Panchayat Election 2023: ভাঙড়ে ভোট করাতে গিয়ে ‘নিখোঁজ’, ২৪ ঘণ্টা পর বাড়ি ফিরলেন ভোটকর্মী সঞ্জয় সর্দার

Polling officer missing: শনিবার পঞ্চায়েত ভোটের ডিউটি পড়েছিল জীবনতলার বাগমারি এলাকার বাসিন্দা সঞ্জয় সর্দারের। পোলেরহাট-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের ১০৭ নম্বর বুথের দক্ষিণ গাজীপুর এসএসকে স্কুলে তাঁর ডিউটি পড়েছিল।

Panchayat Election 2023: ভাঙড়ে ভোট করাতে গিয়ে 'নিখোঁজ', ২৪ ঘণ্টা পর বাড়ি ফিরলেন ভোটকর্মী সঞ্জয় সর্দার
২৪ ঘণ্টা নিখোঁজ থাকার পর ফিরে এলেন পোলিং অফিসার সঞ্জয় সর্দার।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 09, 2023 | 10:07 PM

জীবনতলা: জীবনতলা থেকে ভোট করাতে গিয়েছিলেন ভাঙড়ে। ভোট সম্পূর্ণ হওয়ার পর শনিবার রাতে নির্ধারিত স্থানে ব্যালট বাক্স জমাও দিয়েছিলেন। তারপর থেকেই নিখোঁজ হয়ে যান ভোটকর্মী সঞ্জয় সর্দার। প্রায় ২৪ ঘণ্টা তাঁর সঙ্গে কোনওরকম যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। চরম দুশ্চিন্তায় উদ্বিগ্ন পরিবার জীবনতলা থানায় অভিযোগও দায়ের করেন। অবশেষে ২৪ ঘণ্টা পর রবিবার রাতে বাড়ি ফিরে এলেন সঞ্জয়বাবু।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার পঞ্চায়েত ভোটের ডিউটি পড়েছিল জীবনতলার বাগমারি এলাকার বাসিন্দা সঞ্জয় সর্দারের। পোলেরহাট-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের ১০৭ নম্বর বুথের দক্ষিণ গাজীপুর এসএসকে স্কুলে তাঁর ডিউটি পড়েছিল। সেকেন্ড পোলিং অফিসার ছিলেন তিনি। ভোট সম্পূর্ণ করার পর ব্যালট বক্স জমা দিয়ে গভীর রাতে পরিবারের সঙ্গে একবার কথাও বলেছিলেন তিনি। রাত ২ টো ১৫ মিনিট নাগাদ কাঁঠালিয়া হাই স্কুল থেকে বাড়ি যাওয়ার উদ্দেশে বেরিয়েছিলেন। কিন্তু, তারপরই নিখোঁজ হয়ে যান সঞ্জয়বাবু। তাঁর মোবাইল ফোনও বন্ধ হয়ে যায়। ফলে চরম দুশ্চিন্তায় পড়ে সঞ্জয় সর্দারের পরিবার। অগত্যা রবিবার সকালেই জীবনতলা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন সঞ্জয় সর্দারের পরিবার।

সঞ্জয় সর্দারের পরিবারের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে জীবনতলা থানার পুলিশ তদন্তে নামে এবং রবিবার বিকালেই পরিবারের সদস্যদের নিয়ে কাশিপুর থানায় আসেন। পাশাপাশি ভাঙড়-২ ব্লকের ডিসিআরসি কাঁঠালিয়া হাই স্কুলের সিসিটিভি ক্যামেরার ভিডিয়ো খতিয়ে দেখে জীবনতলা থানার পুলিশ। এলাকার রাস্তার পাশে থাকা একাধিক সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজও খতিয়ে দেখে জীবনতলা থানার পুলিশ। ভোটের ডিউটির পর গভীর রাতে হঠাৎ করে কোথায় গেলেন সঞ্জয়বাবু, তা নিয়ে ওঠে প্রশ্ন।

দীর্ঘ খোঁজাখুঁজির মধ্যেই রবিবার রাতে সঞ্জয় সর্দার বাড়িতে ফিরে এসেছেন বলে জানায় জীবনতলা থানার পুলিশ। তবে প্রায় ২৪ ঘণ্টা তিনি কোথায় ছিলেন? শোনা যায়, বাসের মধ্যেই নাকি ঘুমিয়ে পড়েছিলেন সঞ্জয়বাবু। কিন্তু, প্রায় ২৪ ঘণ্টা বাসের মধ্যে ঘুমিয়ে থাকতে পারেন কেউ? নাকি এর পিছনে অন্য কোনও রহস্য রয়েছে? এমন প্রশ্নও উঠছে। অবশেষে এই প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন সঞ্জয়বাবু নিজেই। তিনি জানান, হরিনাম শোনার জন্য গাড়ি থেকে নেমে পড়েছিলেন। কিন্তু, হরিনাম শুনতে গিয়ে বাড়ির কথা বেমালুম ভুলে গেলেন? এমন প্রশ্নও উঠছে। যদিও এই বিষয়ে আর বিতর্ক বাড়াতে নারাজ সঞ্জয়বাবু।