AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Share Market: শেয়ার বাজার খোলার আগেই লাগল ‘শনির দশা’! ট্রাম্পের ‘কলকাঠি’তে বিশ্বজুড়ে ‘খরা’ পরিস্থিতি

Share Market: তবে এই পতন-শঙ্কা কিন্তু এখনই শেষ হয়নি। মঙ্গলবার ভারতের বাজার খোলার আগেই বিশ্বজুড়ে প্রায় প্রতিটি শেয়ার বাজারে নামল ধস। নেপথ্য, কলকাঠি নাড়াল আমেরিকা।

Share Market: শেয়ার বাজার খোলার আগেই লাগল 'শনির দশা'! ট্রাম্পের 'কলকাঠি'তে বিশ্বজুড়ে 'খরা' পরিস্থিতি
প্রতীকী ছবিImage Credit: Getty Image | PTI
| Updated on: Mar 11, 2025 | 9:20 AM
Share

নয়াদিল্লি: গতকাল সপ্তাহের শুরুতেই দালাল স্ট্রিটে লেগেছিল ফাঁড়া। আগের সপ্তাহে তুলনামূলক ভাবে উঠে দাঁড়ানোর চেষ্টা করলেও এই নয়া ‘হপ্তা’ পড়তেই ফের হুমড়ি খেল সেনসেক্স। সোমবার, গোটা দিনে প্রায় ৫১০ পয়েন্ট কমে গিয়েছে সেনসেক্স। পতন হয়েছে ০.৬৯ শতাংশ। একই হাল নিফটি ৫০ ঘিরেও। সেই সূচক থেকে গোটা দিনে মুছে গিয়েছে ৯২ পয়েন্ট।

তবে এই পতন-শঙ্কা কিন্তু এখনই শেষ হয়নি। মঙ্গলবার ভারতের বাজার খোলার আগেই বিশ্বজুড়ে প্রায় প্রতিটি শেয়ার বাজারে নামল ধস। নেপথ্য, কলকাঠি নাড়াল আমেরিকা।

ঠিক কী ঘটেছে?

জানা গিয়েছে, ওয়াল স্ট্রিট বা আমেরিকার শেয়ার বাজারে লেগেছে ‘সংক্রমণ’। হুড়মুড়িয়ে ধরে রাখা শেয়ার বিক্রি করে নিজেদের টাকা তুলে নিচ্ছেন বড় বড় বিনিয়োগকারীরা। যার জেরে টালমাটাল হয়ে পড়েছে গোটা বিশ্বের প্রায় সকল দেশের শেয়ার বাজারগুলি।

হঠাৎ কেন বিক্রির মেজাজে মার্কিন বিনিয়োগকারীরা?

গত মাস ছ’য়েক ধরেই ভারতের শেয়ার বাজার থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন বিদেশি লগ্নিকারীরা। ডলারের সামনে ভারতীয় মুদ্রার পতনের মতো একাধিক কারণকে সামনে রেখেই ভারতীয় বাজার থেকে নিজেদের লগ্নি তুলে নিয়েছেন বড় বিনিয়োগকারীরা। যার জেরে দালাল স্ট্রিটে ক্ষতি হয়ে গিয়েছে হাজার হাজার কোটি টাকার।

এবার সেই একই সংক্রমণ লাগল দালাল স্ট্রিট থেকে ১২ হাজার কিলোমিটার দূর আমেরিকার ওয়াল স্ট্রিটেও। সেখানেও নিজেদের ঢেলে রাখা পুঁজি তুলে নিতে শুরু করেছেন বিনিয়োগকারীরা। যার জেরে হুড়মুড়িয়ে পড়ছে মার্কিন শেয়ার বাজার। আর তার হাত ধরে পড়ছে বাকিরাও। গোটা ঘটনার নেপথ্যে ‘কলকাঠি’ নাড়ছেন ট্রাম্প, দাবি একাংশের বিশেষজ্ঞদের।

ক্ষমতায় আসার পর থেকেই চিন, মেক্সিকো ও কানাডার বিরুদ্ধে ট্রেড যুদ্ধের ঘোষণা করেছেন তিনি। যার জেরে বিতর্ককে সঙ্গ করে যেন মসনদে বসেছেন ট্রাম্প। বহু অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞদের দাবি, তাঁর এহেন সিদ্ধান্তে দেশে মূল্যবৃদ্ধি আগামী দিনে দ্বিগুণ হতে চলেছে। তবে তার পাল্টা মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে মুখ না খুললেও ট্রাম্পের দাবি, বিশ্বে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা মার্কিন সম্পত্তিকে দেশের ফিরিয়ে আনতেই এমন পদক্ষেপ নিয়েছেন তিনি।

সোমবারও একটি সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দেওয়ার সময় ট্রাম্প বলেন, ‘আমেরিকার অন্দরে বিরাট পরিবর্তন আসতে চলেছে।’ পাশাপাশি, দেশে আর্থিক মন্দা লাগতে পারে কিনা সেই নিয়ে প্রশ্ন তোলা হলে, তা কার্যত নস্যাৎ করে দেন ট্রাম্প। কিন্তু প্রেসিডেন্টের আশ্বাসের পরেই ওয়াল স্ট্রিট থেকে সমস্ত পুঁজি তুলে নিতে উদ্যত্ত হন লগ্নিকারীরা।