YouTube CEO: গুগলের পর ইউটিউবের শীর্ষপদেও ভারতীয় বংশোদ্ভূত, নতুন সিইও হচ্ছেন নীল মোহন

Neal Mohan: ভারতীয়-আমেরিকান নীলও দীর্ঘদিন ধরেই ইউটিউবের সঙ্গে যুক্ত। ২০০৮ সালে তিনি গুগলে যোগ দেন।

YouTube CEO: গুগলের পর ইউটিউবের শীর্ষপদেও ভারতীয় বংশোদ্ভূত, নতুন  সিইও হচ্ছেন নীল মোহন
ইউটিউবের নতুন সিইও হচ্ছেন নীল মোহন।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Feb 19, 2023 | 10:23 AM

সান ফ্রান্সিসকো: গুগলের পর এবার ইউটিউবেরও (YouTube) প্রধান হচ্ছেন এক ভারতীয় বংশোদ্ভূত। বৃহস্পতিবারই ইউটিউবের চিফ এগজেকিউটিভ অফিসার (CEO) সুজ়ান ওয়োজ়সিকি (Susan Wojcicki) জানান, তিনি ইউটিউবের প্রধানের পদ থেকে সরে যেতে চলেছেন। তাঁর বদলে ইউটিউবের নতুন সিইও হচ্ছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত নীল মোহন (Neal Mohan)। দীর্ঘ নয় বছর ধরে ভিডিয়ো স্ট্রিমিং মাধ্যম ইউটিউবের যাবতীয় দায়িত্ব পালন করার পর সরে দাঁড়াচ্ছেন সুজান। তাঁর জায়গাতেই এবার থেকে ইউটিউব সামলাবেন নীল মোহন। এর আগে তিনি ইউটিউবের চিফ প্রোডাক্ট অফিসার ছিলেন।

বৃহস্পতিবার সুজান ওয়োজ়সিকি সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট শেয়ার করে ইউটিউবের সিইও পদ থেকে সরে আসার কথা ঘোষণা করেন। বছর ৫৪-র সুজান জানান, তিনি এবার পরিবার, স্বাস্থ্য ও ব্য়ক্তিগত বিভিন্ন প্রকল্পে সময় দিতে চান। ইউচিউবের জন্মলগ্ন থেকেই সংস্থার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন সুজান। গুগলেরও শুরুর দিকের অন্য়তম প্রধান কর্মচারী ছিলেন তিনি। বিগত ২৫ বছর ধরে তিনি গুগলের প্রতিষ্ঠাতা সংস্থা অ্যালফাবেটের সঙ্গে যুক্ত। গুগলের আগে তিনি ইন্টেল সংস্থাতেও কাজ করেছেন। তাঁর বাড়ির গ্যারাজ থেকেই পথচলা শুরু করেছিল ইউটিউব। এরপরে তিনি গুগল সংস্থায় যোগ দেন। সেখানে বিজ্ঞাপন পণ্য বিভাগের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ছিলেন। এরপরে ২০১৪ সালে তিনি ইউটিউবের সিইও হন। বিগত ৯ বছর ধরে তিনি এই পদে দায়িত্ব পালন করছেন।

কে এই নীল মোহন?

সুজান ওয়োজ়সিকির পদে ইউটিউবের নতুন সিইও হিসাবে দায়িত্ব গ্রহণ করছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত নীল মোহন। ভারতীয়-আমেরিকান নীলও দীর্ঘদিন ধরেই ইউটিউবের সঙ্গে যুক্ত। নীল মোহন বিখ্য়াত স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়াশোনা করেছিলেন। ২০০৮ সালে তিনি গুগলে যোগ দেন। এরপরে ২০১৫ সালে তিনি চিফ প্রোডাক্ট অফিসার হন। ইউটিউব শর্টস, ইউটিউব টিভি ও মিউজিক তৈরির পিছনে তাঁর অন্যতম ভূমিকা রয়েছে।
যে সময়ে দর্শকের মনে টিকে থাকার জন্য টিকটক, নেটফ্লিক্সের মতো মাধ্যমের সঙ্গে প্রতিযোগীতা করছে ইউটিউব, সেই সময়ে সংস্থার সিইও বদল অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।