AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Rudranil Ghosh: কুকুরের চেয়েও কম রোজগার রুদ্রনীলের! কোন ঘটনার কথা সামনে আনলেন অভিনেতা?

Tollywood actor Rudranil Ghosh on his struggle : 'ধূমকেতু' একদিকে যদি হয়, দেব-শুভশ্রীর রিইউনিয়ন, তাহলে অন্যদিকে এই ছবি রুদ্রনীলের দুরন্ত অভিনেতা। তবে শুধু ধূমকেতুই নয়, চ্যাপলিন, ভিঞ্চি দার মতো ছবির সুবাদে টলিউডের অন্যতম প্রতিভাবান অভিনেতা রুদ্রনীল ঘোষ।

Rudranil Ghosh: কুকুরের চেয়েও কম রোজগার রুদ্রনীলের! কোন ঘটনার কথা সামনে আনলেন অভিনেতা?
| Updated on: Aug 27, 2025 | 1:54 PM
Share

দেব-শুভশ্রীর ‘ধূমকেতু’র মুক্তি পাওয়ার পর থেকে টলিউডের এই জুটির পাশাপাশি যাকে নিয়ে দর্শকদের মধ্যে উন্মাদনা, তিনি হলেন ছবির যোগেশ ওরফে রুদ্রনীল ঘোষ। ‘ধূমকেতু’ একদিকে যদি হয়, দেব-শুভশ্রীর রিইউনিয়ন, তাহলে অন্যদিকে এই ছবি রুদ্রনীলের দুরন্ত অভিনেতা। তবে শুধু ‘ধূমকেতু’ই নয়, ‘চ্যাপলিন’, ‘ভিঞ্চি দা’র মতো ছবির সুবাদে টলিউডের অন্যতম প্রতিভাবান অভিনেতা রুদ্রনীল ঘোষ। যিনি বলিউডের ময়দান-এ অজয় দেবগণের সঙ্গে কাজ করেছেন। কিন্তু এই দুরন্ত অভিনেতার আজকাল হাতে গোণা কাজ। রাজনীতির আঙিনায় নেমে তিনি অভিনেতার পাশাপাশি বিজেপি নেতাও। আজ তিনি তারকা হলেও, রুদ্রর শুরুটা মোটেই উজ্জ্বল ছিল না। মাছের ওষুধের ব্যবসা থেকে টলিউড ইন্ডাস্ট্রি, পথটা ছিল বেশ কঠিন। ক্য়ামেরার সামনে ভিড়ের মাঝে দাঁড়াতেন। আর পারিশ্রমিক? কুকুরের থেকে অধম!

ব্য়াপারটা একটি খোলসা করে বলা যাক। সম্প্রতি এক পডকাস্টে এসে নিজের স্ট্রাগল পিরিয়ডের কথা বলতে গিয়ে টলিউডের অন্দরের অন্ধকার দিক তুলে ধরলেন রুদ্র। স্পটলাইটের পিছনের রূঢ় বাস্তবটা তুলে ধরলেন টলিউডের ‘চ্যাপলিন’।

তা ঠিক কী বললেন রুদ্রনীল?

গোটা টলিউড জানে, একসময় কাঞ্চন মল্লিক, রুদ্রনীল ঘোষ ও রাজ চক্রবর্তী একসঙ্গে স্ট্রাগল করছেন। নানা সাক্ষাৎকারে এই তিনজনই তাঁদের একসঙ্গে পথচলার কথা বলেছেন। এই পডকাস্টেও সেই কথা তুলে ধরলেন রুদ্রনীল। রুদ্রর কথায়, ”একটা সময় কাঞ্চন সেলুনে চুল কাটার কাজ করত। আর আমি মাছের ওষুধ বিক্রি করতাম। আমার প্রথম কলকাতা দেখাই ওই কারণে।”

রুদ্র যে সময়ের কথা বলেছেন, তখন দ্বিতীয় হুগলি সেতু, নব্বান্ন সবে সবে তৈরি হয়েছে। এমনকী, তখন প্রাইভেট গাড়ি ছাড়া অন্য যানবাহনকে সেতুতে উঠতে দেওয়া হত না। খারাপ আর্থিক অবস্থার কারণে ট্যাক্সিতে ওঠার কথা ভাবতেও পারতেন না রুদ্র। তবে অভিনেতা হওয়ার জেদটা তাঁর মধ্যে ছিল বরাবর। সেই কারণেই লড়াই চালিয়ে গিয়েছিলেন।

এই পডকাস্টে এই সময়েরই এক অভিজ্ঞতার কথা জানান রুদ্রনীল। তাঁর কথায়, একটা শুটিংয়ে গিয়ে দেখলেন, এক অ্যালসেশিয়ন কুকুরের মালিক, কুকুরটি অভিনয় করার জন্য পারিশ্রমিক হিসেবে পেলেন ৭০০ টাকা। আর রুদ্র এবং তাঁর এক সহঅভিনেতা পেয়েছিলেন ১৫০ টাকা! সেই সহঅভিনেতা রুদ্রকে প্রশ্ন করেছিলেন, আমরা কি কুকুরের থেকে অধম! এই ঘটনার পর বুকের ভিতর জমাট বেঁধেছিল কষ্ট। কিন্তু রুদ্র লড়ে গিয়েছেন। এখানেই শেষ নয়, রুদ্র জানান, সেই সময় ইন্ডাস্ট্রির একটা নিয়ম ছিল ফর্সা না হলে অভিনেতা নয়। ফর্সা ও লম্বা হলে দারুণ অভিনেতা!

সময় বয়েছে গঙ্গা জলের নিয়মে। এখন রুদ্র সফল অভিনেতা। তবুও সেই স্ট্রাগলের দিনগুলো এখনও তাঁর পিছু ছাড়ে না। মনের কোণায় রাখা রয়েছে।

তথ্যসূত্র- ‘সঙ্গে সঙ্গীতা’