লখনউ: অমেঠি ছেড়ে রায়বরেলিতে প্রার্থী হয়েছেন রাহুল গান্ধী। সোমবার (১৩ মে), মায়ের ছেড়ে যাওয়া এই কেন্দ্রে ভোট প্রচারে এসেছিলেন ভাই-বোন, রাহুল ও প্রিয়াঙ্কা। বোনকে সঙ্গে নিয়ে, রায়বরেলি নির্বাচনী এলাকার বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে আলোচনা করছিলেন রাহুল। গুরুগম্ভীর রাজনৈতিক আলোচনার মধ্যে, হঠাতই উঠল রাহুল গান্ধীর বিয়ের প্রসঙ্গ। এই অপ্রত্যাশিত প্রশ্নের জবাব হালকা মেজাজেই দিলেন রাহুল। জনতার মধ্যে জনৈক ব্যক্তি রাহুল গান্ধীকে তাঁর বিয়ে নিয়ে প্রশ্ন করেন। জবাবে কংগ্রেস নেতা বলেন, “আব জলদি হি করনি পড়েগি (তাড়াতাড়িই করতে হবে)।”
রাহুল গান্ধীর বয়স এখন ৫৩ বছর। এখনও তিনি বিয়ে করেননি। এর আগে ভারত জোড়ো যাত্রার সময়ও বিয়ে নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছিল রাহুল গান্ধীকে। তিনি জানিয়েছিলেন, পাত্রী হতে হবে তাঁর মা ও ঠাকুমার মতো। পরবর্তী সময়ে পটনায়, ইন্ডিয়া জোটের প্রথম বৈঠকের সময়, আরজেডি প্রধান লালুপ্রসাদ যাদবও বলেছিলেন, রাহুল গান্ধীর বিয়ে করা উচিত। তবে, এই মুহূর্তে ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচন চলছে। ভোটের প্রচার ছাড়া অন্য কোনোদিকে তাকানোর সময় নেই রাহুল গান্ধীর। এই পরিস্থিতিতে, কেন কংগ্রেস নেতা তাড়াতাড়ি বিয়ে করার কথা বললেন, তা নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে।
এদিনের সমাবেশে, রায়বরেলি কেন্দ্রের সঙ্গে গান্ধী পরিবারের দীর্ঘস্থায়ী সম্পর্কের কথা তুলে ধরেন রাহুল। তিনি বলেন, “রায়বরেলি এবং আমার পরিবারের সম্পর্ক অনেক পুরনো। আমাদের এই সম্পর্ক ১০০ বছরের বেশি পুরনো। এখানে আগে এসেছিলেন আমার ঠাকুর্দা জওহরলাল নেহরুজি। আমি বলব, রায়বরেলির মানুষই জওহরলাল নেহরুজিকে রাজনীতি শিখিয়েছিলেন। তারপর, জওহরলাল নেহেরু যখন দেশের প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন, তখন তিনি এখানেই দেশের রাজনৈতিক ভিত্তি স্থাপন করেছিলেন। তারপর, ইন্দিরা গান্ধীজি এবং সনিয়া গান্ধীজি এখানে এসেছিলেন। তাঁরা অনেক বড় বড় কাজ করেছেন। এখন আমি এখানে এসেছি।”