Budget 2022: বাজেটে সরকারের কাছে কৃষকদের প্রত্যাশা কী?

TV9 Bangla Digital | Edited By: সৌরভ পাল

Jan 21, 2022 | 12:43 PM

Union Budget: বাস্তবে দেশের কৃষকরা কেমন আছেন? ২০২২-২৩ আর্থিক বছরের বাজেটে সরকারের কাছে তাঁদের প্রত্যাশাই বা কী?

Follow Us

ভারতের অর্থনীতিতে কৃষিকাজ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ২০২০ সালের আর্থিক সমীক্ষা অনুসারে, দেশের প্রায় ৭০ কোটি মানুষ প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে কৃষিকাজের সঙ্গে জড়িত। আর কৃষকের ৯০ শতাংশ ২ একরের কম জমির মালিক। প্রতি বছর বাজেটের সময় কৃষকদের নিয়ে সবার মাথাব্যথা বেড়ে যায়। বিগত বছরগুলিতে কৃষিখাতে বাজেট কতটা বাড়ানো হয়েছে, সেই পরিসংখ্যানও সরকার দেখিয়ে দেবে। কিন্তু বাস্তবে দেশের কৃষকরা কেমন আছেন? ২০২২-২৩ আর্থিক বছরের বাজেটে সরকারের কাছে তাঁদের প্রত্যাশাই বা কী?

বিজনৌরের সুধীরের একমাত্র চাষবাস করেই সংসার চলে। নিজের ৭ বিঘা জমি আছে। আয় বাড়াতে আরও ১৪ বিঘা জমি লিজ নিয়েছেন। এই ২১ বিঘা জমিতে তিনি আখ চাষ করেন। চাষ শুরু করতে দেরি হওয়ায় এই বছর বিঘা প্রতি ফলন ২০ কুইন্টাল পর্যন্ত কমে গিয়েছে। বোঝার উপরে শাঁকের আটি হয়ে দাঁড়িয়েছে ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধি। বেড়েছে আনুসঙ্গিক খরচ। পরিস্থিতি যা দাঁড়িয়েছে তাতে সুধীর মাসে গড়ে ১০ হাজার টাকা আয় করতে পারবেন কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।

নিজের ছেলেও তাঁর মতো চাষবাস করুক, তা চান না সুধীর। তবে পড়াশোনাই বা কীভাবে চলবে! সংসার চালাতে গিয়েই আয়ের সবটুকু টাকা খরচ হয়ে যায়। তার মধ্যে অনলাইনে পড়াশোনার খরচ কোথা থেকে আসবে।

প্রতি বছর দেশে রেকর্ড ফসল উৎপন্ন হলেও অধিকাংশ চাষির ভাগ্যের উন্নতি হয় না। আর কোভিডের কারণে বাইরের কাজও বাড়ন্ত।

সরকারে কাছে সুধীরের একটাই প্রার্থনা, তাঁদের জন্য এমন কোনও পদক্ষেপ করা হোক যাতে মাসে অন্তত ১৫ হাজার টাকা আয় হতে পারে। এজন্য হয় কৃষিকাজের খরচ লাঘব হোক, অথবা ফসলের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত হোক।

 

ভারতের অর্থনীতিতে কৃষিকাজ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ২০২০ সালের আর্থিক সমীক্ষা অনুসারে, দেশের প্রায় ৭০ কোটি মানুষ প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে কৃষিকাজের সঙ্গে জড়িত। আর কৃষকের ৯০ শতাংশ ২ একরের কম জমির মালিক। প্রতি বছর বাজেটের সময় কৃষকদের নিয়ে সবার মাথাব্যথা বেড়ে যায়। বিগত বছরগুলিতে কৃষিখাতে বাজেট কতটা বাড়ানো হয়েছে, সেই পরিসংখ্যানও সরকার দেখিয়ে দেবে। কিন্তু বাস্তবে দেশের কৃষকরা কেমন আছেন? ২০২২-২৩ আর্থিক বছরের বাজেটে সরকারের কাছে তাঁদের প্রত্যাশাই বা কী?

বিজনৌরের সুধীরের একমাত্র চাষবাস করেই সংসার চলে। নিজের ৭ বিঘা জমি আছে। আয় বাড়াতে আরও ১৪ বিঘা জমি লিজ নিয়েছেন। এই ২১ বিঘা জমিতে তিনি আখ চাষ করেন। চাষ শুরু করতে দেরি হওয়ায় এই বছর বিঘা প্রতি ফলন ২০ কুইন্টাল পর্যন্ত কমে গিয়েছে। বোঝার উপরে শাঁকের আটি হয়ে দাঁড়িয়েছে ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধি। বেড়েছে আনুসঙ্গিক খরচ। পরিস্থিতি যা দাঁড়িয়েছে তাতে সুধীর মাসে গড়ে ১০ হাজার টাকা আয় করতে পারবেন কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।

নিজের ছেলেও তাঁর মতো চাষবাস করুক, তা চান না সুধীর। তবে পড়াশোনাই বা কীভাবে চলবে! সংসার চালাতে গিয়েই আয়ের সবটুকু টাকা খরচ হয়ে যায়। তার মধ্যে অনলাইনে পড়াশোনার খরচ কোথা থেকে আসবে।

প্রতি বছর দেশে রেকর্ড ফসল উৎপন্ন হলেও অধিকাংশ চাষির ভাগ্যের উন্নতি হয় না। আর কোভিডের কারণে বাইরের কাজও বাড়ন্ত।

সরকারে কাছে সুধীরের একটাই প্রার্থনা, তাঁদের জন্য এমন কোনও পদক্ষেপ করা হোক যাতে মাসে অন্তত ১৫ হাজার টাকা আয় হতে পারে। এজন্য হয় কৃষিকাজের খরচ লাঘব হোক, অথবা ফসলের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত হোক।

 

Next Video