AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Morari Bapu: অম্বানী-আদানি নয়, রাম মন্দিরে সবথেকে বেশি দান এই ব্যক্তির

Morari Bapu: শ্রী রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্টের কোষাধ্যক্ষের মতে, মন্দির নির্মাণে এই পর্যন্ত ১,১০০ কোটি টাকারও বেশি খরচ হয়েছে। জানেন কি এই রাম মন্দির নির্মাণের পিছনে এখনও পর্যন্ত সবথেকে বেশি অর্থ কে দান করেছেন? না মুকেশ অম্বানী বা গৌতম আদানি নন। সেই ব্যক্তির নাম মোরারি বাপু। কে তিনি?

Morari Bapu: অম্বানী-আদানি নয়, রাম মন্দিরে সবথেকে বেশি দান এই ব্যক্তির
রাম মন্দির নির্মাণের জন্য ১৮.৬ কোটি টাকা দান করেছেন গুজরাটের এই আধ্য়াত্মিক নেতা Image Credit: Twitter
| Updated on: Jan 25, 2024 | 9:11 AM
Share

অযোধ্যা: সোমবার (২২ জানুয়ারি) প্রাণ প্রতিষ্ঠা হয়েছে অযোধ্যার রাম মন্দিরের। শিল্পপতি, রাজনীতিবিদ, চিত্রতারকা থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ – রাম মন্দির নির্মাণের জন্য দান করেছেন দেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রের বিভিন্ন স্তরের মানুষ। শ্রী রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্টের কোষাধ্যক্ষের মতে, মন্দির নির্মাণে এই পর্যন্ত ১,১০০ কোটি টাকারও বেশি খরচ হয়েছে। জানেন কি এই রাম মন্দির নির্মাণের পিছনে এখনও পর্যন্ত সবথেকে বেশি অর্থ কে দান করেছেন? না মুকেশ অম্বানী বা গৌতম আদানি নন। সেই ব্যক্তির নাম মোরারি বাপু। কে তিনি? তিনি হলেন গুজরাটের এক আধ্যাত্মিক নেতা তথা রামকথার কথক। অর্থাৎ, রামকথা পাঠ করে শোনান তিনি। কত টাকা দান করলেন তিনি? আসুন, জেনে নেওয়া যাক।

ছয় দশকেরও বেশি সময় ধরে রামায়ণ পাঠ ও রামের মহীমা প্রচার করে চলেছেন মোরারি বাপু। যেখানে, মুকেশ অম্বানীর পরিবার ট্রাস্টকে ২ কোটি ৫১ লক্ষ টাকা দান করেছেন, সেখানে রাম মন্দির নির্মাণের জন্য গুজরাটের এই আধ্য়াত্মিক নেতা ১৮.৬ কোটি টাকা দান করেছেন। তবে, ওই অর্থ পুরোটা তাঁর নিজের নয়। সাধারণ মানুষের কাছ থেকে ওই অর্থ সংগ্রহ করেছেন তিনি। ২০২০ সালের অগস্টে, গুজরাটের পিথোরিয়ায় এক অনলাইন রামকথা পাঠের সময়, রাম মন্দির নির্মাণের জন্য তহবিল সংগ্রহহের জন্য আহ্বান জানিয়েছিলেন নোরারি বাপু। তাঁর সেই আন্তরিক আবেদনে সাড়া দিয়ে, ভারত থেকে ১১.৩০ কোটি টাকা, ব্রিটেন এবং ইউরোপ থেকে ৩.২১ কোটি টাকা এবং আমেরিকা, কানাডা এবং অন্যান্য বিভিন্ন দেশ থেকে ৪.১০ কোটি টাকা দেন তাঁর রামকথার শ্রোতারা। সেই অর্থই তিনি ট্রাস্টের হাতে তুলে দিয়েছেন।

এক বিবৃতিতে, মোরারি বাপু বলেছেন, তহবিল সংগ্রহের ১৫ দিনের মধ্যে রাম জন্মভূমি ট্রাস্টের কাছে তাঁরা ১১.৩ কোটি টাকা হস্তান্তর করেছিলেন। বাকি অর্থ বিদেশ থেকে সংগ্রহ করা হয়েছিল। সেই তহবিলের জন্য ছাড়পত্রের প্রয়োজন ছিল। সেই ছাড়পত্র পাওয়া গিয়েছে ২০২৪-এ এসে। এই বছরের ফেব্রুয়ারিতে তিনি যখন রাম কথা পা করবেন, সেই সময় রাম জন্মভূমি তীর্থ ক্ষেত্র ট্রাস্টের হাতে বাকি অর্থ তুলে দেওয়া হবে। সব মিলিয়ে মোট অনুদানের পরিমাণ ১৮.৬ কোটি টাকা।

৬৪ বছরেরও বেশি সময় ধরে তিনি রাম কথা বর্ণনা, রাম নাম জপে কাটিয়েছেন। প্রথম থেকেই, অযোধ্যা বিরোধের শান্তিপূর্ণ সমাধানের আহ্বানের জানিয়েছেন তিনি। অবশেষে রাম মন্দিরের উদ্বোধন হওয়ায় মোরারি বাপু বলেছেন, “আমার হৃদয় আনন্দে ভরে গিয়েছে। আমি আনন্দে ভরে উঠেছি।”