Onion price: শর্ত সাপেক্ষে পেঁয়াজের রফতানি শুল্ক প্রত্যাহার, দামের উপর কী প্রভাব পড়বে?
Export duty: সম্প্রতি পেঁয়াজের দাম অতিরিক্ত বাড়তে শুরু করেছিল। কেজি প্রতি পেঁয়াজের দাম ৫০ টাকা পর্যন্ত উঠে গিয়েছিল। নভেম্বরে পেঁয়াজের দাম আরও বাড়তে পারে বলে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছিলেন। পরিস্থিতি সামাল দিতে কেন্দ্র পেঁয়াজের রফতানির উপর ৪০ শতাংশ শুল্ক জারি করে।

নয়া দিল্লি: পেঁয়াজ উৎপাদনকারী কৃষকদের স্বার্থে একটি বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। পেঁয়াজের (Onion) উপর থেকে রফতানি শুল্ক (Export duty) প্রত্যাহার করল কেন্দ্র। ইতিমধ্যে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে অর্থ মন্ত্রক। ফলে স্বস্তির শ্বাস ফেলেছেন লক্ষাধিক কৃষক। কেন্দ্রীয় সরকারের এই সিদ্ধান্তে কৃষকেরা এবার পেঁয়াজের ন্যায্যমূল্য পাবেন।
তবে সমস্ত ধরনের পেঁয়াজের উপর থেকে শুল্ক প্রত্যাহার করেনি। কেবল বেঙ্গালুরুর গোলাপ প্রজাতির পেঁয়াজের উপর থেকে রফতানি শুল্ক প্রত্যাহার করেছে কেন্দ্র। কিছু শর্ত সাপেক্ষে এই পেঁয়াজ রফতানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে বলে অর্থ মন্ত্রকের বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে। কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তের ফলে কৃষকেরা যেমন খানিক উপকৃত হবেন, তেমনই দেশে পেঁয়াজের দামও মাত্রাছাড়া হবে না এবং ক্রেতাদের সমস্যায় পড়তে হবে না বলেই আশাবাদী সরকার।
পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৩৫ টাকা কেজি
পেঁয়াজের ক্রমবর্ধমান দাম নিয়ন্ত্রণ করতে গত অগাস্টে কেন্দ্রীয় সরকার পেঁয়াজের রফতানির উপর ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছিল। তখন সরকার বলেছিল, মুদ্রাস্ফীতি ঠেকাতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৩ পর্যন্ত পেঁয়াজের উপর ৪০ শতাংশ রফতানি শুল্ক থাকবে। এর ফলে পেঁয়াজের রফতানি কমে যাবে এবং মজুত বাড়বে বলে আশা করেছিল সরকার। তার ফলে দেশে পেঁয়াজের দাম কমতে শুরু করবে। সরকারের এই সিদ্ধান্তে পেঁয়াজের দাম কিছুটা কমেছে। পেঁয়াজের কেজি প্রতি দাম ৪০-৫০ টাকা থেকে কমে ৩০ থেকে ৩৫ টাকায় দাঁড়িয়েছে।
সব দেশে পেঁয়াজ সরবরাহ করা হয়
বেঙ্গালুরুর গোলাপ প্রজাতির পেঁয়াজের বিদেশে প্রচুর চাহিদা রয়েছে। এর সর্বোচ্চ রফতানি হয় থাইল্যান্ড, তাইওয়ান, মালয়েশিয়া এবং সিঙ্গাপুরের মতো দেশে। এবার এই পেঁয়াজের উপর থেকে রফতানি শুল্ক প্রত্যাহার হওয়ায় কৃষকেরা উপকৃত হবেন বলে মনে করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি পেঁয়াজের দাম অতিরিক্ত বাড়তে শুরু করেছিল। কেজি প্রতি পেঁয়াজের দাম ৫০ টাকা পর্যন্ত উঠে গিয়েছিল। নভেম্বরে পেঁয়াজের দাম আরও বাড়তে পারে বলে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছিলেন। পরিস্থিতি সামাল দিতে কেন্দ্র পেঁয়াজের রফতানির উপর ৪০ শতাংশ শুল্ক জারি করে। কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তে বিপাকে পড়েন কৃষকেরা। পেঁয়াজের রফতানি শুল্ক প্রত্যাহারের দাবিতে আন্দোলনেও নামেন তাঁরা। অবশেষে ক্রেতাদের পাশাপাশি কৃষকদেরও কিছুটা সুবিধা দিল কেন্দ্রীয় সরকার।
