Gold Monetization Scheme: কোষাগারে এল ৮ টন সোনা, গোল্ড মনিটাইজেশন স্কিম কী জানেন?
Gold Monetization Scheme: ওয়ার্ল্ড গোল্ড কাউন্সিলের সর্বশেষ প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২১ সালে ভারতে ১০৯৭.৭২ টন সোনা আমদানি করা হয়েছে। গোল্ড মনিটাইজেশন স্কিম প্রকল্পের মাধ্য়মে আমদানির এই পরিমাণটা কমানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।
নয়া দিল্লি: ২০১৫ সালে গোল্ড মনিটাইজেশন স্কিম চালু করেছিল মোদী সরকার। এখনও পর্যন্ত এই প্রকল্পের মাধ্যমে সরকারি কোষাগারে ৮ টন সোনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এই স্কিমের উদ্দেশ্য ছিল মানুষের বাড়িতে এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে পড়ে থাকা সোনার আরও ভাল ব্যবহার। গোল্ড মনিটাইজেশন ছাড়াও, সরকার সভেরিন গোল্ড বন্ড স্কিমও চালু করেছে। কিছু সময় বাদে বাদে সাধারণ মানুষকে সভেরিন গোল্ড বন্ডে বিনিয়োগের সুযোগ দেয় সরকার। আসলে, সরকার এই প্রকল্পের মাধ্যমে সোনার আমদানি নির্ভরতা কমাতে চায় সরকার। ওয়ার্ল্ড গোল্ড কাউন্সিলের সর্বশেষ প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২১ সালে ভারতে ১০৯৭.৭২ টন সোনা আমদানি করা হয়েছে। গোল্ড মনিটাইজেশন স্কিম প্রকল্পের মাধ্য়মে আমদানির এই পরিমাণটা কমানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।
কেডিয়া অ্যাডভাইজরির প্রতিষ্ঠাতা অজয় কেদিয়া TV9-কে জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত ভারত সরকার তার চাহিদার বেশিরভাগ সোনাই আমদানি করে। ২০২০ সালে সরকার মাত্র ৪৩০ টন সোনা আমদানি করেছিল। পরের বছরই আমদানির পরিমাণ দ্বিগুণেরও বেশি বেড়েছে। কেডিয়ার মতে, সোনা আমদানির পরিমাণ কমানো সরকারের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। আমদানির পাশাপাশি সোনা পাচারও সমান তালে চলছে। তাই, বিভিন্ন পরিকল্পনার মাধ্যমে জনগণের কাছে পড়ে থাকা অতিরিক্ত সোনা কোষাগারে ফিরিয়ে আনতে চায় সরকার।
এখন জেনে নেওয়া যাক, গোল্ড মনিটাইজেশন স্কিম অর্থাৎ জিএমএস থেকে আপনি কী কী সুবিধা পাবেন। এই প্রকল্পের অধীনে, সরকার গ্রাহকদের তাদের সোনার উপর বার্ষিক ৩.৫ শতাংশ সুদ দেয়। দেশের প্রায় সব বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কে এই স্কিমের সুবিধা পাওযা যায়। গোল্ড মনিটাইজেশন স্কিমের অধীনে, আপনি আপনার গয়না, সোনার কয়েন, এমনকি ডিজিটাল সোনাও জমা করতে পারেন।
আইআইএফএল সিকিউরিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট অনুজ গুপ্তা বলছেন যে এই ধরনের স্কিম সরকারের কারেন্ট অ্যাকাউন্টের ঘাটতিও কমাতে পারে। ব্যাঙ্কগুলি জমা হওয়া সোনা, জুয়েলার্সদের ধার দিতে পারে। এর উপর ব্যাঙ্ক সুদ পায়। এই ভাবে সরকারের দুটি সুবিধা হচ্ছে – প্রথমত, প্রয়োজনীয় সোনা আমদানি করতে হবে না। দ্বিতীয়ত, সেই সোনার উপর সুদও পাচ্ছে।
ওয়ার্ল্ড গোল্ড কাউন্সিলের রিপোর্ট অনুসারে, ভারতের কোষাগারে ২৩,০০০ থেকে ২৫,০০০ টন সোনা মজুদ আছে। তাদের সর্বশেষ প্রতিবেদন অনুসারে, ভারত ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে ৬৫১ টন সোনা আমদানি করেছে। এই সোনার মূল্য আনুমানিক ৩১৭০ কোটি মার্কিন ডলার। এই পরিস্থিতিতে সোনা আমদানির খরচ কমানো সরকারের জন্য অত্যন্ত জরুরি হয়ে উঠেছে।