এক ধাক্কায় ৭৯ লক্ষ! এমনটাই পরিস্থিতি জিওর। রক্ষা পায়নি বাকিরাও। টেলিকম ইন্ড্রাস্ট্রির জায়ান্টদের মাথায় হাত। বিশেষ করে জিওর। এক মাসেই ৭৯ লক্ষ কাস্টমার হারিয়েছে মুকেশ অম্বানীর রিলায়ান্স জিও। ভারতের সবচেয়ে বড় টেলিকং সংস্থা রিলায়ান্স জিও। কিন্তু এক মাসেই ৭৯ লক্ষ গ্রাহক হারানো মাথাব্যথা হয়ে দাঁড়িয়েছে মুকেশ অম্বানীর মতো বিলিওনেয়ারেরও। বিভিন্ন রাজ্যের গ্রাহকরাই ঝুঁকছেন বিএসএনএলের দিকে। এর ফলে গ্রাহক হারাচ্ছেন অন্যান্য টেলিকম সংস্থাগুলিও।
টেলিকম রেগুলারিটি অথরিটি অব ইন্ডিয়া (TRAI)-এর তথ্য অনুযায়ী, বেসরকারি টেলিকম সংস্থাগুলি সেপ্টেম্বর মাসে সব মিলিয়ে ১ কোটি গ্রাহক হারিয়েছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে মুকেশ অম্বানীর রিলায়ান্স জিওর। তারা ৭৯ লক্ষ গ্রাহক হারিয়েছে। এ ছাড়াও সুনীল মিত্তলের ভারতী এয়ারটেলের গ্রাহক কমেছে ১৪ লক্ষ। অন্য দিকে, VI- ভোডাফোন- আইডিয়া হারিয়েছে ১৫ লক্ষ গ্রাহক।
বেসরকারি টেলিকম সংস্থাগুলির ব্যবসায় রমরমা থাকলেও উল্লেখযোগ্য উন্নতি করেছে বিএসএনএল। দেরিতে হলেও প্রচুর গ্রাহক বিএসএনএলে স্থানান্তরিত হয়েছে। তথ্য অনুযায়ী জুলাই থেকে অক্টোবরের মধ্যে ৫৫ লক্ষ গ্রাহক অন্য সংস্থা থেকে বিএসএনএলে নম্বর পোর্ট করিয়েছে। ডিপার্টমেন্ট অব টেলিকমিউনিকেশন (DoT) এর তথ্য অনুযায়ী, জুলাই মাসেই ১৫ লক্ষ গ্রাহক জিও, ভোডাফোন, এয়ারটেলের মতো সংস্থা থেকে বিএসএনএলের গ্রাহক হয়েছেন। অগস্ট, সেপ্টেম্বর ও অক্টোবরে সংখ্যাটা বেড়ে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ২১ লক্ষ, ১১ লক্ষ ও ৭ লক্ষ।
জুন মাসে প্রতিটি বেসরকারি টেলিকম সংস্থাই নিজেদের পরিষেবার দর বাড়িয়েছিল। এরপর থেকেই লক্ষ লক্ষ গ্রাহক বিএসএনএলে নম্বর পোর্ট করিয়েছে, তথ্য এমনই বলছে। স্বাভাবিক ভাবেই বিএসএনএলের এই উন্নতিতে উচ্ছ্বসিত টেলিকম মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেছেন, ‘বিএসএনএলের মধ্যে আরও বড় সম্ভাবনা দেখতে পাচ্ছি’। অন্য দিকে, বিএসএনএলের চেয়ারম্যান তথা ম্যানেজিং ডিরেক্টর রবার্ট রবি জানিয়ে দিয়েছেন, অদূর ভবিষ্যতে তাদের ট্যারিফ বাড়ানোর কোনও পরিকল্পনা নেই।