AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Muhammad Ali Jinnah: পাকিস্তানের জাতির জনকের পরবর্তী প্রজন্ম ভারতের মানুষ, পাকিস্তানের নাগরিক হননি তাঁর মেয়েও!

Jinnah, Pakistan: ১৯৩৮ সালে জিন্নার একমাত্র সন্তান ডিনা তৎকালীন বোম্বের এক পার্সি ব্যবসায়ী নেভিল ওয়াদিয়াকে বিবাহ করেন। কিন্তু অন্য ধর্মে বিবাহ, মেনে নিতে পারেননি ডিনার বাবা মহম্মদ আলি জিন্না।

Muhammad Ali Jinnah: পাকিস্তানের জাতির জনকের পরবর্তী প্রজন্ম ভারতের মানুষ, পাকিস্তানের নাগরিক হননি তাঁর মেয়েও!
| Updated on: Apr 29, 2025 | 6:27 PM
Share

ভারতের স্বাধীনতার সময় দ্বিজাতি তত্ত্বের ভিত্তিতে তৈরি হয়েছিল পাকিস্তান। আর পাকিস্তান তৈরির পিছনে সবচেয়ে বড় মাথা ছিল সে দেশের প্রথম গভর্নর জেনারেল মহম্মদ আলি জিন্না। জিন্নাকে সে দেশের মানুষ বাবা-এ-কোয়াম বা কয়েদ-এ-আজম বলে সম্মোধন করে। যার অর্থ জাতির জনক।

১৮৭৬ সালের ২৫ ডিসেম্বর তৎকালীন বোম্বে প্রেসিডেন্সির করাচিতে জন্মগ্রহণ করেন জিন্না। জন্মের সময় তাঁর নাম ছিল মাহমেদালি জিন্নাভাই। বর্তমান গুজরাটের কাথিয়াওয়াড় থেকে তাঁর পিতামহ করাচিতে চলে যান। যদিও জিন্না নিজে বলেছিলেন, তাঁর পূর্বপুরুষরা আসলে রাজপুত ছিলেন। যাঁরা পরবর্তীতে কাথিয়াওয়াড়ে যান। তারপর করাচি। এবং সেই পূর্বপুরুষের মৃত্যুর পর তাঁর পরিবারের মানুষরা ইসলাম গ্রহণ করেন।

জিন্না ও তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রী রতনবাই পেটিটের একটিমাত্র কন্যাসন্তান ছিল। তাঁর নাম ডিনা জিন্না। ১৯১৯ সালের ১৫ অগস্ট লন্ডনে ডিনা জিন্নার জন্ম হয়। যখন তাঁর মাত্র ১০ বছর বয়স তখন জিন্নার স্ত্রী রতনবাই মারা যান। মাতৃহারা ডিনাকে মাতৃস্নেহে বড় করে তোলেন পিসি ফতিমা জিন্না। ফতিমাকে পাকিস্তানের ‘জাতির জননী’ (মাদার-এ-মিলাত) বা ‘পাকিস্তানের কন্যা’ (খাতুন-এ-পাকিস্তান) বলা হয়।

১৯৩৮ সালের ১৬ নভেম্বর জিন্নার একমাত্র সন্তান ডিনা তৎকালীন বোম্বের এক পার্সি ব্যবসায়ী নেভিল ওয়াদিয়াকে বিবাহ করেন। কিন্তু অন্য ধর্মে বিবাহ, মেনে নিতে পারেননি ডিনার বাবা মহম্মদ আলি জিন্না। ফলে বাবা ও মেয়ের সম্পর্কে একটা ফাটল দেখা দেয়। এমনকি নিজের মেয়ের বিয়ের অনুষ্ঠানেও উপস্থিত ছিলেন না জিন্না। যদিও জানা যায়, নিজের ড্রাইভারের হাত দিয়ে ফুলের তোড়া পাঠিয়েছিলেন জিন্না।

পাকিস্তানি সাংবাদিক হামিদ মীরকে দেওয়া একটা সাক্ষাৎকারে ডিনা বলেছিলেন জিন্নার সঙ্গে তাঁর শেষ সাক্ষাতের কথা। ১৯৪৬ সালে বোম্বেতে সেই সাক্ষাতের সময় জিন্না তাঁর নাতি নুসলিকে জড়িয়ে ধরেছিলেন, সেই কথাও সাক্ষাৎকারে বলেন ডিনা।

১৯৪৩ সাল থেকে নেভিল ও ডিনা আলাদা থাকতে শুরু করেন। তখন ডিনা নিউ ইয়র্ক সিটিতে চলে যান। পরবর্তীতে ১৯৬২ সালে নিজেদের ব্যবসায় পা রাখেন ডিনা-র পুত্র নুসলি ওয়াদিয়া। বর্তমানে ৮১ বছর বয়সী নুসলি মুম্বইয়ে থাকেন। ২০০৪ সালের মার্চ মাসে ডিনা তাঁর পুত্র ও নাতিদের নিয়ে পাকিস্তানে যান। সেখানে তাঁর বাবা মহম্মদ আলি জিন্নার সমাধিস্থল মাজার-এ-কয়েদ ও তাঁর পিসি ফতিমা জিন্নার সমাধিস্থল মাদার-ই-মিলাতে শ্রদ্ধা জানাতে যান।

২০১৭ সালের ২ নভেম্বর নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ৯৮ বছর বয়সে মৃত্যু হয় মহম্মদ আলি জিন্নার একমাত্র সন্তান ডিনা ওয়াদিয়ার। তাঁর মৃত্যুতে পাকিস্তানের সিন্ধ প্রদেশের আইনসভা ১ মিনিটের নীরবতা পালন করে। নিউইয়র্কে অবস্থিত পাকিস্তানের কনসুলেট থেকে ডিনা-র শেষকৃত্যে ফুলের তোড়া পাঠায়।