Public Provident Fund: PPF-এর নিয়মে ৫টি বড় বদল, বিনিয়োগকারীরা জেনে নিন
PPF Account: এক বছরের পিপিএফ অ্যাকাউন্টে সর্বনিম্ন ৫০০ টাকা এবং সর্বোচ্চ দেড় লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করা যেতে পারে।
ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে অনেকেই পিপিএফ অথবা পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ডে বিনিয়োগ করেন। ব্যাঙ্ক অথবা পোস্ট অফিসে পিপিএফ অ্যাকাউন্ট খুলে আপনি প্রাথমিকভাবে বিনিয়োগ শুরু করতে পারেন। এক বছরের পিপিএফ অ্যাকাউন্টে সর্বনিম্ন ৫০০ টাকা এবং সর্বোচ্চ দেড় লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করা যেতে পারে। পিপিএফে ৭.১০ শতাংশ হারে সুদ দেওয়া হয়। সেপ্টেম্বর মাসে পিপিএফের সুদের হার বাড়তে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে। সাম্প্রতিক বছরে সরকার নিয়মে বেশ কিছু বদল এনেছে। এই কোয়াটারে সরকারে নিয়মে কী বদল এনেছে, এক নজরে দেখে নেওয়া যাক…
- পিপিএফ অ্যাকাউন্টে ৫০০ টাকা থেকে শুরু করে দেড় লক্ষ টাকা অবধি জমা করা যেতে পারে। এর বেশি টাকা জমা করলে বিনিয়োগকারী আয়কর ছাড়ের আওতায় পড়বেন না। পিপিএফ অ্যাকাউন্টে জমা হওয়া টাকার ওপর সুদের হার সম্পূর্ণভাবে করমুক্ত। মাসে পিপিএফ অ্যাকাউন্টে একবারই টাকা জমা দেওয়া যাবে।
- পিপিএফ অ্যাকাউন্টে জমা হওয়া টাকা বিনিময়ে ঋণ নেওয়া সম্ভব হবে। বিগত কয়েকদিনে সুদের হার ২ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১ শতাংশ করা হয়েছে। ঋণ নেওয়া টাকা শোধ দেওয়ার পর সুদ দুটি কিস্তিতে শোধ করা যাবে।
- পিপিএফে ১৫ বছর বিনিয়োগ করার পর আপনি যদি সেখানে আর বিনিয়োগ করতে রাজি না হন, তাসত্ত্বেও আপনি কোনও বিনিয়োগ ছাড়া অ্যাকাউন্ট চালিয়ে নিয়ে যেতে পারবেন। তবে যে কোনও অর্থবর্ষে আপনি একবারই পিপিএফ অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তুলতে পারবেন।
- পিপিএফ অ্যাকাউন্ট খুলতে হলে ফর্ম ১ এর পরিবর্তে ফর্ম এ জমা দিতে হবে।
- পিপিএফ অ্যাকাউন্টের বিপরীতে ঋণ নেওয়ার নিয়ম হল যে আপনি আবেদনের তারিখের দুই বছর আগে আপনার অ্যাকাউন্টের মোট ব্যালেন্সের ২৫ শতাংশ পর্যন্ত ঋণ পেতে পারেন। অর্থাৎ, আপনি ৩১ অগস্ট ২০২২-এ ঋণের জন্য আবেদন করেছিলেন। এর দুই বছর আগে (৩১ অগস্ট ২০২০), যদি আপনার PPF-এ ১ লক্ষ টাকা থাকে, তাহলে আপনি এর ২৫ শতাংশ অর্থাৎ ২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত ঋণ পেতে পারেন।