Punjab CM urges to Postpone Election: নির্বাচনের দামামা বাজলেও ভোট পিছোতে চান মুখ্যমন্ত্রী চন্নি! কমিশনকে চিঠিতে জানালেন কারণও

Punjab Assembly Election 2022: তিনি লেখেন, "আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি গুরু রবিদাস জয়ন্তী। এই উপলক্ষে রাজ্যের বিশাল সংখ্যক জনগণ (প্রায় ২০ লাখ) প্রতিবছর ১০ থেকে ১৬ ফেব্রুয়ারি উত্তর প্রদেশের বারাণসীতে যান। এই পরিস্থিতিতে বহু মানুষই বিধানসভা নির্বাচনে তাদের ভোট দিতে পারবেন না, যা তাদের সাংবিধানিক অধিকার।"

Punjab CM urges to Postpone Election: নির্বাচনের দামামা বাজলেও ভোট পিছোতে চান মুখ্যমন্ত্রী চন্নি! কমিশনকে চিঠিতে জানালেন কারণও
ফাইল ছবি।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 16, 2022 | 6:58 AM

চণ্ডীগঢ়: হাতে আর মাত্র এক মাস, তারপরই পঞ্জাবের রাজনৈতিক দলগুলির ভাগ্য পরীক্ষা। তবে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের (Election Commission of India) ঘোষিত তারিখ নিয়ে সন্তুষ্ট নয় কংগ্রেস (Congress)। তাই নির্বাচন এক সপ্তাহ পিছিয়ে দেওয়ার অনুরোধ জানালেন পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী তথা কংগ্রেস নেতা চরণজিৎ সিং চন্নি (Charanjit Singh Channi)। শনিবারই তিনি নির্বাচন কমিশনের কাছে পঞ্জাবের বিধানসভা নির্বাচন ১৪ ফেব্রুয়ারির বদলে ৬ দিন পিছিয়ে দেওয়ার অনুরোধ জানান।

আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি পঞ্জাবে বিধানসভা নির্বাচন (Punjab Assembly Election 2022)। ১১৭টি কেন্দ্রে এক দফাতেই ভোট গ্রহণ হবে। ভোট গণনা ও ফলপ্রকাশ হবে ১০ মার্চ। এদিকে, নির্বাচনের দুদিন পর অর্থাৎ ১৬ ফেব্রুয়ারি রয়েছে গুরু রবিদাস জয়ন্তী। এই সময় বহু মানুষ, বিশেষত জনজাতির মানুষেরা উত্তর প্রদেশে যান। এদিকে, পঞ্জাবের জনসংখ্যার প্রায় ৩২ শতাংশই জনজাতি সম্প্রদায়ভুক্ত। তারাই যদি নির্বাচনের সময় উপস্থিত না থাকেন, তবে ভোটের হারও তুলনামূলকভাবে কম হবে। সেই কারণেই নির্বাচন ৬ দিন পিছিয়ে দেওয়ার অনুরোধ জানালেন পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী।

মুখ্য নির্বাচন কমিশনারকে চিঠি:

পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী চরণজিৎ সিং চন্নি ভোট পিছোনোর আবেদন জানিয়ে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুশীল চন্দ্রকে চিঠি লিখেছেন। সেই চিঠিতে তিনি গুরু রবিদাস জয়ন্তী উপলক্ষে জনজাতি সম্প্রদায়ের মানুষদের উত্তর প্রদেশের বারাণসীতে যাওয়ার কথা জানিয়েছেন। রাজ্যের ৩২ শতাংশ জনগণই যে জনজাতি সম্প্রদায়ের, সে কথাও চিঠিতে উল্লেখ করেছেন চন্নি।

তিনি লেখেন, “আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি গুরু রবিদাস জয়ন্তী। এই উপলক্ষে রাজ্যের বিশাল সংখ্যক জনগণ (প্রায় ২০ লাখ) প্রতিবছর ১০ থেকে ১৬ ফেব্রুয়ারি উত্তর প্রদেশের বারাণসীতে যান। এই পরিস্থিতিতে বহু মানুষই বিধানসভা নির্বাচনে তাদের ভোট দিতে পারবেন না, যা তাদের সাংবিধানিক অধিকার। ”

মুখ্যমন্ত্রী আরও লেখেন, “জনজাতি সম্প্রদায়ের মানুষেরাই অনুরোধ জানিয়েছেন যে নির্বাচনের দিনক্ষণ যাতে পিছিয়ে দেওয়া হয়। তাহলে তারা ১০ থেকে ১৬ ফেব্রুয়ারি বারাণসীতেও যেতে পারবেন এবং পরে ভোটও দিতে পারবেন। রাজ্যের ২০ লক্ষ মানুষ যাতে নিজেদের ভোটদানের অধিকার প্রয়োগ করতে পারে, তার জন্য কমপক্ষে ৬ দিন নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়াই শ্রেয়।”

এর আগে বহুজন সমাজ পার্টির তরফেও জসবীর সিং গারহি নির্বাচন কমিশনের কাছে একই কারণ দেখিয়ে ভোট ১৪ ফেব্রুয়ারির বদলে ২০ ফেব্রুয়ারি করার অনুরোধ জানিয়েছিলেন।

গতকালই কংগ্রেসের তরফে প্রথম দফার প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে পঞ্জাব বিধানসভা নির্বাচনের জন্য। পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী চরণজিৎ সিং চন্নি পুনরায় চমকোর সাহিব বিধানসভা কেন্দ্র থেকেই প্রার্থী হচ্ছেন। অন্যদিকে, পঞ্জাব প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি নভজ্যোত সিং সিধু অমৃতসর পূর্ব থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। একই সঙ্গে উপমুখ্যমন্ত্রী সুখজিন্দর সিং রান্ধওয়া তাঁর বর্তমান আসন ডেরা বাবা নানক থেকেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন বলে জানা গিয়েছে।