AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Salary Increment: বসদের আয় বাড়ছে রকেটের গতিতে, গরুর গাড়ির স্পিডে এগোচ্ছে কর্মচারীদের বেতন

Salary Increment:

Salary Increment: বসদের আয় বাড়ছে রকেটের গতিতে, গরুর গাড়ির স্পিডে এগোচ্ছে কর্মচারীদের বেতন
| Updated on: May 02, 2025 | 6:48 PM
Share

ভারতে CEO-দের গড় বার্ষিক আয় এখন প্রায় ২ মিলিয়ন ডলার (১৬.৯২ কোটি টাকা)। অক্সফ্যাম (Oxfam) প্রকাশিত একটি নতুন প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৯ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে সারা বিশ্বে CEO-দের বেতনে ৫০% বৃদ্ধি হয়েছে, অথচ সেখানে সাধারণ কর্মচারীদের বেতন বেড়েছে মাত্র ০.৯%। অর্থাৎ বসেদের মাইনে বাড়লেও সেই তুলনায় কিছুই লাভ হচ্ছে না রক্তজল করে খাটা সাধারণ কর্মচারীদের।

অক্সফ্যামের প্রতিবেদন অনুযায়ী বিশ্বজুড়ে CEO-দের বেতনের তুলনা –

১। আয়ারল্যান্ডে CEO-দের গড় আয় বছরে ৬.৭ মিলিয়ন ডলার

২। জার্মানিতে গড় আয় ৪.৭ মিলিয়ন ডলার

৩। দক্ষিণ আফ্রিকায় গড় আয় ১.৬ মিলিয়ন ডলার

অক্সফ্যামের প্রধান অমিতাভ বেহর এই বিষয়ে বলেন, “এই ব্যবস্থাটি এমনভাবে তৈরি হয়েছে যে ধনীদের আরও ধনী করে তোলে, অথচ সাধারণ শ্রমিকরা বাড়িভাড়া, খাবার এবং চিকিৎসার জন্যও সংগ্রাম করেন।”

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে যে, ২০২২ সালে নারী ও পুরুষের আয়ের মধ্যে ব্যবধান ছিল ২৭%, যা ২০২৩ সালে কিছুটা কমে ২২% হয়েছে। কিন্তু এই ফারাক এখনও যথেষ্ট বেশি।

গত বছর বিশ্বের বিলিয়নিয়াররা গড়ে ২০৬ বিলিয়ন ডলার রোজগার করেছেন। অর্থাৎ প্রতি ঘণ্টায় তারা ২৩,৫০০ ডলার আয় করেছেন। যা বিশ্বের গড় বার্ষিক আয় (২১,০০০ ডলার) থেকেও বেশি।

ওই প্রতিবেদনে সতর্ক করা হয়েছে যে, আমেরিকার নতুন ট্যারিফ নীতির কারণে শ্রমিকদের আরও ক্ষতি হতে পারে। এই নীতির ফলে চাকরি হারানোর সম্ভাবনা বাড়বে এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দামও বাড়তে পারে, যার ফলে অপেক্ষাকৃৎ দুর্বল অর্থনীতির দেশগুলিতে আর্থিক বৈষম্য আরও বাড়বে।

২০২৪ সালে কিছু দেশে যেমন ২.৭% বেতন বৃদ্ধি হয়েছে, তবে ফ্রান্স, দক্ষিণ আফ্রিকা ও স্পেন-এ এই বৃদ্ধির হার মাত্র ০.৬% ছিল। অক্সফ্যাম বলেছে, এই ধরনের বৈষম্য এবং ট্যারিফ নীতি শ্রমিকদের জীবনে আরও সমস্যার সৃষ্টি করবে।

এই তথ্যগুলো বর্তমান অর্থনৈতিক ব্যবস্থার গভীর বৈষম্য এবং শ্রমজীবী মানুষের সমস্যার চিত্রকেই যেন আরও গভীরভাবে তুলে ধরে। সুষম বেতন কাঠামো এবং ন্যায্য নীতির প্রয়োগ এখন সময়ের দাবি।