Richest man in Bangladesh: হাসিনার থেকে ৪০ হাজার গুণ বেশি সম্পদ, ইনিই বাংলাদেশের সবথেকে ধনী ব্যক্তি

Richest man in Bangladesh: হাসিনার বিদায়ের পর তাঁর বিলাসবহুল জীবনযাপন নিয়ে অনেক আলোচনা হয়েছে। গণভবন থেকে দামী দামী, শাড়ি, গয়না-সহ বহু জিনিস লুঠ করেছেন সাধারণ মানুষ। তবে শেখ হাসিনা আর কতই বা বড়লোক? বাংলাদেশের এই ধনকুবেররা সম্পত্তিতে তাঁকে বলে বলে গোল দেবে।

Richest man in Bangladesh: হাসিনার থেকে ৪০ হাজার গুণ বেশি সম্পদ, ইনিই বাংলাদেশের সবথেকে ধনী ব্যক্তি
বাংলাদেশের সবথেকে ধনী ব্যক্তি মুসা বিন শমসের ওরফে প্রিন্স মুসাImage Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Updated on: Aug 20, 2024 | 5:48 PM

ঢাকা: ধনকুবেরদের কথা উঠলে, এলন মাস্ক, জেফ বেজোস, মুকেশ অম্বানি, গৌতম আদানির নামই মাথায় আসে। তবে, এই তালিকায় নাম আছে বেশ কয়েকজন বাংলাদেশি ব্যক্তিদেরও। হাসিনা বিদায়ে এখন টালমাটাল সেই দেশের অর্থনীতি। মূল্যবৃদ্ধি, দারিদ্র্য এবং বেকারত্বের মতো চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। হাসিনার বিদায়ের পর তাঁর বিলাসবহুল জীবনযাপন নিয়ে অনেক আলোচনা হয়েছে। গণভবন থেকে দামী দামী, শাড়ি, গয়না-সহ বহু জিনিস লুঠ করেছেন সাধারণ মানুষ। তবে শেখ হাসিনা আর কতই বা বড়লোক? বাংলাদেশের এই ধনকুবেররা সম্পত্তিতে তাঁকে বলে বলে গোল দেবে। আর এমনই এক বাংলাদেশি ধনকুবের হলেন মুসা বিন শমসের বা প্রিন্স মুসা।

ফোর্বসের ২০২৪ সালের ধনকুবেরদের তালিকায় অবশ্য একমাত্র বাংলাদেশি হিসেবে নাম ছিল আজিজ খানের। বাংলাদেশের সবথেকে বড় শিল্পগোষ্ঠী ‘সামিটে’র মালিক তিনি। তবে, তিনি এখন পাকাপাকিভাবে সিঙ্গাপুরবাসী। তাই তাঁকে বাংলাদেশি আর বলা যায় না। কাজেই বাংলাদেশের সবথেকে ধনী ব্যক্তি এখন প্রিন্স মুসা। তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ কত? সেই কথায় পরে আসছি। শুধু জানিয়ে রাখি, শেখ হাসিনার থেকে মুসা বিন শমসের চেয়ে ৪০,০০০ গুণ বেশি ধনী। ১৯৪৫-এর ১৫ অক্টোবর, বাংলাদেশের ফরিদপুরে এক সুপরিচিত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছিলেন তিনি। তাঁর বাবা শমসের আলি মোল্লা ব্রিটিশ ভারতের এক পদস্থ কর্তা ছিলেন। ছোটবেলা থেকেই মুসা ছিলেন মেধাবী ছাত্র। ফরিদপুর রাজেন্দ্র কলেজে স্নাতক কোর্স করার পর তিনি পাড়ি দিয়েছিলেন আমেরিকায়। ক্যালিফোর্নিয়া স্টেট ইউনিভার্সিটি থেকে তিনি অর্থনীতিতে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন।

সাহিত্য ও সংস্কৃতির প্রতিও অনুরাগ ছিল মুসার। অল পাকিস্তান আন্ত-স্কুল ইংরেজি বিতর্ক প্রতিযোগিতায় জয়ী হয়েছিলেন তিনি। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময়, তিনি পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর হাতে গ্রেফতার হন। কারাগারে বন্দি অবস্থায় তাঁর স্বাস্থ্যের চূড়ান্ত অবনতি হয়েছিল। শারীরিক কারণে তাঁকে ফরিদপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। যুদ্ধর পর, তিনি বাংলাদেশের অর্থনীতি পুনর্গঠনে সহায়তা করেছিলেন। ক্রমে মুসা বিন শমসের বাংলাদেশের এক বিশিষ্ট শিল্পনেতা হয়ে ওঠেন। ডাটকো (DATCO) নামে এক সংস্থা প্রতিষ্ঠা করেন তিনি। মূলত বাইরের দেশে বাংলাদেশের কর্মশক্তি রফতানি করাই ছিল এই সংস্থার কাজ। এরপর তিনি অস্ত্র ব্যবসায় চলে আসেন। বিশ্বব্যাপী ট্যাঙ্ক, ফাইটার প্লেন এবং অন্যান্য অস্ত্রশস্ত্র বিক্রি করে ধনকুবের হয়ে ওঠেন।

অস্ত্র শিল্পে তাঁর অভাবনীয় সাফল্যের কারণে, তাঁকে ১৯৯৮ সালের সানডে টেলিগ্রাফের একটি নিবন্ধে ‘ম্যান উইদ দ্য গোল্ডেন গানস’ বলে উল্লেখ করা হয়েছিল। তাঁর বিলাসবহুল জীবনযাপন তাঁকে পশ্চিমী দেশে প্রিন্স মুসা নামে পরিচিতি এনে দেয়। তবে, বিতর্কও তাড়া করেছে সবসময়। এক সুইস ব্যাঙ্কে ৭ বিলিয়ন ডলার বা ৭০০ কোটি ডলার লুকিয়ে রেখেছেন বলে অভিযোগ ওঠে। ব্যাপক কর ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। আর এই সব করেই বিপুল সম্পত্তি আর্জন করেছেন তিনি। এই আন্তর্জাতিক অস্ত্র ব্যবসায়ী এবং পাওয়ার ব্রোকারের মোট সম্পদের পরিমাণ প্রায় ১২ বিলিয়ন ডলার বা ৯৯,৬০০ কোটি টাকা। তবে, তাঁর সম্পদের সঠিক পরিমাণ কখনই জানা যায় না। এর পাশাপাশি, বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মোট সম্পদের পরিমাণ মাত্র ২.৪৮ কোটি টাকা।

আরও খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Tv9 বাংলা অ্যাপ (Android/ iOs)