লখনউ: নির্বাচনের মাঝেই আক্রমণের মুখে পড়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপি প্রার্থী এসপি সিং বাঘেল (SP Singh Baghel)। তাঁর প্রতিপক্ষ সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদব (Akhilesh Yadav)। ইতিমধ্যেই হামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে বিতর্ক। মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর উপরুে হামলার ঘটনা নিয়ে মুখ খুললেন উত্তর প্রদেশের উপমুখ্যমন্ত্রী কেশব প্রসাদ মৌর্য্য (Keshav Prasad Mourya)। মঙ্গলবার তিনি বলেন, “সমাজবাদী পার্টির গুণ্ডারাই এসপি সিং বাঘেলের উপর হামলা চালিয়েছে।”
উপ-মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, কারহালে সমাজবাদী পার্টির নেতা অখিলেশ যাদবের বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর জন্যই কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর বিরুদ্ধে হামলা চালানো হয়েছে। নির্বাচনে অখিলেশ যাদব হারবেন, কিন্তু এসপি সিং বাঘেল যাতে হারেন, তা নিশ্চিত করতেই হামলা চালানো হয়েছে। তিনি টুইট করে বলেন, “কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা মইনপুরীর কারহালের বিজেপি প্রার্থী এসপি সিংয়ের উপর তার নির্বাচনী কেন্দ্রেই হামলা হয়েছে। এই হামলা সমাজবাদী পার্টির গুণ্ডারাই চালিয়েছে। সপা দলের আসল চরিত্র কী, তা এই হামলা দেখেই বোঝা যায়”। তিনি আরও বলেন, “গতকাল (সোমবার) বিজেপির সাংসদ গীতা শাক্যের উপরও হামলা চালানো হয়েছে। এই দুই ঘটনার সঙ্গেই যারা জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবেই।”
কীভাবে এসপি সিংয়ের উপর হামলা চালানো হয়েছিল এবং কারা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত, সে বিষয়ে পুলিশের তরফে বিশেষ কিছু জানানো হয়নি। মইনপুরী পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, কারহালের এসএইচওকে গোটা ঘটনার তদন্ত ও যথাযথ পদক্ষেপ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, এসপি সিংয়ের গাড়ির পথ আটকে একদল দুষ্কৃতী চড়াও হয় এবং লাঠিসোটা দিয়ে ভাঙচুর চালায়। উল্লেখ্য, আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি তৃতীয় দফায় কারহালে নির্বাচন রয়েছে।
উপ মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, অখিলেশ যাদবই এসপি সিং বাঘেল সহ অন্যান্য বিজেপি নেতাদের উপর হামলা চালানোর নির্দেশ দিয়েছেন। সপার গড় হিসাবে পরিচিত কারহালেই বিজেপি প্রার্থীর কাছে যাতে হারতে না হয়, সেই কারণে দলের পোষা গুণ্ডাদের পাঠানো হয়েছিল হামলার জন্য। তিনি টুইট করে বলেন, “এই হামলা করিয়ে, আপনি নিজের হার-ই নিশ্চিত করলেন। এটাই কি নতুন সমাজবাদী পার্টি? যারা হামলা চালাল, তাদের কি আপনারা প্রার্থী করবেন?”
বিজেপির রাজ্য সভাপতি স্বতন্ত্র দেব সিংও এই হামলার ঘটনায় সমাজবাদী পার্টিকেই দুষেছেন। তিনিও টুইট করে বলেন, “বাঘেলজির উপর হামলাই প্রমাণ দিচ্ছে যে অখিলেশ যাদব হারতে চলেছে। নির্বাচনের জয় সাধারণ মানুষের আশির্বাদে নিশ্চিত হয়, গুণ্ডাদের দিয়ে ভয় দেখিয়ে নয়।”