Income Tax Return: আয়কর রিটার্ন: পুরনো না নতুন, কোন কর ব্যবস্থা বেছে নেওয়া উচিত আপনার?

Income Tax Return: ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে আয়কর রিটার্ন বা আইটিআর ফাইল করতে হবে। বর্তমানে, করদাতাদের জন্য দুটি আয়কর ব্যবস্থা রয়েছে। পুরনো ন নতুন কোন আয়কর ব্যবস্থা বেছে নেবেন?

Income Tax Return: আয়কর রিটার্ন: পুরনো না নতুন, কোন কর ব্যবস্থা বেছে নেওয়া উচিত আপনার?
ফাইল ছবি
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 14, 2022 | 9:15 AM

নয়া দিল্লি:  আসছে ৩১ জুলাই। আয়কর রিটার্ন বা আইটিআর ফাইল করার শেষ দিন। বর্তমানে, করদাতাদের জন্য দুটি আয়কর ব্যবস্থা রয়েছে – পুরানো আয়কর ব্যবস্থা, এবং নতুন আয়কর ব্যবস্থা, যেখানে বেশ কিছু ‘কনেশেসন’ বা রেয়াত পাওয়া যায়। এই বছর আয়কর রিটার্ন দাখিল করার আগে, বিস্তারিতভাবে জেনে নিন দুই কর ব্যবস্থা সম্পর্কেই। বুঝে নিন কোনটি আপনার জন্য উপযুক্ত হবে।

পুরনো কর ব্যবস্থা

করের বোঝা কমাতে জন্য পুরনো কর ব্যবস্থার অধীনে ৭০ টিরও বেশি আর্থিক বিনিয়োগ বা ব্যয়ের জন্য ছাড় পাওয়া যায়। ১৯৬১ সালের আয়কর আইন এর ৮০-র গ ধারায় কর্মচারী ভবিষ্য তহবিল বা ইপিএফ, পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ড বা পিপিএফ, ইক্যুইটি লিঙ্কড সেভিংস স্কিম বা ইএলএসএস, ন্যাশনাল পেনশন স্কিম বা এনপিএস, ইউনিট লিঙ্কড ইন্স্যুরেন্স প্ল্যান বা ইউএলআইপি, সুকন্যা সমৃদ্ধি যোজনা, এনএসসি, এবং ব্যাঙ্ক এবং অথবা পোস্ট অফিসে পাঁচ বছরের ট্যাক্স-সেভিং ফিক্সড ডিপোজিটে বিনিয়োগের উপর কর ছাড় পাওয়া যায়। বীমা প্রিমিয়ামের জন্য ২৫,০০০ টাকা পর্যন্ত ছাড় পাওয়া যেতে পারে। বয়স ৬০ বছরের বেশি হলে কর কর্তনর পরিমাণ ৫০,০০০ টাকা পর্যন্ত বাড়ানো যেতে পারে। বেতনভোগীরা হাউস রেন্ট অ্যালাউন্স বা এইচআরএ এবং ভ্রমণ ভাতা বা এলটিএ-র উপরও ছাড় দাবি করতে পারেন। এছাড়া, ৫০,০০০ টাকার স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশনও পাওয়া যায়।

নতুন কর ব্যবস্থা

২০২০ সালের বাজেটে প্রবর্তিত এই নয়া কর ব্যবস্থা বা রেয়াতি কর ব্যবস্থা চালু করা হয়েছিল। পুরনো ব্যবস্থার মতো ছাড় মিলবে না ঠিকই, তবে আগের তুলনায় ট্যাক্স স্ল্যাবের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে এবং করের হারও কম করা হয়েছে। নতুন কর ব্যবস্থার অধীনে, ৫ লক্ষ থেকে ৭.৫ লক্ষ টাকার বার্ষিক আয়ের উপর ১০ শতাংশ কর দিতে হবে। বছরে ৭.৫ লক্ষ থেকে ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয়ের উপর কর দিতে হবে ১৫ শতাংশ। ১০ লক্ষ টাকার উপরে যাদের আয়, নতুন কর ব্যবস্থার তাদের তিনটি পৃথক স্ল্যাবে ফেলা হয়েছে। ১০ লক্ষ থেকে ১২.৫ লক্ষ টাকার মধ্যে যাদের আয়, তাদের ২০ শতাংশ কর দিতে হবে। এছাড়া, ১২.৫ লক্ষ থেকে ১৫ লক্ষ টাকার মধ্যে আয়ের জন্য ২৫ শতাংশ এবং ১৫ লক্ষ টাকা বা তার বেশি আয়ের উপর ৩০ শতাংশ কর ধার্য করা আছে। পুরনো কর ব্যবস্থার অধিকাংশ ছাড়ের সুবিধাই নতুন কর ব্যবস্থায় না পাওয়া গেলেও, এনপিএস-এর মতো পেনশন স্কিমে কর্মচারীর অ্যাকাউন্টে নিয়োগকর্তার অবদানের ক্ষেত্রে এবং নতুন কর্মসংস্থানের জন্য এখনও কর ছাড় দাবি করা যেতে পারে।

পুরনো এবং নতুন কর ব্যবস্থার মধ্যে বেছে নেওয়ার সুযোগ পাবেন কারা?

বেতনভোগী এবং পেনশনভোগীরা তাদের সুবিধা অনুযায়ী প্রতি বছরই পুরনো কর ব্যবস্থা অথবা নতুন কর ব্যবস্থার বেছে নিতে পারেন। তবে, ব্যবসায়ী বা পেশাগত আয়ের করদাতাদের ক্ষেত্রে এইসুবিধা নেই। এই ধরনের করদাতাদের দুই ব্যবস্থার মধ্যে পরিবর্তন করার জন্য শুধুমাত্র একটিই সুযোগ পাবেন।

পুরনো না নতুন কর ব্যবস্থা – কোনটি বেছে নেবেন?

নতুন কর ব্যবস্থা চালু করা হয়েছিল, যাতে এইচআরএ, এলটিএ, স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশন, এর মতো ৮০-র গ ধারায় উল্লেখ করা ছাড়গুলি পাওয়ার সুবিধা নেই যাদের, তাদের কথা ভেবে। এই ধরণের করদাতাদের যাতে কম কর দিতে হয়, সেই উদ্দেশ্য নিয়েই নতুন কর ব্যবস্থার নকশা করা হয়েছে। কাজেই, যাদের দেয় আয়কর থেকে দাবি করার মতো এই ধরনের ছাড় নেই, তাদের জন্য নতুন কর ব্যবস্থাটি উপকারী হবে। তাকে পুরনো ব্যবস্থার তুলনায় নয়া ব্যবস্থায় কম কর দিতে হবে। আর যাদের এই ধরনের ছাড়গুলি পাওয়ার সুযোগ আছে, তাদের ক্ষেত্রে পুরনো ব্যবস্থা উপযুক্ত হবে।

যে কর ব্যবস্থাই বেছে নেওয়া হোক, সবার আগে করের পরিমাণ গণনা করাটা গুরুত্বপূর্ণ। কতটা কর বাঁচানো যাচ্ছে সেটা সম্পর্কে আগেই নিশ্চিত হতে হবে। প্রতিদিনের জীবনে আমরা এমন বেশ কিছু পদক্ষেপ করি, যেগুলি কর সাশ্রয় করতে পারে। বাচ্চাদের টিউশন ফি দেওয়া, জীবন বীমা করি, নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা, হোম লোন শোধ করার মতো ক্ষেত্রে অজান্তেই কর বাঁচে। সর্বোত্তম সুবিধা পেতে, এই বিষয়গুলি মাথায় রেখে করদাতাদের অবশ্যই দুই কর ব্যবস্থার অধীনেই দেয় কর গণনা করতে হবে। তাহলেই বোঝা যাবে, কোনটি নির্দিষ্ট কোনও গ্রাহকের জন্য উপযুক্ত।