Indian Rupee Vs US Dollar: আমজনতার পকেটে টান! কেন ৯১ পার করল টাকার দর?
INR Vs USD: আসল কারণ লুকিয়ে আছে ট্রাম্প প্রশাসনের সেই ৫০ শতাংশ শুল্ক বা ট্যারিফের মধ্যে। ২৭ অগস্ট থেকে ভারত থেকে পাঠানো অধিকাংশ পণ্যে এই চড়া শুল্ক বসিয়েছে আমেরিকা। ফল? আমেরিকার বাজারে আমাদের কাপড়, গয়না আর চর্মজাত পণ্য মহার্ঘ হয়ে গিয়েছে। ফলে কমেছে বিক্রি।

বছরের শুরুতে ডলারের দাম ছিল ৮৫ টাকা। কিন্তু ডিসেম্বরের শেষবেলায় এসে দেখা যাচ্ছে, ভারতীয় টাকার হাল বেহাল। বুধবার একসময় ডলার প্রতি টাকার দর ছুঁয়ে ফেলেছে ৯১। আর তার ফলে গোটা এশিয়া মহাদেশে এই মুহূর্তে সবথেকে দুর্বল মুদ্রা আমাদের টাকা। কিন্তু কেন এই রক্তক্ষরণ? আর আপনি সাধারণ মানুষ হিসেবে এর ফলে কতটা সমস্যায় পড়বেন?
আসল কারণ লুকিয়ে আছে ট্রাম্প প্রশাসনের সেই ৫০ শতাংশ শুল্ক বা ট্যারিফের মধ্যে। ২৭ অগস্ট থেকে ভারত থেকে পাঠানো অধিকাংশ পণ্যে এই চড়া শুল্ক বসিয়েছে আমেরিকা। ফল? আমেরিকার বাজারে আমাদের কাপড়, গয়না আর চর্মজাত পণ্য মহার্ঘ হয়ে গিয়েছে। ফলে কমেছে বিক্রি। কমেছে ভারত থেকে রফতানি। ধাক্কা লেগেছে ভারতের অর্থনীতিতে।
বাংলার ওপর এর প্রভাব ঠিক কতটা?
- বানতলা লেদার কমপ্লেক্স: প্রায় ৫ লক্ষ শ্রমিকের রুটিরুজি জড়িয়ে এই শিল্পে। রপ্তানি কমলে এদের কাজ হারানোর ভয় বাড়ছে।
- সামুদ্রিক মাছ: বাংলার প্রায় ৬,০০০ কোটি টাকার সামুদ্রিক খাবার রপ্তানি এখন বিশ বাঁও জলে।
নমুরার মতো সংস্থা বলছে, আগামী মার্চের মধ্যে টাকার দর ৯২ হতে পারে। টাকার দর দুর্বল হওয়া শুরু হতেই বিদেশি লগ্নিকারীরা ভারতের শেয়ার বাজার থেকে প্রায় ১৮ বিলিয়ন ডলার তুলে নিয়েছে। আর এই ঘাটতি টাকাকে আরও দুর্বল করছে।
তাহলে কি কোনও আশার আলো নেই?
বাণিজ্য সচিব রাজেশ আগরওয়াল যদিও বলছেন, আমেরিকার সঙ্গে ট্রেড ডিল বা বাণিজ্য চুক্তি এখন ‘অ্যাডভান্সড স্টেজে’। একই সঙ্গে রিজার্ভ ব্যাঙ্কও কোমর বেঁধে নেমেছে বাজার সামাল দিতে। তবে চুক্তি চূড়ান্ত না হওয়া পর্যন্ত আপনার আমদানিকৃত ইলেকট্রনিক্স পণ্য বা বিদেশে পড়ার খরচ—সবই কিন্তু বাড়তে পারে। পরের তিন মাস তাই ভারতের ব্যবসায়ী ও আপনার পকেট, উভয়ের জন্যই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
