‘ভুলেও আমার আস্থা ও গণতান্ত্রিক অধিকার হাইজ্যাক করতে আসবেন না’, জয়ার সুর শুরুতেই সপ্তমে

জয়া (Jaya Bachchan) দাবি করেন, দেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষার লড়াইয়ে তৃণমূল সুপ্রিমোর হাত শক্ত করতেই তিনি এখানে এসেছেন। নিজের বক্তব্যে বিজেপির নাম না করলেও কেন্দ্রীয় শাসকদলের উদ্দেশে তাঁর বাক্যবাণ ছিল জোরাল।

'ভুলেও আমার আস্থা ও গণতান্ত্রিক অধিকার হাইজ্যাক করতে আসবেন না', জয়ার সুর শুরুতেই সপ্তমে
নিজস্ব চিত্র
Follow Us:
| Updated on: Apr 05, 2021 | 5:03 PM

কলকাতা: তৃণমূলের (TMC) হয়ে বাংলায় প্রচারে এসে প্রথম দিনই বিজেপির বিরুদ্ধে সুর সপ্তমে চড়ালেন সমাজবাদী পার্টির রাজ্যসভার সাংসদ জয়া বচ্চন (Jaya Bachchan)। সোমবার বিকেলে তৃণমূল ভবনে প্রথমবার সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তিনি দাবি করেন, দেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষার লড়াইয়ে তৃণমূল সুপ্রিমোর হাত শক্ত করতেই তিনি এখানে এসেছেন। নিজের বক্তব্যে বিজেপির নাম না করলেও কেন্দ্রীয় শাসকদলের উদ্দেশে তাঁর বাক্যবাণ ছিল জোরাল। জয়াকে বলতে শোনা যায়, “আমার গণতান্ত্রিক অধিকার হাইজ্যাক করতে আসবে না।”

রবিবার সন্ধ্যায় অভিতাভ-জায়া কলকাতা বিমানবন্দরে পা রাখার পরই আক্রমণের পথে হেঁটেছিল গেরুয়া শিবির। রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষকে বলতে শোনা যায়, “জয়া বচ্চনের সঙ্গে বাংলার কী সম্পর্ক! উনি বাংলাতে আসেননি, থাকেননি।” এই নিয়ে সরাসরি কোনও প্রতিক্রিয়া না দিলেও জয়া সাংবাদিক বৈঠক শুরু নিজের বাঙালি যোগসূত্র ব্যাখ্যা করে। জয়া বলেন, “আমার নাম জয়া বচ্চন। তার আগে আমার নাম জয়া ভাদুড়ি ছিল। আমার বাবার নাম তরুণ কুমার ভাদুড়ি। আমরা প্রবাসী বাঙালি, কিন্তু বাঙালি। এখানে অভিনয় করতে আসিনি।”

তিনি আরও বলেন, “একা মহিলা হয়ে যেভাবে মমতাজি সমস্ত অনাচারের সঙ্গে লড়ছেন, সেই কারণেই ওঁর জন্য ভালবাসা, সম্মান। মাথা ভাঙা, পা ভাঙা। কিন্তু ওরা দিদির হৃদয় ভাঙতে পারেনি। আমার বিশ্বাস, যে কাজটা মমতাজি করতে চান সেটা উনি পুরো করবেন। উন্নতি হবে। রাজ্যের আরও বেশি উন্নতি হবে যদি মমতাজি এখানকার মুখ্যমন্ত্রী থাকেন।”

আরও পড়ুন: ৯০০ কোটির দুর্নীতির অভিযোগের পালটা ফৌজদারি মামলার হুমকি তৃণমূলের

কিছুক্ষণ থেমে এরপরই কিছুটা গুরুগম্ভীর কণ্ঠে জয়া বলে ওঠেন, “আমার আস্থা হাইজ্যাক করতে আসবেন না। ভুলেও না। আমার গণতান্ত্রিক অধিকার হাইজ্যাক করতে আসবে না। আমি যখন আমার কথা বলছি, তখন আমি ভারতের সব মানুষের হয়ে কথা বলছি। ঠিক এই কারণেই আমি এখানে এসেছি। মমতাজি একা প্রত্যেকটা মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষার স্বার্থে লড়ছেন। মহিলাদের জন্য সবচেয়ে সুরক্ষিত রাজ্য বাংলা। যারা মমতাদিকে পছন্দ করেন না, ওর বিষয়ে আজে বাজে কথা বলেন তাঁদের বলব, লজ্জা রে লজ্জা।”

আরও পড়ুন: নির্বাচনের ১ দিন আগেই বড় ঘোষণা, বিশেষ কারণে অভিনয় ছেড়ে দিতে পারেন কমল হাসান