Indian Railway: বন্দে ভারত নয়! দেশের ‘সবচেয়ে ধনী’ এই ট্রেনের নাম জানেন? একবছরেই আয় ১৭৬ কোটি
Indian Railway: ভারতীয় রেলে আয়ের মূল ক্ষেত্রটাই হচ্ছে টিকিট বিক্রি। টিকিট বিক্রি না হলেই আয় পড়বে রেলমন্ত্রকের। এককালে টিকিট কেনা নিয়ে যাত্রীদের মধ্যে সচেতনা বৃদ্ধি করতে ক্রমাগত প্রচার চালাত রেল।
নয়াদিল্লি: মোদী সরকারের আমলে ভারতীয় রেলে চলেছে উন্নয়নযজ্ঞ। বন্দে ভারতের মতো দ্রুতগতির ট্রেন পেয়েছে যাত্রীরা। আর সেই রেশ কাটার আগেই আরও বিলাসবহুল ও আরও গতিময় ট্রেন অমৃত ভারত ২.০ পেতে চলেছে ভারতীয় রেলের যাত্রীরা। বছর বছর ধরে রেলের উন্নয়নে কাড়ি কাড়ি টাকা ঢালছে কেন্দ্রীয় সরকার। কিন্তু মুনাফা? বিনিয়োগের তুলনায় কতটা লাভের মুখ দেখেছে রেলমন্ত্রক? সরকারের আয় বাড়িয়েছে কোন ট্রেন?
ভারতীয় রেলে আয়ের মূল ক্ষেত্রটাই হচ্ছে টিকিট বিক্রি। আর তা বিক্রি না হলেই আয় পড়বে রেলমন্ত্রকের। এককালে টিকিট কেনা নিয়ে যাত্রীদের মধ্যে সচেতনা বৃদ্ধি করতে ক্রমাগত প্রচার চালাত রেল।
২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে রেকর্ড আয়ের মুখ দেখে ভারতীয় রেলমন্ত্রক। সেই বছর ২.৪০ লক্ষ কোটি টাকা আয় করেছিল এই কেন্দ্রীয় মন্ত্রক। তার আগের বছর রেলের আয় হয়েছিল ২.২৩ লক্ষ কোটি টাকা। একবছরে ১৭ হাজার কোটি টাকা আয় বেড়ে ভারতীয় রেলের। আর সেই আয়ের বেশিরভাগটা উঠেছিল ট্রেন টিকিট বিক্রি মাধ্যমে।
একটি পরিসংখ্যান সূত্রে জানা যায়, রেলমন্ত্রককে প্রতিবছরই দায়িত্ব সহকারে বেশ মোটা অঙ্কের টাকা তুলে রাজধানী এক্সপ্রেস। আরও নির্দিষ্ট ভাবে বলতে গেলে কেএসআর বেঙ্গালুরু রাজধানী এক্সপ্রেসের টিকিট বেচেই বেশ ভাল পরিমাণ লক্ষ্মী লাভ করে থাকে ভারতীয় রেল।
খোদ ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে দিল্লি থেকে বেঙ্গালুরুগামী এই ট্রেনে সফর করে ৫ লক্ষেরও অধিক যাত্রী। সেই বছরেই মোট ১৭৬ কোটি টাকা কাছাকাছি শুধুমাত্র এই ট্রেনটির মাধ্যমেই আয় করে ভারতীয় রেল।
রাজধানী এক্সপ্রেসের বেঙ্গালুরু শাখা ছাড়াও, শিয়ালদহ, ডিব্রগড় ও কলকাতা শাখার আয়ও অন্যান্য ট্রেনের তুলনায় অনেকটাই বেশি। সহজ করে বলতে গেলে, রেলের মূল আয়ের বেশির ভাগ টাকাটাই তুলে আনে দেশজুড়ে চলা একাধিক রাজধানী এক্সপ্রেস।