Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

India-US ‘Tread Deal’: আমেরিকা-ভারত শুল্ক যুদ্ধে ‘দাঁড়ি’, দাম কমবে গ্যাস, ইলেক্ট্রনিক্স গ্যাজেটের! এবার চড়চড়িয়ে উঠবে শেয়ার বাজার?

US-India Trade Deal, Effect on Indian Market: আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে আমাদের দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সাক্ষাতে ১৩ ফেব্রুয়ারি এই চুক্তি নিয়ে কথাবার্তা হয়। আর এর পর ভারতের বাজারে যে কিছুটা হলেও আশার আলো দেখা যাবে, সে বিষয়ে কিছুটা নিশ্চিত বাণিজ্য মহল।

India-US 'Tread Deal': আমেরিকা-ভারত শুল্ক যুদ্ধে 'দাঁড়ি', দাম কমবে গ্যাস, ইলেক্ট্রনিক্স গ্যাজেটের! এবার চড়চড়িয়ে উঠবে শেয়ার বাজার?
Image Credit source: PTI
Follow Us:
| Updated on: Feb 19, 2025 | 1:41 PM

বিশ্বব্যাপী ভালবাসার দিনের উদযাপনের ঠিক আগের দিন অর্থাৎ ফেব্রুয়ারি মাসের ১৩ তারিখ ভারত ও আমেরিকা দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের এক উচ্চাকাঙ্খী চুক্তি স্বাক্ষর করে। চুক্তি অনুযায়ী, ২০৩০ সালের মধ্যে দুই দেশ ৫০০ বিলিয়ন ডলারের বাণিজ্য করবে। আর তারপরই নাকি ভারত-আমেরিকা দুই দেশই শুল্ক কমানোর বিষয়ে ঐক্যমতে এসেছে, জানিয়েছেন ভারত সরকারের এক উচ্চপদস্থ এক আধিকারিক।

এই চুক্তির ফলে ভারত ও আমেরিকা উভয় পক্ষই কৃষিজ পণ্যের আমদানি ও রফতানির ক্ষেত্রে একসঙ্গে কাজ করবে বলে জানা গিয়েছে। এ ছাড়াও ভারতে আমেরিকান শিল্প পণ্য রফতানি ও বিভিন্ন পণ্য যা উৎপাদনে শ্রম লাগে তা ভারত থেকে আমেরিকায় রফতানি করার ক্ষেত্রে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বৃদ্ধিতে দুই পক্ষই সহযোগিতা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যের প্রস্তাবিত এই দ্বিপক্ষিক চুক্তিকে ‘মিনি ট্রেড ডিল’ বা ‘ক্ষুদ্র ব্যবসায়িক চুক্তি বলা যেতেই পারে। ওই উচ্চপদস্থ আধিকারিক এও বলেন যে কত দ্রুত এই চুক্তি বাস্তবে পরিণত হবে তা আলোচনার মাধ্যমেই স্থির হবে। যদিও এই চুক্তিকে এখনও মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি বলা যাবে না।

ওই আধিকারিক আরও বলেন, “ট্রাম্পের প্রথম কার্যকালের সময় আমরা আমেরিকার সঙ্গে একটি ক্ষুদ্র ব্যবসায়িক চুক্তি নিয়ে আলোচনা করেছিলাম। মনে করা হয়েছিল সেই চুক্তি MFN (মোস্ট ফেভারড নেশন) নীতি বা ‘সর্বাধিক পছন্দের দেশ’ নীতি অনুযায়ী হবে। আর সেই কারণেই এবারে আমরা ওই টার্মের বদলে ‘দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তি’ কথাটি ব্যবহার করছি। আর এবারের এই চুক্তি আগের বারের তুলনায় অনেক বেশি স্বচ্ছ”।

আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে আমাদের দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সাক্ষাতে ১৩ ফেব্রুয়ারি এই চুক্তি নিয়ে কথাবার্তা হয়। যদিও ট্রাম্প প্রথম বার ক্ষমতায় আসার পর এই ‘ক্ষুদ্র ব্যবসায়িক চুক্তি’ নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছিল। যা পরবর্তীতে বাইডেন আমলে আবার ঠান্ডা ঘরেও চলে যায়।

যদিও ওই আধিকারিকের বক্তব্য অনুযায়ী, বাণিজ্য ঘাটতির ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র যে তালিকা তৈরি করে সেখানে অনেক নীচের দিকে আসে ভারত। আর এই বিষয়ে আমেরিকার তীক্ষ্ণ নজর থাকে চিনের দিকেই। বিশ্ব ব্যাঙ্কের তথ্য অনুযায়ী চিনের সঙ্গে আমেরিকার বাণিজ্য ঘাটতি প্রায় ৩০০ বিলিয়ন ডলারের। ফলে এ ক্ষেত্রে আমেরিকার আসল লক্ষ্য যে চিনই সেটা যেন কিছুটা হলেও পরিষ্কার। আর এর পর ভারতের বাজারে যে কিছুটা হলেও আশার আলো দেখা যাবে, সে বিষয়ে কিছুটা নিশ্চিত বাণিজ্য মহল।