Adani vs Ambani: অম্বানির চেনা মাঠে আদানির ‘এন্ট্রি’, PVC-ই ঘোরাবে ধনকুবেরদের ‘খেলা’?
Adani vs Ambani: একটি পরিসংখ্য়ান অনুযায়ী, ভারতে প্রতি বছর ৪০ লক্ষ টন পিভিসির প্রয়োজন হয়। সেই ভিত্তিতে দেশে পিভিসির উৎপাদন মাত্র ১৫ লক্ষ টনের কাছাকাছি। যার অর্ধেক আবার রিলায়েন্স উৎপাদন করে থাকে।

নয়াদিল্লি: অম্বানিকে টেক্কা দিতে আসরে আদানি। রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের অন্যতম বাণিজ্য সেক্টরে এবার পা রাখতে চলেছে গৌতম আদানির সংস্থা। ২০২৮ সালের মধ্যে গুজরাটের মুন্দ্রায় পিভিসি কারখানা তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা। এতদিন এই PVC সেক্টরে কার্যত একাই রাজ করতেন মুকেশ অম্বানি। এবার সেখানে চলে এল বড় প্রতিদ্বন্দ্বী।
একটি পরিসংখ্য়ান অনুযায়ী, ভারতে প্রতি বছর ৪০ লক্ষ টন পিভিসির প্রয়োজন হয়। সেই ভিত্তিতে দেশে পিভিসির উৎপাদন মাত্র ১৫ লক্ষ টনের কাছাকাছি। যার অর্ধেক আবার রিলায়েন্স উৎপাদন করে থাকে।
কিন্তু কোন কাজে PVC-র এত চাহিদা? ঘরে ঘরে জলের পাইপ থেকে দরজা-জানলার কাঠামো। পিভিসি ছাড়া এই সব তৈরি করা কার্যত অসম্ভব। এমনকি, কৃষিকাজে নানা যন্ত্রপাতিতেও এই পিভিসির ব্যবহার দেখা যায়। এই পরিস্থিতিতে দেশজুড়ে বাড়ন্ত চাহিদা, এদিকে পর্যাপ্ত উৎপাদন না থাকার কারণে সেই পিভিসি নিজেই তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছে আদানির সংস্থা।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইকনমিক টাইমস সূত্রে খবর, আদানির কারখানার পাল্টা অম্বানি যে হাত গুটিয়ে বসে থাকবে এমনটা নয়। বর্তমানে গুজরাটের হাজিরা, দহেজ এবং ভদোদরা মিলিয়ে পিভিসি উৎপাদনের জন্য মোট তিনটি কারখানা রয়েছে রিলায়েন্সের। যেখানে থেকে প্রতি বছর সাড়ে সাত লক্ষ টন পিভিসি তৈরি করে থাকে তারা। ২০২৭ সালের মধ্যে এই উৎপাদন ক্ষমতাকে দ্বিগুণ করে একাই ১৫ লক্ষ টন পিভিসি উৎপাদনের পরিকল্পনা করছে রিলায়েন্স।
অম্বানি যদি নিজের এই পরিকল্পনাকে বাস্তবায়ন করে ফেলেন, তা হলে কিন্তু মার খাবে আদানি। কারণ, ২০২৮ সালের মধ্যে মুন্দ্রায় আদানিদের যে পিভিসি কারখানা তৈরি হবে, তাতে সর্বোচ্চ বার্ষিক উৎপাদন দশ লক্ষ টন।





