানের ইসফাহান পরমাণু কেন্দ্রেও আছড়ে পড়েছে আইডিএফের আন্ডার গ্রাউন্ড মিসাইল। এনিয়ে দ্বিতীয়বার। আইডিএফের দাবি, আর একবার হামলা চালালেই ইসফাহানের পরমাণু চুল্লি বেশ কয়েক বছরের জন্য বন্ধ হয়ে যাবে। এই অবস্থা মনে হচ্ছে, আরও কিছুদিন চলবে। ইরানে হতাহতের সংখ্যা প্রতিদিনই লাফিয়ে বাড়ছে। তবে, ইজরায়েলের কখনও, কখনও লোকজন আহত হলেও মৃত্যুর ঘটনা অনেক কম। কেন?

ইজরায়েলি ডিফেন্স ফোর্স বা আইডিএফ সেই কৌশল আঁকড়ে ধরেই লড়ে যাচ্ছে। আসলে বহু চেষ্টা করেও এখনও ইজরায়েলে বসতি এলাকায় বাঙ্কারকে টার্গেট করতে পারেনি ইরানি রেভেলিউশনারি গার্ড। কেন পারেনি জানেন? মাটির অনেকটা নীচে এই বাঙ্কারের নাগাল পাওয়া খুব কঠিন। আর বাঙ্কার বলতেই চোখের সামনে যে ছবিটা ভেসে ওঠে, সেটার সঙ্গে এই বাঙ্কারগুলোকে মেলাতে পারবেন না। ?এসি, টিভি রুম, ইন্টারনেট, ভার্চুয়াল ওয়ার্কপ্লেস, ভিউয়িং রুম, আড্ডা দেওয়ার জায়গা – কী নেই এইসব বাঙ্কারে! হিব্রুতে এই বাঙ্কারগুলোর নাম হাদের শামাহা, অর্থাত্‍ ভালোবাসার ঘর। ডাকনাম রোশন

সরকার সতর্কতা জারি করলে এখানেই দিনের পর দিন থাকেন ইজরায়েলের সাধারণ মানুষ, মজা করে বলেন, BUNKERS COULD MADE GOOD NEIBOUR. গত ১০ বছরের হিসাব বলছে, বছরে গড়ে কমবেশি ১৪ থেকে ২১ দিন এইসব বাঙ্কারেই কাটাতে হয় আম ইজরায়েলিদের। তবে অক্টোবর হামলার পর থেকে গত ২০ মাসে বাঙ্কারে অনেক বেশি সময় কাটাতে হয়েছে। বছরে গড়ে ৩০ থেকে ৩৫ দিন। বেশিরভাগ ইজরায়েলি এখান থেকেই অফিসের কাজকর্ম করেন। আবার বার্তা এলে বাঙ্কার থেকে সোজা যুদ্ধক্ষেত্রেও যেতে হয়। বাঙ্কার জীবনের কয়েকটা অদ্ভুত নিয়ম আছে। জীবন যার মতো, যার-যার। খাওয়া-দাওয়া একসঙ্গে সবার। সবাই মিলে একসঙ্গে ব্রেকফাস্ট ও ডিনার করাটাই রীতি। আর যেটা বাধ্যতামূলক সেটা হল একসঙ্গে শাবাথের প্রার্থনা। যদিও এটা শুধু ইহুদীদের জন্যই প্রযোজ্য।

ইরানের সঙ্গে যুদ্ধ আরও কতদিন গড়াবে জানা নেই। আমেরিকা কবে যুদ্ধে যোগ দেবে, তা আদৌ নামবে কিনা, সেটাও এখনও পর্যন্ত স্পষ্ট নয়। তবে টাইমস অফ ইজরায়েলের প্রতিবেদনে দাবি, আমেরিকা যাই করুক, ইরানে খামেইনি জামানা শেষ না করা পর্যন্ত আইডিএফ থামবে না। নেতানিয়াহু তার সেনাকে সেই নির্দেশই দিয়েছেন।