Air Conditioner: ঠিক কতদিন পর পুরনো AC ফেলে নতুন AC কিনতে হবে? কতদিনে ফুরোয় আয়ু?
Air Conditioner: কিছু লক্ষণ আছে যা দেখেই আপনি বুঝতে পারবেন যে এসি পরিবর্তন করার সময় এসেছে।

নয়া দিল্লি: তাপমাত্রা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই এয়ার কন্ডিশনার (এসি)-র চাহিদা বেড়ে যায়। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। কিন্তু অনেকেই জানেন না যে এসি-র মেয়াদও শেষ হয়। পুরনো এসি বদলে নতুন এসি কেনার সময় আসে।
এটা ঠিক যে এসি-র গায়ে সরাসরি কোনও এক্সপায়ারি ডেট বা মেয়াদ শেষ হওয়ার তারিখ উল্লেখ করা থাকে না, তবে একটি নির্দিষ্ট সময়ের পরে এসি বদল করাই বুদ্ধিমানের কাজ। মোবাইল বা টিভি-র মতো এসি-ও একটি ইলেকট্রনিক যন্ত্র, তাই সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এটি পুরনো হয়, খারাপও হয়ে যায়। দীর্ঘ সময় ধরে পুরনো এসি ব্যবহার করলে তা ক্ষতিকারক হতে পারে।
সাধারণত একটি এসি-র গড় আয়ু হয় ১০ থেকে ১৫ বছর। তবে এটি নির্ভর করে এসি-র ধরণ ও রক্ষণাবেক্ষণের উপর। অনেক সংস্থা তাদের কম্প্রেসারে ১০ বছর পর্যন্ত ওয়ারান্টি দেয়। এর অর্থ হল ১০ বছর ধরে এসি-র কম্প্রেসারটি ব্যবহার করা যেতে পারে।
স্প্লিট এসি সঠিকভাবে রক্ষণাবেক্ষণ করলে, তার আয়ু হতে পারে ১০ থেকে ১৫ বছর। উইন্ডো এসি সাধারণত ৮ থেকে ১০ বছর পর্যন্ত ব্যবহার করা যেতে পারে।
কিছু লক্ষণ আছে যা দেখেই আপনি বুঝতে পারবেন যে এসি পরিবর্তন করার সময় এসেছে। যদি দেখেন আপনার পুরানো এসি বারবার নষ্ট হয়ে যায় এবং আপনাকে ক্রমাগত মেকানিক ডেকে সারাতে হয়, তাহলে বুঝতে হবে যে নতুন এসি কেনার সময় এসেছে। বারবার মেরামতের জন্য টাকা খরচ না করাই ভাল।
এছাড়া, যদি দেখেন এসি চালালেও আগের মতো আর ঠাণ্ডা হচ্ছে না, তাহলে এর অর্থ হল কম্প্রেসার দুর্বল হয়ে পড়েছে অথবা অন্য কোনও বড় সমস্যা রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে আপনি একটি নতুন এসি কেনার কথা ভাবতে পারেন। যদি এসি ব্যবহারে আগের থেকে বেশ বিদ্যুতের বিল আসে, তাহলে নতুন এসি কিনে নেওয়াই ভাল। এসি-তে কোনও অদ্ভুত শব্দ হচ্ছে কি না, সেটাও লক্ষ্য রাখতে হবে। এছাড়া এসি থেকে জল ঝরলেও, তা খারাপ লক্ষণ বলেই ধরতে হবে।
