SIR in Bengal: ‘অনেক বুঝিয়েছি, ভয় কাটেনি’, মহিলার আত্মহত্যায় SIR আতঙ্কের অভিযোগ স্বামীর
Woman commits suicide: মৃতার স্বামী রণজিৎ গুঁই বলেন, "এসআইআর শুরু হওয়ার পর থেকে আতঙ্কে থাকত। কী হবে জানতে চাইত। আমি বোঝাতাম। বাইরে থাকলে ফোনে বোঝাতাম। কোনও মতেই আতঙ্ক কাটছিল না।" বলতে বলতে কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি।

দুর্গাপুর: রাত পোহালেই খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে। তার আগে ফের এসআইআর আতঙ্কে আত্মহত্যার অভিযোগ। পশ্চিম বর্ধমানের দুর্গাপুরে এসআইআর আতঙ্কে এক গৃহবধূ আত্মঘাতী হয়েছেন বলে অভিযোগ। মৃতার নাম সুবর্ণা গুঁই সাহা(৩৭)। তাঁর পরিবার বাংলাদেশ থেকে অনেক বছর আগে এসেছেন। তবে তাঁর বাবা-মার নাম ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় ছিল না। সেই আতঙ্কে সুবর্ণা আত্মঘাতী হয়েছেন বলে অভিযোগ। ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক চাপানউতোর বেড়েছে।
মৃত গৃহবধূর শ্বশুরবাড়ি দুর্গাপুরের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের হর্ষবর্ধন রোড এলাকায়। পরিবারের বক্তব্য, দমদমের নাগেরবাজারে বাড়ি সুবর্ণার। বিয়ে হয়েছিল দুর্গাপুরের ৯ নম্বর হর্ষবর্ধনের ডিভিসি কলোনির বাসিন্দা ডিভিসির কর্মী রণজিৎ গুঁইয়ের সঙ্গে। সাত বছরের একটি মেয়ে রয়েছে তাঁদের। SIR আবহে আতঙ্কিত ছিলেন সুবর্ণা। কারণ, তাঁর বাবা-মায়ের নাম ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় ছিল না। কিন্তু তাঁর কাছে রয়েছে ভোটার কার্ড। মৃতার জামাইবাবু শিবশঙ্কর সাহার অভিযোগ, এসআইআর আতঙ্কে নাগরিকত্ব হারানোর ভয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নেন সুবর্ণা। তিনি বলেন, “এসআইআর ফর্ম পাওয়ার পর থেকে চিন্তায় ছিল। ওরা বাংলাদেশ থেকে এসেছে। ওর মায়ের নাম ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় ছিল না। কিন্তু, ওর জন্ম এখানে।”
মৃতার স্বামী রণজিৎ গুঁই বলেন, “এসআইআর শুরু হওয়ার পর থেকে আতঙ্কে থাকত। কী হবে জানতে চাইত। আমি বোঝাতাম। বাইরে থাকলে ফোনে বোঝাতাম। কোনও মতেই আতঙ্ক কাটছিল না।” বলতে বলতে কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি।
গৃহবধূর আত্মহত্যা নিয়ে রাজনৈতিক চাপানউতোর বেড়েছে। জেলা তৃণমূলের সভাপতি নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী বলেন, “কেন্দ্রীয় সরকার নিরীহ মানুষদের প্রাণ নিচ্ছে। এটা একটা ভয়ঙ্কর ঘটনা। আমরা বলছি, আতঙ্কগ্রস্ত হবেন না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তো বলেছেন, তৃণমূল কংগ্রেস পাশে রয়েছে।”
পাল্টা দুর্গাপুর পশ্চিমের বিজেপি বিধায়ক লক্ষ্মণ ঘড়ুই বলেন, “দুর্ঘটনায়, রোগে, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হলেও তৃণমূল বলছে, এসআইআর আতঙ্কে মৃত্য়ু হয়েছে। তৃণমূল পরিবারের লোককে দিয়ে বলাচ্ছে যে এসআইআর আতঙ্কে মারা গিয়েছে। ২০০২ সালের তালিকায় নাম না থাকলেও চিন্তার কিছু নেই। ১১টি নথির যেকোনও একটি থাকলে নাম উঠবে। এছাড়া CAA-এ ফর্ম ফিলাপ করলেও নাম উঠবে।”
