দিগ্বীজয় ‘চুন্নু’, কমলনাথ ‘মুন্নু’, আলটপকা মন্তব্য করে বিপাকে বিজয়বর্গীয়

মধ্য প্রদেশে ৩ নভেম্বর ২৮টি বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। শিবরাজ সিংয়ের সরকার টিকিয়ে রাখতে বিজেপির চাই মাত্র ৮টি আসনে জয়।

দিগ্বীজয় ‘চুন্নু’, কমলনাথ ‘মুন্নু’, আলটপকা মন্তব্য করে বিপাকে বিজয়বর্গীয়
নির্বাচনী বিধিভঙ্গের অভিযোগ উঠেছে কৈলাস বিজয়বর্গীয়র বিরুদ্ধে।
Follow Us:
| Updated on: Oct 31, 2020 | 9:49 AM

TV9 বাংলা ডিজিটাল: মধ্য প্রদেশের দুই বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা দিগ্বীজয় সিং (Digvijaya Singh) এবং কমলনাথ-কে (Kamal Nath) ‘চুন্নু-মুন্নু’ বলে বিপাকে বিজেপি নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয় (Kailash Vijayvargiya)। নির্বাচনী বিধিভঙ্গের অভিযোগ উঠেছে এই বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে।

 

Kamal Nath

কংগ্রেস নেতা কমলনাথ।

 

মধ্য প্রদেশে (Madhya Pradesh) ৩ নভেম্বর ২৮টি বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। শিবরাজ সিংয়ের সরকার টিকিয়ে রাখতে বিজেপির চাই মাত্র ৮টি আসনে জয়। অন্যদিকে ক্ষমতায় ফিরে আসতে কংগ্রেসের প্রয়োজন সব আসন। যা এক কথায় ‘কার্যত অসম্ভব’, বলে মত ওয়াকিবহাল মহলের একাংশের। তবে মরণ কামড় দিতে সর্ব ক্ষমতা দিয়ে লড়াইয়ে শামিল রাহুল গান্ধীরা। ইতিমধ্যেই মধ্য প্রদেশের প্রচারে নামানো হয়েছে দলের তরুণ মুখ সচিন পাইলটকে। ছেড়ে দেওয়ার পাত্র নয় বিজেপিও। এই নির্বাচনে প্রথমবার বিজেপির হয়ে ময়দানে জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়াও। বঙ্গ বিজেপির পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়ও রয়েছেন তাঁর নিজের রাজ্যে নির্বাচনী প্রচারের অগ্রভাগে।

১৪ অক্টোবর সানওয়ের, ইনদৌরে একটি মিছিল ছিল বিজেপির। সেখানেই কংগ্রেসর দুই বর্ষীয়ান নেতাকে ‘চুন্নু-মুন্নু’ (Chunnu Munnu) বলে মন্তব্য করেন কৈলাস বিজয়বর্গীয়। তাঁর এই মন্তব্যের বিরুদ্ধেই নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগ জমা পড়ে। এর পরিপ্রেক্ষিতেই নির্বাচন কমিশন ২৬ অক্টোবরের মধ্যে বিজেপি নেতার জবাব চেয়ে পাঠায়।

আরও পড়ুন: দিলীপ-মুকুল দ্বন্দ্বে দিল্লির হস্তক্ষেপ, ডানা ছাঁটা হল দুই পক্ষের

এই বিষয়ে বিজেপি নেতার সাফাই, তাঁর বক্তব্যের ভুল ব্যাখ্যা করা হয়েছে। কৈলাস বিজয়বর্গীয়র বক্তব্য, “নির্বাচন কমিশনের বিধি নিষেধ শুধু আমার জন্য নয়, সবার জন্যই। আমি এবং আমার দলের প্রত্যেক নেতা কর্মীর কাছে নির্বাচন কমিশনের আদর্শ নির্বাচনী আচরণবিধি অবশ্যই শিরধার্য।”

নির্বাচন কমিশন (Election Commission) বিজেপি (BJP) নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়কে সাবধান করে দিয়ে বলে, “নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে জনসমক্ষে তাঁর এমন কোনও কথা বলা উচিত নয়, যা আদর্শ নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করে।”

তবে এই প্রথম বিতর্ক বাঁধিয়ে শিরোনামে এলেন কৈলাস বিজয়বর্গীয়, তা একেবারেই নয়। অতীতেও তিনি এবং তাঁর ছেলে আকাশ বিজয়বর্গীয় সরকারি আধিকারিকদের সঙ্গে অভব্য আচরণ করে খবরে এসেছেন। এবার মধ্যপ্রদেশের নির্বাচনেও তাঁর স্বভাবোচিত বক্তব্যে শিরোনাম দখল করেছেন ইন্দোরের প্রাক্তন মেয়র কৈলাস বিজয়বর্গীয়।

উল্লেখ্য, বিধানসভা নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হিসেবে ক্ষমতায় এলেও পরবর্তীতে কংগ্রেস বিধায়কের দলবদলের কারণে ক্ষমতাচ্যুত হন কমলনাথ। ক্ষমতায় আসে বিজেপি এবং মুখ্যমন্ত্রী হন শিবরাজ সিং চৌহান। সরকার টিকিয়ে রাখতে শিবরাজের চাই আরও ৮ জন বিধায়ক। অন্যদিকে মধ্য প্রদেশে দখল করতে উপনির্বাচনের ২৮টি আসনেই জিততে হবে কংগ্রেসকে।