RBI Monetary Policy: অর্থনীতিকে ঘুরে দাঁড়াতে আরও একটু সময়, দশম দফাতেও অপরিবর্তিত রইল রেপো রেট
RBI Repo Rate Unchanged: ২০২০ সালের মার্চ মাস মাসে দেশজুড়ে করোনা সংক্রমণ আছড়ে পড়ার পরই অর্থনীতি সামাল দিতে রেপো রেট ১১৫ বেসিস পয়েন্ট কমিয়ে দেওয়া হয়। সেই সময় দেশের মুদ্রাস্ফীতি ও নগদ অর্থের জোগানে ভারসাম্য বজায় রাখতে রেপো রেট ও রিভার্স রেট যথাক্রমে ৪ শতাংশ এবং ৩.৩৫ শতাংশে কমানো হয়েছিল।
নয়া দিল্লি: করোনার দুটো ঢেউ সামলে যখন অর্থনীতি ধীরে ধীরে ঘুরে দাঁড়াচ্ছিল, তখনই দেশে আছড়ে পড়েছে ওমিক্রনের ঢেউ। এই পরিস্থিতিতে দেশের অর্থনীতিতে শক্তি জোগান দিতে ফের একবার অপরিবর্তিত রাখা হল রেপো রেট (Repo Rate) ও রিভার্স রেপো রেট (Reverse Repo Rate)। বৃহস্পতিবার সকালে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া(Reserve Bank of India)-র গভর্নর শক্তিকান্ত দাশ (Shaktikanta Das) জানান, এবারও রেপো রেট ৪ শতাংশেই অপরিবর্তিত রাখা হচ্ছে। রিভার্স রেপো রেটও ৩.৩৫ শতাংশেই অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। এই নিয়ে দশম দফায় অপরিবর্তিত থাকল রেপো রেট ও রিভার্স রেপো রেট।
২০২০ সালের মার্চ মাস মাসে দেশজুড়ে করোনা সংক্রমণ আছড়ে পড়ার পরই অর্থনীতি সামাল দিতে রেপো রেট ১১৫ বেসিস পয়েন্ট কমিয়ে দেওয়া হয়। সেই সময় দেশের মুদ্রাস্ফীতি ও নগদ অর্থের জোগানে ভারসাম্য বজায় রাখতে রেপো রেট ও রিভার্স রেট যথাক্রমে ৪ শতাংশ এবং ৩.৩৫ শতাংশে কমানো হয়েছিল। লকডাউনের জেরে দেশের অর্থনীতিতে যে বিপুল ধাক্কার লেগেছিল, তা সামাল দিতেই রেপো রেট ও রিভার্স রেপো রেট প্রতি ত্রৈমাসিকেই অপরিবর্তিত রাখা হচ্ছিল। এর আগে গত ডিসেম্বর মাসেও রেপো রেট অপরিবর্তিত রাখার ঘোষণা করেছিলেন আরবিআইয়ের গভর্নর শক্তিকান্ত দাশ।
Reserve Bank of India keeps repo rate unchanged at 4%, maintains accommodative stance; reverse repo rate remains unchanged at 3.35% pic.twitter.com/jjI2a4ZpsN
— ANI (@ANI) February 10, 2022
উল্লেখ্য, রিজার্ভ ব্যাঙ্ক যে সুদের হারে বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কগুলিকে ঋণ দেয়, তাঁকে রেপো রেট বলে। অন্যদিকে, রিজার্ভ ব্যাঙ্ক যে সুদের হারে অন্যান্য ব্যাঙ্কের কাছ থেকে ঋণ নেয়, তাকে রিভার্স রেপো রেট বলে।
রিজার্ভ ব্যাঙ্কের মনিটরি পলিসি কমিটির বৈঠকের পরই এদিন সকালে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর শক্তিকান্ত দাশ জানান, দেশের অর্থনীতির প্রবৃদ্ধির জন্য নীতিগত সহায়তার প্রয়োজন ছিল। সেই কারণেই রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়ার তরফে এবারও রেপো রেট ও রিভার্স রেপো রেট অপরিবর্তিত রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আরবিআই প্রধান জানান, চলতি অর্থবর্ষের দেশের জিডিপির প্রবৃদ্ধি ৯.২ শতাংশ থাকবে। এরফলে করোনা পূর্ব সময়ে দেশের অর্থনীতির যে অবস্থান ছিল, পুনরায় সেই স্থানে পৌঁছতে পারবে। আগামী ২০২২-২৩ অর্থবর্ষের জন্য জিডিপির প্রকৃত বৃদ্ধির হার ৭.৮ শতাংশ হিসাবেই ধরে রাখা হয়েছে।