Asansole Municipal Election: ফের পুলিশি বাধা মিছিলে, রাস্তায় বসে পড়ে দিলীপ বললেন, ‘আমি আর কী করব?’
Dilip Ghosh: আবারও পুরপ্রচারে বাধা দেওয়ার অভিযোগ তুললেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)।
আসানসোল: আবারও পুরপ্রচারে বাধা দেওয়ার অভিযোগ তুললেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। আসানসোল পুরভোট (Asansol Municipality Election) কে সামনে রেখে সোমবারের পর মঙ্গলবারও পুলিশের বাধায় আটকে গেল বিজেপির ভোটপ্রচার। অভিযোগ, করোনা বিধি ভেঙে বেশি জনসমাগম করেছেন দিলীপ ঘোষেরা। যদিও পুলিশের যুক্তি মানতে নারাজ দিলীপবাবু। শুরু হয় তর্কাতর্কি।
মঙ্গলবার আসানসোলের কুলটির রামনগরে পুরপ্রচারে যান বিজেপির হেভিওয়েট নেতা। সেখানে ফের পুলিশি বাধার মুখে পড়েন তিনি। পুলিশের সঙ্গে তর্কাতর্কি করতে দেখা যায় দিলীপ ঘোষকে। এ ভাবেই তিনি মিছিলে এগিয়ে যাচ্ছিলেন। অন্যদিকে পুলিশও মিছিল আটকাতে মরিয়া। প্রশাসনের তরফে দাবি, কোভিড বিধির ধার ধারছেন না বিজেপি নেতারা। অন্যদিকে ক্ষুব্ধ দিলীপ ঘোষের মন্তব্য, ‘তৃণমূলকে খোলা ছুট, যত বিধি বিজেপিরই!’
পুলিশের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ উগরে তার পর রাস্তায় বসে পড়তে দেখা যায় বিজেপি নেতাকে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। ধ্বস্তাধস্তি শুরু হয় পুলিশ ও দিলীপ ঘোষের নিরাপত্তারক্ষীদের।
পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন বিজেপি নেতা:
দিলীপ ঘোষের মন্তব্য, “পুলিশের আজ কোনও কাজ নেই, কেবল বিজেপিকে আটকানো…” রাস্তায় বসে পড়ে দিলীপ বলেন, “আমি আর কী করব! গণতান্ত্রিক ভাবে এটাই করতে পারি। এর বিরুদ্ধে আমি প্রতিবাদ করছি। কাল জিতেন্দ্র তিওয়ারিও রাস্তায় বসেছিল। বেরলেই আটকাচ্ছে! মারামারি করব নাকি ওদের সঙ্গে?”
বিজেপি নেতার অভিযোগ তাঁরা বড় কোনও জমায়েত করেননি। কিন্তু পুলিশ শাসক দলের অঙ্গুলিহেলনে কাজ করছে। তিনি বলেন রামনগরে এর চেয়ে বড় সভা করেছে তৃণমূল। বলেন, “যত আইন আমাদের জন্য আছে, তৃণমূলের লোকের গায়ে হাত দিতে পারে না পুলিশ”।
এর আগে সোমবারও আসানসোলের ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের রামকৃষ্ণডাঙা এলাকায় বিজেপি প্রার্থী চৈতালি তিওয়ারির প্রচারে গিয়ে বাধা পান দিলীপ ঘোষ। তাঁর সঙ্গে ছিলেন চৈতালির স্বামী বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারি। দিলীপ ঘোষের ওই পুরভোট প্রচারে প্রচুর মানুষের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। তার পরেই তাঁদের আটকান পুলিশ। এদিকে দিলীপবাবুর অভিযোগ, বেছে বেছে বিজেপির মিছিলই আটকানো হচ্ছে। দিলীপবাবুকে সেদিন বলতে শোনা যায়, “পুলিশের ভূমিকা! পুলিশ তো নয় তৃণমূল, টিএমসি ভয় পাচ্ছে বিজেপির এত জনসমর্থন দেখে। মানুষ বাড়ির ছাদে রয়েছে, ফুল ছুড়ছে, মালা পরাচ্ছে। তাতেও অসুবিধা!”