Cast: ভোট না দিলে অ্যাকাউন্ট থেকে ৩৫০ টাকা কেটে নেওয়া হবে? ভাইরাল খবরের সত্যতা জানুন

PIB: নির্বাচন কমিশনের মুখপাত্রের এক্স অ্যাকাউন্টে এটাও বলা হয়েছে যে, “আমাদের নজরে এসেছে যে কিছু হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ধরনের ভুয়া খবর আবার ভাইরাল করা হচ্ছে।" নির্বাচন কমিশন এই ধরনের কোনও সিদ্ধান্ত নেয়নি বলেও জানিয়েছে পিআইবি।

Cast: ভোট না দিলে অ্যাকাউন্ট থেকে ৩৫০ টাকা কেটে নেওয়া হবে? ভাইরাল খবরের সত্যতা জানুন
প্রতীকী ছবি।Image Credit source: PTI
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 18, 2023 | 1:42 AM

নয়া দিল্লি: ভোট (Cast) দেওয়া প্রতিটি সাধারণ মানুষের অধিকার। এমন পরিস্থিতিতে, আজকাল সোশ্যাল মিডিয়ায় এক ভাইরাল খবর দেখা যাচ্ছে। যেখানে দাবি করা হচ্ছে যে, কোনও ব্যক্তি ভোট না দিলে তার অ্যাকাউন্ট (Bank account) থেকে ৩৫০ টাকা কেটে নেওয়া হবে। আসলে, আগামী বছর, ২০২৪ লোকসভা নির্বাচন হওয়ার কথা। এই আবহে বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি বার্তা ভাইরাল হচ্ছে। যেখানে নির্বাচন কমিশনের বরাত দিয়ে লোকসভা নির্বাচনে ভোট না দেওয়া জনগণের জন্য ব্যয়বহুল হতে পারে। সংবাদপত্রের ক্লিপিংয়ের ছবি আকারে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হচ্ছে এই খবর। কিন্তু এই খবর কী আদৌ সত্য? জেনে নিন পুরো বিষয়টি কী?

পুরো বিষয়টি আদতে কী?

সোশ্যাল মিডিয়ায় এটা দেখা যাচ্ছে যে, কোনও ব্যক্তির ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট না থাকলে মোবাইল রিচার্জ থেকে টাকা কেটে নেওয়া হবে। সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকেই এই খবর শেয়ার করছেন। এতে নির্বাচন কমিশনের সমালোচনাও হচ্ছে। এই খবরে বলা হয়েছে, নির্বাচন কমিশন আদালতের পূর্বানুমতি নিয়েছে। খবরে বলা হয়েছে যে, যাঁরা ভোট দেবেন না তাঁদের আধার কার্ডের মাধ্যমে চিহ্নিত করা হবে এবং সেই কার্ডের সঙ্গে যুক্তদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে ৩৫০ টাকা কেটে নেওয়া হবে।

পিআইবি সত্যতা জানাল 

প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরো (পিআইবি) এই ভাইরাল খবর যাচাই করে সত্যতা সম্পর্কে জানিয়েছে। পিআইবি জানায়, এই খবর সম্পূর্ণ ভুয়ো। নির্বাচন কমিশনের মুখপাত্রের এক্স অ্যাকাউন্টে এটাও বলা হয়েছে যে, “আমাদের নজরে এসেছে যে কিছু হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ধরনের ভুয়া খবর আবার ভাইরাল করা হচ্ছে।” নির্বাচন কমিশন এই ধরনের কোনও সিদ্ধান্ত নেয়নি বলেও জানিয়েছে পিআইবি।

তবে দায়িত্বশীল নাগরিক হিসাবে ভোট দেওয়া জরুরি। কিন্তু, কেউ কাউকে চাপ বা ব্ল্যাকমেইল করে ভোট দিতে পারবে না বলেও স্পষ্ট জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন।