নয়াদিল্লি: বাড়ছে দেশের অন্দরেই বিমান চাপার পরিমাণ। সম্প্রতি প্রকাশিত ডিরেক্টরেট জেনারেল অব সিভিল এভিয়েশনের একটি রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০২৪ সালে ৬.১২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে দেশের অভ্যন্তরীণে বিমান যাত্রীদের সংখ্যা। তবে ২০২৩ সালের তুলনায় শতাংশের হিসাবে অনেকটাই পতন হয়েছে বলেই খবর।
করোনা থেকে রেহাই পাওয়ার পর এসেছিল কাজে ফেরার সময়। ২০২০ সাল থেকে ২২ সাল পর্যন্ত ধাপে ধাপে ঘরবন্দি হয়ে গিয়েছিল সাধারণ মানুষ। এরপর ২০২৩ সাল। করোনা থেকে মুক্ত হয়ে একটু মুখ তুলে তাকাতেই বেড়েছিল ভিন রাজ্যে কাজে ফেরা ও ঘুরতে যাওয়ার হিড়িক। সেই বছর অর্থাৎ ২০২৩ সালে দেশের অভ্য়ন্তরীণেই বিমান যাত্রীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছিল ১৫২ মিলিয়ন। রিপোর্ট বলছে, এক বছরে বিমান যাত্রীদের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছিল প্রায় ২৪ শতাংশ। সে বছর শুধু মাত্র এয়ার ইন্ডিয়ার দেশীয় যাত্রীর সংখ্যা বেড়েছিল ৬০ শতাংশ।
নতুন বছরেই গতি পেয়েছে বিমানের টিকিট বিক্রির সংখ্যা
তবে চলতি বছরের শুরুতেই দেশের অভ্যন্তরে বিমানের মাধ্যমে যাতায়াতের পরিমাণ অনেকটাই বাড়তি গতি পেয়েছে বলে মত ওয়াকিবহাল মহলের। তাদের দাবি, মূলত কুম্ভ মেলার হাত ধরেই বেড়েছে টিকিটের চাহিদা। আর সেই সূত্র ধরেই বেড়েছে যাত্রীর পরিমাণ।
সম্প্রতি প্রকাশিত একটি রিপোর্ট অনুযায়ী, মহাকুম্ভ ঘিরে টিকিটের দাম এতটাই বেড়েছে যে, প্রয়াগরাজ যাওয়ার থেকে সিঙ্গাপুরে বেশ সস্তা হয়ে দাঁড়িয়েছে। কলকাতা থেকে বিমানে চেপে একজন ব্যক্তির প্রয়াগরাজ যেতে খরচ পড়ছে প্রায় ১৬ হাজার টাকা। কিন্তু সিঙ্গাপুর? সেখানে যেতে খরচ পড়ছে মাত্র ১২ হাজার টাকা।