‘কানে শুনতে পান না এমনও অনেককে টিকিট দিয়েছেন মমতা’, আজই পদ্মাসনে ‘অভিমানী’ সোনালি
সোনালি গুহ (Sonali Guha)। TV9 বাংলাকে জানালেন, "আমি তো জোড়া ফুল ছাড়ি নি। জোড়া ফুলই আমার থেকে সরে গিয়েছে।"
কলকাতা: তৃণমূলে (TMC) টিকিট না পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েছিলেন তিনি। আজ বিজেপিতে (Bengal BJP) যোগ দিতে চলেছেন সোনালি গুহ (Sonali Guha)। TV9 বাংলাকে তিনি জানালেন, “আমি তো জোড়া ফুল ছাড়ি নি। জোড়া ফুলই আমার থেকে সরে গিয়েছে। আমি তো একজন রাজনৈতিক কর্মী। আমি যদি ঘরে বসে যাই। তাহলে আমি স্থবির হয়ে যাব।”
একুশের নির্বাচনে (West Bengal Assembly Election 2021) তৃণমূলের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা হওয়ায় পরই কান্নায় ভেঙে পড়তে দেখা গিয়েছিল সোনালি গুহকে। সেদিনও TV9 বাংলার প্রতিনিধি নিয়েছিলেন তাঁর বাড়িতে। ঘরে বসে কথা বলতে বলতেই বারবার ধরে এসেছিল তাঁর গলা। তৃণমূলের সর্বময় নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) এক সময়ের ছায়াসঙ্গী তিনি। কিন্তু কেন তাঁকে টিকিট দেওয়া হল না, তা নিয়ে কিছুই আঁচ করতে পারেননি নেত্রী সোনালি। সেদিনই হালকা ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। তবে সোমবার তাঁর বিজেপি যোগদানের খবর নিজেই নিশ্চিত করলেন সোনালি গুহ।
সোনালি বললেন, “রাজনীতি না করলে আমার মেজাজ খারাপ হয়ে যাবে। আমি খিটখিটে হয়ে যাব। আমার সংসারে তার প্রভাব পড়বে। কংগ্রেসে চলে যেতাম। কিন্তু কংগ্রেস তো সিপিএমের সঙ্গে জোট বেঁধেছে। তাই ঠিক করেছি যে আমি বিজেপিতে যাব।ওখানে আমাকে যেভাবে চালিত করা হবে, তাই করব।”
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ওপর কি কোনও রাগ রয়েছে? প্রশ্নের উত্তরে সোনালির সাফ জবাব, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ওপর আমার শুধুই অভিমান। ৩২ বছরের সঙ্গীকে যে কেবল সুগার হাই বলে দূরে সরিয়ে দিতে পারে, তাকে কী বলব! আমার থেকেও তো কত জন রয়েছেন দলে যাদের সুগার হাই। আমি নাম করব না, এমন এমন লোককে প্রার্থী করা হয়েছে, যারা কানে শুনতে পায় না, যাদের ধরে তুলতে হয়। যাকে ভাল মনে করেছে করেছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ওপর তাদের কোনও অবদানই ছিল না।” উল্লেখ্য, প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করার আগেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সোনালির নাম করেছিলেন। এবং জানিয়েছিলেন হাই সুগারের জন্যই তাঁকে এবার টিকিট দেওয়া হচ্ছে না।
আরও পড়ুন: তৃণমূলের পতাকার মধ্যেই দলা পাকানো অবস্থায় পড়ে ছিল জিনিসটা, দৃশ্য দেখে শিউরে উঠলেন এলাকাবাসী
উল্লেখ্য, আন্দোলন পর্বে তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘ছায়াসঙ্গী’ ছিলেন সোনালি। ‘পরিবর্তন’-এর পর মমতা তাঁকে বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার করেছিলেন। ২০১৬ সালেও তাঁকে সাতগাছিয়া থেকেই টিকিট দেওয়া হয়েছিল। সোনালি জিতেওছিলেন। কিন্তু দল এবং নেত্রীর সঙ্গে ক্রমশ দূরত্ব বাড়ছিল তাঁর। মমতার দ্বিতীয় দফার সরকারে তাঁকে কোনও সরকারি পদ দেওয়া হয়নি। বিধায়ক হয়ে ছিলেন সোনালি। একুশে সেই টিকিটটাও পেলেন না। কিন্তু তৃণমূল অন্দরেরই অনেকে বলছেন, সোনালি বিজেপি যোগ নিয়ে বিস্মিত হওয়ার কিছুই নেই। সোমবারই বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন দীপ্যেন্দু বিশ্বাসও।