Punjab CM recite to PM Modi: ‘তুম সালামত রাহো কায়ামত তক’, হঠাৎ নমোকে এই কথা কেন বললেন পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী?
Punjab CM recite to PM Modi: বৈঠক চলছিল রাজ্যগুলির করোনা পরিস্থিতি নিয়ে। পঞ্জাবের পালা আসতেই মুখ্যমন্ত্রী চরণজিৎ সিং চন্নি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর উদ্দেশ্যে বলেন, "তুম সালামত রাহো কায়ামত তক"।
নয়া দিল্লি: বৈঠক চলছিল রাজ্যগুলির করোনা পরিস্থিতি (COVID Review Meeting) নিয়ে। পঞ্জাবের পালা আসতেই মুখ্যমন্ত্রী চরণজিৎ সিং চন্নি (Charanjit Singh Channi) প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী(Narendra Modi)-র উদ্দেশ্যে বলেন, “তুম সালামত রাহো কায়ামত তক”। করোনার পর্যালোচনা বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীর মুখে এই কথা কেন? সম্প্রতি পঞ্জাব সফরে প্রধানমন্ত্রীকে নিরাপত্তা দিতে গিয়ে যেভাবে মুখ পুড়িয়েছে পঞ্জাব সরকার, সেই ব্যর্থতাকে চাপা দিতেই মুখ্য়মন্ত্রী চন্নি এই কথা বললেন প্রধানমন্ত্রীকে।
করোনা বৈঠকের মাঝেই অন্য সুর চন্নির গলায়:
গতকালের করোনা পর্যালোচনা বৈঠকে একে একে বিভিন্ন রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি ও তা মোকাবিলা করতে কী কী প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে, তা শুনছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। পঞ্জাবের পালা আসতেই প্রথমেই মুখ্যমন্ত্রী চরণজিৎ সিং চন্নি টেনে আনেন প্রধানমন্ত্রীর সম্প্রতি সফরের কথা। সরাসরি নিরাপত্তায় গাফিলতির কথা উল্লেখ না করলেও, তিনি বলেন, “আপনার সফরে যা হয়েছে, তার জন্য দুঃখিত। আমরা আপনাকে সম্মান করি। আপনি পঞ্জাবে এসেছিলেন, কিন্তু সেখানে যা হয়েছে, তার জন্য দুঃখিত। আমি কেবল আপনাকে কয়েকটা কবিতার লাইনই শোনাতে পারি।”
এরপরই তিনি সুর করে বলে ওঠেন, “তুম সালামত রাহো কায়ামত তক, ওউর খুদা কারে কি কায়ামত না হো।”
আগেও একই বুলি শুনিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী:
সরাসরি প্রধানমন্ত্রীকে গতকালই এই কথা বললেও, পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী আগেও বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রীর সম্পর্কে এই কথা বলেছেন। প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তায় পঞ্জাব সরকারের কোনও গাফিলতি ছিল না, এই কথা বোঝাতেই তিনি বারংবার বলেছেন যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর দীর্ঘায়ুই কামনা করেন তিনি।
কী ঘটেছিল সেদিন?
নতুন বছরের প্রথম সপ্তাহেই পঞ্জাবে ৪২ হাজার কোটি টাকার উন্নয়নমূলক প্রকল্পের উদ্বোধনে পঞ্জাবে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। সকালেই ভাটিন্ডায় পৌঁছন তিনি, সেখান থেকে হেলিকপ্টারে ফিরোজপুরে একটি জনসভায় যোগ দেওয়ার কথা ছিল তাঁর। কিন্তু খারাপ আবহাওয়ার কারণে সেই পরিকল্পনায় পরিবর্তন করা হয়, সড়কপথেই সভাস্থলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু গন্তব্য়স্থল থেকে ১০ কিলোমিটার আগেই কয়েকশো কৃষক পথ আটকে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন, যারফলে একটি উড়ালপুলের উপরই প্রধানমন্ত্রীর কনভয় ২০ মিনিট দাঁড়িয়ে থাকে। শেষে বাধ্য হয়ে গাড়ি ঘুরিয়ে ভাটিন্ডায় ফেরত আসেন প্রধানমন্ত্রী। দিল্লি ফেরত যাওয়ার সময় বিমানবন্দরের কর্মীদের কাছে তিনি বলেন, “বেঁচে ফিরতে পারছি, এর জন্য আপনাদের মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাবেন।”
এই ঘটনার পরই দেশজুড়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে। পুলিশ প্রশাসনের হয়ে সাফাই দিতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী চরণজিৎ সিং চন্নি বলেছিলেন, “নিরাপত্তায় কোনও খামতি ছিল না। যদি প্রধানমন্ত্রীর জীবনের কোনও ঝুঁকি থাকত, তবে আমি ওনার জায়গায় বুক চিতিয়ে গুলি খেতাম।”