আগামিকাল রাজ্যে তৃতীয় দফার ভোট। অন্য দিকে, চতুর্থ দফাকে সামনে রেখেও শুরু প্রচার ঝড়। অমিত শাহ, নরেন্দ্র মোদীর পর এবার রাজ্যে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি। টালিগঞ্জে বিজেপি প্রার্থী বাবুল সুপ্রিয়র প্রচারে রোড শো-তে নেমেছেন তিনি। সাংগঠনিক বৈঠক শেষ না হওয়ায় এ দিন শ্রীরামপুরের প্রথম সভায় যেতে পারেননি নাড্ডা। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ভার্চুয়ালি বার্তা দেন। টালিগঞ্জে রোড- শোয়ে জেপি নাড্ডা বলেন, বাংলার মানুষের দমবন্ধ হয়ে আসছে। তাঁরা স্বাধীনতা চাইছেন।
অন্য দিকে, মমতার ডাকে তৃণমূলের হয়ে প্রচারে রাজ্যে এসেছেন অভিনেত্রী তথা সমাজবাদী পার্টির সাংসদ জয়া বচ্চন। সোমবার টালিগঞ্জ থেকে শুরু করবেন প্রচার। প্রথম দিনই প্রচারে নামবেন তৃণমূল প্রার্থী অরূপ বিশ্বাসের জন্য। চতুর্থ দফার জন্য একের পর এক জনসভা সারছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
বিজেপি (BJP) প্রার্থীর গাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ উঠল গলসিতে। প্রচারে যাওয়ার সময় এই হামলা হয় বলে অভিযোগ। ঘটনায় নাম জড়িয়েছে তৃণমূলের। যদিও তা অস্বীকার করেছে জোড়াফুল শিবির।
গলসি বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী বিকাশ বিশ্বাস। সোমবার দুপুরে তিনি বুদবুদের কসবা মোড়ে যাচ্ছিলেন কর্মিসভা করতে। অভিযোগ, স্থানীয় ঘাগরা মোড়ের কাছে তাঁর গাড়িতে হামলা চালায় বাইক সওয়ারি দুই তৃণমূল কর্মী। বিকাশ বিশ্বাসের অভিযোগ, “আমাদের প্রচার কার্যক্রম ছিল। আমার সঙ্গে গলসির বিজেপি নেতা তপন বাগদী ছিলেন। তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা পাথর ছুড়ে আমার গাড়িতে ভাঙচুর চালায়।”
‘লাভলি বয়’ মদন মিত্রের (Madan Mitra) ভোট প্রচারে এবার বলিউডের মহিমা। তৃণমূল প্রার্থীর সমর্থনে প্রচারে ঝড় তুললেন গ্ল্যামার গার্ল মহিমা চৌধুরী (Mahima Choudhury)। সোমবার দুধসাদা পাঞ্জাবিতে মদন মিত্রের সঙ্গে গাড়িতে ছিলেন ‘পরদেশ গার্ল’ মহিমা। তাঁর পরনেও ছিল সাদা সালোয়ার। কামারহাটি জুড়ে এই রোড-শোয়ে ভীড় ছিল চোখে পড়ার মতো। রোড-শো শেষে আবার টুইট করেছেন কামারহাটির তৃণমূল প্রার্থী। সেখানে মদন লিখেছেন, ”ধন্যবাদ জানানোর কোনও ভাষা খুঁজে পাচ্ছি না। আমরা খুব সৌভাগ্যবান যে আপনার (পড়ুন মহিমা চৌধুরী) সমর্থন পেয়েছি।” আর একটি টুইটে মহিমার সঙ্গে তাঁর রোড-শোয়ের ভিডিয়ো পোস্ট করেছেন।
বিস্তারিত পড়ুন: মদন-মহিমা, তৃণমূল প্রার্থীর প্রচারে এবার বলিউড তারকা
২০১৬ সালের বিধানসভা ভোটে তৃণমূল প্রার্থী (TMC Candidate) ছিলেন ‘পাহাড়ি বিছে’ বাইচুং ভুটিয়া (Baichung Bhutia)। তাঁর বিপক্ষে ছিলেন সিপিএমের (CPIM) অশোক ভট্টাচার্য (Ashok Bhattacharya)। সেবার ১৫ হাজার ভোটে হেরেছিলেন বাইচুং। একুশের বিধানসভা ভোটে (West Bengal Assembly Election 2021) সেই প্রাক্তন ফুটবলারের আবেদন, ‘অশোকদার মতো স্বচ্ছ ভাবমূর্তি ও সৎ মানুষদের ভোটে জেতান।’
বিস্তারিত পড়ুন: ‘অশোকদার মতো নেতাকে শুধু বাংলায় নয়, ভারতে দরকার,’ সিপিএম প্রার্থীর হয়ে প্রচার প্রাক্তন বিপক্ষের
সকালে বাতিল হয়েছিল শ্রীরামপুরে সভা। দিল্লির বৈঠকের কারণে এবার চুঁচুড়ার সভাও বাতিল হল নাড্ডার। সোমবার টালিগঞ্জে বাবুল সুপ্রিয়ের সমর্থনে সভা করেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি।
বাংলার মানুষের দমবন্ধ হয়ে আসছে। তাঁরা এবার স্বাধীন হতে চাইছেন। তাঁরা ঠিক করে নিয়েছেন গুন্ডামি, দুর্নীতি, তোলাবাজি, কাটামানি সব কিছু থেকে মুক্তি চাইছেন। মমতা ব্যানার্জিকে বিদায় দিয়ে বিজেপিকে স্বাগত জানাতে চাইছেন সবাই।
টালিগঞ্জ শিল্পীদের জায়গা। সেখানে এক শিল্পী বাবুল সুপ্রিয় প্রার্থী হয়েছেন। তাঁকে সমর্থন করা প্রয়োজন। বাবুল সুপ্রিয়ো আসানসোলের সাংসদ, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। কিন্তু বাংলার মানুষের জন্য সে সব কিছু ছেড়ে এখানে এসেছেন। তাই বাবুল সুপ্রিয়োকে আমাদের সমর্থন করতেই হবে। সব ছেড়ে মানুষের সেবা করতে এসেছেন বাবুল। বাবুল, পায়েল সরকারের মতো শিল্পীরা শিল্পকর্মের পাশাপাশি সমাজের জন্য কাজ করবেন। দু’জনকে আশীর্বাদ করুন।
আমি অনেকগুলো শায়েরিও লিখেছি, আমার চার পাঁচটা উর্দু বইও বেরিয়েছে। আমি বলি ও তো অউর কোয়ি হ্যায় জো কফনকে লিয়ে ডরতে হ্যায়। অউর মেরে লিয়ে হমারা কফন ইনতেজার করতে হ্যায়। আমি ভয় পাই না। বেচে থাকাকালীন এক ইঞ্চি জমি বিজেপিকে ছাড়ব না। আর ওর বন্ধু কংগ্রেস-সিপিএম-ওই অপদার্থগুলোকে একটা ভোটও দেবেন না।
ভোটের ৪৮ ঘণ্টা আগে বাইরের কিছু পুলিশ দিয়ে, বাইরের কিছু গুন্ডা দিয়ে, আর আমাদেরও একজন দু’জন আছে ভয় দেখাবে এলাকায় গিয়ে গিয়ে। ভয় দেখালে গুন্ডামি করবেন না, শঙ্খধ্বনি, উলুধ্বনি, আজানের ধ্বনি দেবেন। ছবি তুলে রাখবেন। হাতা, খুন্তি দিয়ে একটু আদর করে দেবেন।
গুজরাট শাসন করবে বাংলা। অত সোজা নয়। তার থেকে তো গলায় দড়ি দিয়ে মরে যাব। গুজরাটকে বাংলা শাসন করতে দেব? যতক্ষণ শ্বাস আছে, আছে বিশ্বাস। বিজেপিকে এক ইঞ্চিও জায়গা ছাড়বেন না। বিজেপির তিনটে বন্ধু আছে সিপিএম, কংগ্রেস। আরেকটা কী জুটেছে, জীবনে মানুষকে দেখেনি। সংখ্যালঘুর ভোট কাড়তে আসছে। তিনি নাকি হঠাৎ করে বিজেপির টাকায় সংখ্যালঘুর নেতা হয়ে গিয়েছেন। কত বড় নেতা। কোথায় ছিলি রে ভাই? নেতা না ন্যাতা? বড় বড় সংখ্যালঘুদের কাছে সঙ্কীর্ণ বক্তব্য রাখছে, সাম্প্রদায়িক বক্তব্য রাখছে। কে তুই হরিদাস। টাকা নিয়ে বিজেপি হয়েছিস? আপনারা জানেন না এদের জন্য উত্তর প্রদেশে হেরেছে অখিলেশরা। এগুলোকে বিশ্বাস করতে হয়? এগুলো কালকেউটের থেকেও ভয়ঙ্কর। এগুলোকে ঢুকতে দেবেন না। ওর ভোট পাওয়া মানে বিজেপির ভোট পাওয়া। প্রচুর টাকার মালিক হয়েছে। ৬ মাস রাজনীতি করেছে। ফুরফুরা শরিফকে আমরা সম্মান করি। এটা একটা অপদার্থ বেরিয়েছে। কিছু গদ্দার, মীরজাফর আছে তো। সবাই নয় কিন্তু।
তোলাবাজি-কাটমানির বিরুদ্ধে ভোট দেবে বাংলার মানুষ। টালিগঞ্জের রোড শো থেকে এমনটাই বললেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। TV9 বাংলাকে কয়লা-কাণ্ড প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ভুল কাজ করলে শাস্তি হবেই। তিনি জানান, রাজ্যে পদ্ম ফুটবেই। বিজেপি ২০০-র বেশি আসন পাবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
বিজেপিরা হচ্ছে বকধার্মিক। ওরা ছদ্মবেশি শয়তান, দানব, দুর্যোধন। সকালেই মানুষের কাছে গিয়ে টাকা নিয়ে বলবে, আগে তো খেতে পেত না, একটা বিড়ি তিনবার টানত। সকালে একবার টেনে বাঁ কানে রাখত, দুপুরে একবার টেনে ডান কানে রাখত, রাতে একবার টেনে শেষ টান দিত। এখন কেউকেটা ভাবছে। আমরা বলি হরে কৃষ্ণ হরি হরি মানুষের কাজ করি। ওরা বলে হরে কৃষ্ণ হরি হরি খালি লুঠপাট করি। সারা দিল্লি রটিয়ে বেরিয়েছে, এখানে নাকি তৃণমূল নেই। শুধু ওরাই নাকি ২৯৪য়ে ৪৯৪ পাবে।
মনে আছে, আমি প্রতিদিন ঘণ্টা বাজাতাম। ঘণ্টা বাজিয়ে বলতাম, এনআরসি, ক্যা লজ্জা লজ্জা। ক্যা ক্যা করতে দেব না। সব রাজ্যে এসব করছে। আমার রাজ্যে আমি কিন্তু করতে দিইনি। ভাল করে বিজেপিকে বিদায় করতে হবে। হিন্দু-মুসলমান ভাগাভাগি চলবে না। আমাকে অনেকে বলে আমি নাকি মুসলমান তোষণ করি। আমি বলি, আমি আছি বলে হিন্দুরাও ভাল আছে, মুসলমানরাও ভাল আছে। আমি না থাকলে কেউ ভাল থাকত না। বুক দিয়ে রক্ষা করি আমরা।
এখানে সমবায়ের মধ্যে দিয়ে চাষ করি। ভাঙর বাংলায় মডেল। এক নম্বর শস্য উৎপন্ন হয় ভাঙরে। কারণ, ভাঙরে এই মডেল আমরা তৈরি করেছি। ২৫ হাজার কোটি টাকা দেব, সেলফ হেলফ গ্রুপ তৈরি করবেন মা বোনেরা। এই যে শাড়িটা পরে আছি, লেখা আছে ‘আ’। ডিজাইন আমার, তাঁতিরা বানান। ওরা খুব খুশি।
ভাঙরে ৬০ শতাংশ বাড়িতে প্রায় জল পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। প্রত্যেক বাড়িতে আর্সেনিক মুক্ত পানীয় জল যাবে। আগামিদিনে ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল হবে ভাঙরে। তাছাড়া ভাঙরের লোকজনের তো পোয়া বারো। বানতলা যা হয়েছে। ৫ লক্ষ ছেলেমেয়ের কাজ হয়েছে। কেরল, তামিলনাড়ু, উত্তর প্রদেশ থেকে চলে আসছে শিল্প হবে বলে। আপনাদের ছেলে মেয়েদের চাকরি পেতে কোনও অসুবিধা নেই। শুধু এলাকা ভাল রাখতে হবে, এলাকা সুন্দর রাখতে হবে। জোরজার করা চলবে না। যারা কাজকর্ম করছে তাদের সাথে নিয়ে বন্ধু ভেবে কাজ করতে হবে। তবেই কিন্তু চাকরিগুলো হবে।
বিজেপিরা হচ্ছে বক ধার্মিক। ওরা ছদ্মবেশি শয়তান, দানব, দুর্যোধন। একটা বিড়ি তিনবার টানত এক সময়। এখন কেউকেটা ভাবছে। আমরা বলি হরে কৃষ্ণ হরি হরি মানুষের কাজ করি। ওরা বলে হরে কৃষ্ণ হরি হরি খালি লুঠপাট করি।
ভাঙর আমি দীর্ঘদিন ধরে চিনি। এখানে প্রার্থী করেছি তিনি দীর্ঘদিন সমাজসেবা করে এসেছেন। রেজ্জাক মোল্লা সাহেব এখানকার বিধায়ক ছিলেন। তিনি নিজে আমাকে বলেছেন, তিনি তাঁর বয়সের কারণে এখানে দাঁড়াতে চান না, তাই অন্য কাউকে প্রার্থী করার জন্য। আমি দেখলাম ওদিকে আরাবুল আছে, কাইজার আছে, ওদিকে ইন্দাদুল আছে, কী আর করা যায় ডাক্তার রেজাউল করিম পুরো চিকিৎসক সংগঠন নিয়ে এসেছেন, উনি সমাজসেবা করতে ভালবাসেন। উনি আমার কাছে টিকিট চেয়েছে, এমন নয়। আমি নিজে দিয়েছি, কারণ দীর্ঘদিন ধরে ভাঙড়ে একটা হাসপাতাল করব বলে চেষ্টা করছি। টেন্ডারও হল। কিন্তু যে টেন্ডার পেল, পালাল। সরকারের নিয়ম টেন্ডার একবার করলে তাকেই দিতে হয়, না হলে তা বাতিল করে নতুন ডাকতে হয়। সময়সাপেক্ষ। কিন্তু রেখে দিয়েছি। জায়গা ঘেরা আছে। রেজাউল করিমকে দায়িত্ব দেব।
আমরা ধর্ম মানি। আমি সর্বধর্ম মানি। আপনাদের জেলায় রামকৃষ্ণ পরমহংসদেব জন্মেছেন। স্বামী বিবেকানন্দ কী বলেছেন, মুসলিমের ঘরে গিয়ে তামাক খেতে গিয়েছিলেন, জাত যাবে কি না দেখতে। রামকৃষ্ণদেব কী বলেছেন, ওরে সর্বধর্ম সমন্বয়। আমরা সবাই একসঙ্গে থাকব তো, একসঙ্গে বাঁচব তো? বিজেপির কথায় দাঙ্গায় পা দেবেন না তো? আমিও তো হিন্দু ঘরের মেয়ে, ব্রাহ্মণের মেয়ে, কল্যাণও। আমরা কখনও উঁচু নিচু এসব বলি? আমাদের বাবা-মা শিক্ষা দিয়েছেন, সর্বধর্মকে নিয়ে কাজ করবে। কোনও ব্যানার্জী, চ্যাটার্জী হবে না।
ফের রাজনৈতিক প্রতিহিংসার ঘটনা। রাতভর ভয় দেখিয়ে আটকে রেখে ভয় মারধর করার অভিযোগ বিজেপি (BJP) কর্মীদের বিরুদ্ধে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক চাপানউতর শুরু হয়েছে বসিরহাটের (Basirhat) হাড়োয়ায়।
বিস্তারিত পড়ুন: রাতভর ভয় দেখিয়ে আটক করা হল বিজেপি কর্মীদের, বিক্ষোভ-অবরোধে উত্তপ্ত হাড়োয়া
আমরা যেমন কৃষকদের জমি ফিরিয়ে দিয়েছি। তেমনই সিঙ্গুরে অ্যাগ্রো ইন্ডাস্ট্রি তৈরি করছি। আর আমি যখন রেলমন্ত্রী ছিলাম, ডানকুনি-অমৃতসর ডেডিকেটেড ফ্রেট করিডর রেলের আমি তৈরি করে দিয়ে গিয়েছিলাম। সেইটা এখন কার্যকরী হবে। ডানকুনি থেকে কোন্নগর হয়ে হুগলি হয়ে চলে যাবে বর্ধমান, বরজোড়া, পুরুলিয়া। ৭২ হাজার কোটি টাকার ইনভেস্টমেন্ট। ডানকুনির যত রেলের ইন্ডাস্ট্রি আমি তৈরি করে গিয়েছিলাম।
সরি আগেরবার যাকে ভোট দিয়েছিলেন সে চলে গেছে বিজেপিতে। অবশ্য ভালই হয়েছে। এখন না গেলে ইলেকশনের পরে যদি যেত জিতে তা হলে গদ্দারি হয়ে যেত। তা হলে আমার দল ভাঙাবার চেষ্টা করত বিজেপি। আগে যারা চলে যেত তাদের স্বাগতম। বলুন বাঁচা গেছে। ইলেকশনের পরে যাতে কেউ না যায় সেটা আমাদের দায়িত্ব। তাই দেখে দেখে প্রার্থী করেছি, যাতে বিজেপি টাকা দিয়ে কিনতে না পারে।
সমস্ত ভাল ভাল টিভি সিরিয়াল শ্রীময়ী, কে আপন কে পর, গঙ্গারাম, খড়কুটো থেকে শুরু করে শিল্পীরা এসেছেন। শ্যামল মিত্রের ছেলে সৈকত এসেছেন। আমি কৃতজ্ঞ ওদের কাছে।
আমি পীর সাহেব ত্বহা সিদ্দিকিকে চিনি। ওনার পরিবারের অনেককে চিনি। ফুরফুরা শরিফের অনেককে চিনি। অনেকবার এসেছি। ফুরফুরা শরিফকে আমরা সম্মান করি। এখন ওখান থেকে একটা গদ্দার বেরিয়েছে বিজেপির টাকা নিয়ে। ওই গদ্দারকে আমি বলে দেব, মনে রাখবেন বাংলায় গদ্দারি করে জেতা যাবে না।
হুগলি জেলার শেষ প্রান্ত জয়রামবাটি কামারপুকুর। রামকৃষ্ণ পরমহংসদেব কী বলেছিলেন, ওরে মা মানে মা। মাকে কেউ মা বলে, কেউ মাদার বলে, কেউ আম্মা বলে। তফাৎ এটুকুই। জল মানে জল। কেউ ওয়াটার বলে, কেউ পানি বলে। তফাৎ এটুকুই। বলুন তো, একটা বাঘ যদি আপনার গ্রামে এসে ঢোকে তা হলে কি আপনি দেখবেন, বাঘ আসছে আমি হিন্দুর ঘরে ঢুকে আশ্রয় নেব না মুসলমানের ঘরে? বাঘ কি জানে কোনটা হিন্দু কোনটা মুসলমান? বাঘের হাত থেকে বাঁচতে হলে সবাইকে একজোট হতে হবে। বাঘটাকে যা করার করতে হবে। আপনার ঘরে কালকেউটে ঢুকলে ওটাকে জব্দ করতে হবে। তা না হলে ও ফণা তুলবে। কালকেউটে ফণা তোলার আগে আপনাদের ফণা তুলে যা করার করতে হবে। এটাই জগৎ।
জানি খুব গরম। মাথার উপর একটা চাল পর্যন্ত নেই। কেন নেই? আমরা পাতলা করে একটা কাপড় দেওয়ার চেষ্টা করেছিলাম। কারণ, বিজেপির মতো কোটি কোটি টাকা খরচ করে তো আমরা কিছু করতে পারি না। যেটুকু করেছিলাম, কালকে ঝড়ে উড়ে গিয়েছে। খুব গরম। তাই অল্প সময় নেব। এবারের ভোটটা এমন ভোট, যে ভোটটা নিয়ে বিজেপি কোটি কোটি টাকা চলছে একদিকে, আর অন্যদিকে হাজার হাজার নেতা এখানে বসে আছে। আমাকে হারাবে বলে, বাংলাকে দখল করে গুজরাট বানাবে বলে। বিজেপি নেতাদের টাকারও শেষ নেই, আর গুন্ডামি-মস্তানিরও শেষ নেই।
বিজেপির দুই দালাল সিপিএম-কংগ্রেস। জমানত বাজেয়াপ্ত করে দেখিয়ে দেব কয়েকটাকে। দেখিয়ে দেব তৃণমূল থেকে বিজেপি করতে গেলে কী হয়।
এটা পবিত্র মাটি। এখানে ফুরফুরা শরিফে কত মানুষ আসে। কিন্ত ইদানিং একটি ছেলে বেরিয়েছে সে নাকি বিজেপির বড় বন্ধু। বিজেপির কাছ থেকে ভাল ভাবে নিয়েটিয়ে তিনি এখন সিপিএম-কংগ্রেসের সঙ্গে হাত মিলিয়ে সংখ্যালঘু ভোট ভাঙার চেষ্টা করছেন। তিনি চেষ্টা করছেন হায়দরাবাদের মদত নিয়ে। কিন্তু আমি বিশ্বাস করি বাংলার সংখ্যালঘু ভোট কোনওভাবেই ভাগ হবে না। একসাথে এক পার্টিতেই পড়বে, তার নাম তৃণমূল কংগ্রেস। বাংলা থেকে বিজেপিকে তাড়াতে হবে। না হলে বড় বিপদ। মুসলমানদের ঘৃণা করে বলে, হিন্দু প্রিয় তা কিন্তু নয়। ওরা হিন্দু ধর্মের কিছু জানে না। বিজেপি ছদ্মবেশী শয়তান।
বিনা পয়সার চাল সাড়ে ৯০০ টাকার গ্যাসে ফোটাবেন। ওদের ভাল করে ফোটান। তাহলেই বুঝতে পারবে মানুষের কী দুঃখ। লোকের কী মর্ম। আমাকে একটা সরকার দেখান তো, সবক’টা কলকাতায় এসে পড়ে আছে। সব নেতা বিজেপির। কেন্দ্রীয় সরকার থেকে রাজ্য সরকার। কী, না বঙ্গাল কো লুটনা পড়ে গা। বঙ্গালকে ভাঙতে হবে! সুনার বাংলা বানাবে, সুনার বাংলা। একটা ভাল করে বাংলাও বলতে পারে না। স্পষ্ট বলছি, গুজরাটিরা বাংলা শাসন করবে না। বাংলাই বাংলা শাসন করবে, মাথায় রাখবেন।
বিজেপি একটা চোরেদের পার্টি। তপন মজুমদার আপনাদের ঘরের ছেলে। তাঁকে আপনাদের কারও পছন্দ হতে পারে, নাও হতে পারে। ও একটু দুষ্টু-মিষ্টি আছে। আমি যা বলি পরিষ্কার বলি। একটু দুষ্টুও আছে, মিষ্টিও আছে। কিন্তু আমি যখন থেকে রাজনীতি করি, তপন দাশগুপ্ত, তপন মজুমদাররা রাজনীতি করে। তাঁরা কিন্তু বিশ্বাসঘাতকতা করে পালিয়ে যায় না। বিজেপির তো এমপি এখন এমএলএ ভোটে দাঁড়িয়েছে। কী করবে জানি না। এরপর কাউন্সিলর ভোটে দাঁড়াবে। তারপর গ্রামপঞ্চায়েত, স্কুল ভোট, খেলার মাঠে দাঁড়াবে। কোনখানে কোনখানে দাঁড়াবে জিজ্ঞাসা করুন। ওদের কীর্তিকলাপ সব জানি। আমাদের দলকে সারদা-নারদা বলে। আর সারদা-নারদার সবচেয়ে কোলের বাচ্চা হচ্ছে এরা। বাবুল সুপ্রিয় একদিন বলেছিল, সারদা হচ্ছে রোজভ্যালির প্রথম রোজ। আর লকেট আমি নতুন করে কী বলব, ও তো সারদাদের গলার লকেট। লকেট হয়ে ঘুরে বেড়ায় আমি সব জানি। সরি রোজভ্যালি! সব জানি। এদের বিরুদ্ধে কেস হয় না। এরা এমপি, এমএলএ, গ্রামসভা সব হবে।
আজ সোমবার রাজ্যে তিনটি জনসভা করার কথা ছিল বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার। প্রথম সভা হওয়ার কথা ছিল শ্রীরামপুরে। সকাল থেকে তাঁর বক্তব্য শোনার জন্য অপেক্ষা করছিলেন মানুষ। কিন্তু পরে জানা যায় এই সভায় আসতে পারছেন না তিনি। নিউ টাউনের হোটেলে চলছে সেই বৈঠক। জানা গিয়েছে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ভার্চুয়ালি বার্তা দেবেন তিনি।
ইলেকশনের আগেই আমার পাটা চোট করে দিল। যাতে বেরোতে না পারি। ওই একটা পায়েই আমি যা করে বেড়াচ্ছি, ওই একটা পায়েই দেখবেন বাংলা জয় করে দেখাব। আর দু’টো পায়ে দিল্লি জয়ও তো আগামিদিন করতে হবে।
বিজেপি পার্টি যদি ভাল পার্টিই হয়, তা হলে একটা প্রার্থী খুঁজে পেলে না। তুমি তো লোকাল প্রার্থী দাঁড় করাওনি। তুমি দাঁড় করাচ্ছ কাকে। এমপি ইলেকশনেও কলকাতা থেকে এসে দাঁড়াচ্ছে। এমএলএ ইলেকশনেও দাঁড়াচ্ছে। কী করবে! এমএলএ হয়ে গেলে এমপি ছাড়বে তো? আর এমপি, ও তো জিতবে না। ও দাঁড়িয়েছে জাস্ট টাকার জন্য, পার্টির জন্য, আর ওদের পার্টির নিজেদের প্রার্থী নেই। সিপিএম কিংবা তৃণমূল থেকে ধার করা। বিজেপির লোকাল লোকেদের এরা সম্মান দেয় না। প্রার্থীও করে না। মনে রাখবেন, বিজেপি পার্টিতে দাঁড়ানো মানেই টাকা ইনকাম। কলের জল ছাড়ার মতো করে হর্স পাইপে টাকা ছাড়ছে।
কেন তুমি সবাইকে ইনজেকশন (কোভিড ভ্যাকসিন) দিলে না। আমি তো বলেছিলাম, আমায় দিলে না দিতে। আমি বলেছিলাম পয়সা দিয়ে দেব, সব সাধারণ মানুষ ইনজেকশন পাক। কেন দাওনি? আমি তোমায় কতবার চিঠি লিখেছি। তুমি তো চাও মানুষ মরে যাক। তোমরা এখানে বসে বসে দাঙ্গাবাজি, ধান্দাবাজি কর।
এবার কংগ্রেস কর্মীকে লক্ষ্য করে চলল গুলি। তৃণমূলের (TMC) বিরুদ্ধে হুমকির অভিযোগ জানিয়েছে বিজেপিও। (BJP) দ্রুত তদন্তের আশ্বাস দিয়েছে পুলিশ।
বিস্তারিত পড়ুন: কংগ্রেস কর্মীকে লক্ষ্য করে চলল গুলি, উত্তপ্ত কান্দি