Anurag Thakur: হিমাচলে বিজেপির হারের পরই ‘ট্রেন্ডিং’ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর, কেন জানেন?
Himachal Pradesh Assembly Election 2022: নির্বাচনে বিজেপির তিনটি শিবিরের মধ্যেও অন্তর্দ্বন্দ্ব হয়েছে বলে দাবি দলের একাংশের। একদিকে, অনুরাগ ঠাকুরের শিবির, অন্যদিকে জেপি নাড্ডার শিবির। তৃতীয় শিবির মুখ্যমন্ত্রী জয়রাম ঠাকুরের।
সিমলা: গুজরাটে রেকর্ড ভাঙা জয় পেলেও, হিমাচলে মুখ পুড়েছে বিজেপির। কংগ্রেসের কাছে হেরে যেতে হয়েছে কেন্দ্রের শাসক দলকে। বিজেপির জাতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার গড় হিমাচল প্রদেশ, আর সেই রাজ্যেই কংগ্রেসের কাছে বিজেপির হারের জন্য কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুরকেই দায়ী করছেন বিজেপির একাংশ। অভিযোগ, কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর কারণেই দলের অন্দরে অন্তর্দ্বন্দ্ব হয়েছে, আর তার ফলই মিলছে নির্বাচনের ফলাফলে। সাংসদ অনুরাগ ঠাকুরের নিজের কেন্দ্র হামিরপুরের পাঁচটি আসনেই হেরে গিয়েছে বিজেপি।
বৃহস্পতিবার হিমাচল প্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশের পরই একদিকে কংগ্রেস কর্মীরা যেখানে উদযাপনে মেতে ওঠেন, সেখানেই দলের বিরুদ্ধেই ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা যায় বিজেপি কর্মীদের। বিজেপির জাতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার রাজ্যে যেখানে কংগ্রেস ৪০টি আসনে জয়ী হয়েছে, সেখানেই বিজেপি পেয়েছে মাত্র ২৫টি আসন। নির্বাচনের এই ফলের অন্যতম কারণ হল বিজেপির অন্তর্দ্বন্দ্ব। ভোটের আগেই বিজেপি ছাড়েন বহু কর্মীরা। ৬৮টি আসনের মধ্যে ২১টিতেই দাঁড়িয়েছিলেন বিজেপির দলত্যাগীরা। এদের মধ্যে দুইজন নির্দল প্রার্থী হিসাবে জয়ী হয়েছেন, বাকি কেন্দ্রগুলিতেও বিদ্রোহী নেতারা কম-বেশি ভোট পেয়েছেন। কংগ্রেসের সঙ্গে লড়াইয়ের পাশাপাশি দলত্যাগী নেতাদের সঙ্গে ভোট কাটাকাটি হওয়াতেই একাধিক আসনে হেরে গিয়েছে বিজেপি, এমনটাই দাবি দলীয় কর্মীদের একাংশের।
In a head to head contest, in Nadda’s state, in Anurag Thakur’s state, against the might of the BJP’s money, media and institutions, Priyanka Gandhi has defeated Modi.
— Dushyant A (@atti_cus) December 8, 2022
নির্বাচনে বিজেপির তিনটি শিবিরের মধ্যেও অন্তর্দ্বন্দ্ব হয়েছে বলে দাবি দলের একাংশের। একদিকে, অনুরাগ ঠাকুরের শিবির, অন্যদিকে জেপি নাড্ডার শিবির। তৃতীয় শিবির মুখ্যমন্ত্রী জয়রাম ঠাকুরের। এই তিন শিবিরের ভিতরেও চাপা লড়াই চলেছে। এই অন্তর্দ্বন্দ্বের কারণে অনেকেই অনুরাগ ঠাকুরকে দল থেকে সরিয়ে দেওয়ার দাবিও জানান।
অন্য়দিকে, অনুরাগ ঠাকুর নির্বাচনী প্রচারে তাঁর বাবা তথা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী প্রেম কুমার ধুমালের কঠোর পরিশ্রমের কথাও বারবার তুলে ধরেছিলেন। তার এই কথার পিছনে বাবা প্রেম কুমারকে টিকিট না দেওয়ার উষ্মাই লুকিয়ে রয়েছে বলে দাবি বিজেপির একাংশের।